কমলগঞ্জে টিলা কেটে সাবাড় হচ্ছে : হুমকির মুখে পরিবেশ

KAMALGANJ TILA KATA PIC-2বিশ্বজিৎ রায়, কমলগঞ্জ প্রতিনিধি : পাহাড় টিলা পরিবেষ্টিত মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে উচুঁ টিলা কেটে সাবাড় করা হচ্ছে লাল মাটি। মৌলভীবাজার জেলার সীমান্তবর্তী এই উপজেলার বনাঞ্চল সংলগ্ন চা বাগান ও রাস্তার ধারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত পাহাড়ি উচুঁ টিলা, খেলার মাঠ কেটে মাটি অন্যত্র স্থানান্তর করা হচ্ছে। সম্প্রতি কমলগঞ্জ-কুলাউড়া সড়কে শমশেরনগর বিমান বাহিনী ইউনিটের অধীনস্থ টিলা কেটে ফেলা হচ্ছে। এভাবে অব্যাহতহারে টিলা কেটে পরিবেশকে হুমকির সম্মুখীন করা হলেও পরিবেশ অধিদপ্তর রয়েছে নিষ্ক্রিয়। সরেজমিনে দেখা যায়, কমলগঞ্জ-কুলাউড়া সড়কে শমশেরনগর বিমান বাহিনী ইউনিটের অধিনস্থ উঁচু খেলার মাঠ কেটে সাবাড় করা হচ্ছে। বাইরে বাউন্ডারী দেয়াল নির্মাণ করে ভেতরে বৃহদ একটি টিলার প্রায় ৪ ফুট পরিমাণ লাল মাটি কেটে অন্যত্র স্থানান্তর করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবত অল্প অল্প করে সমুহ এই টিলার লাল মাটি কেটে ফেলা হচ্ছে। এতে স্থানীয়ভাবে কিছু প্রতিক্রিয়াও দেখা দিয়েছে। নাম প্রকাশে KAMALGANJ TILA KATA PIC-1অনিচ্ছুক স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, এই টিলায় এলাকার ছেলেরা বিকালে ফুটবল, ক্রিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা করতো। ছেলেদের খেলাধুলার একমাত্র মাঠ থাকলেও এখন এটি শমশেরনগর বিমান বাহিনী ইউনিটের তত্বাবধানে কৌশলে কেটে সাবাড় করা হচ্ছে। তারা আরও বলেন, বাইরে থেকে সহজে যে কেউ বুঝতে না পারার জন্য পাকা বাউন্ডারী দেয়াল নির্মাণ করে ভেতর থেকে অল্প অল্প করে মাটি কেটে ট্রাকযোগে অন্যত্র স্থানান্তর করা হচ্ছে। স্থানীয় পথচারীরা জানান, এখানে টিলা কাটার ফলে বৃষ্টির সময়ে চরম জনদুর্ভোগ দেখা দেয়। টিলার লাল মাটি বৃষ্টির পানিতে গড়িয়ে শমশেরনগর-কুলাউড়া সড়কে এসে জমাবদ্ধ হয়। এসময়ে যানবাহনের কারনে রাস্তায় কাঁদা তৈরী করে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠে। এ বিষয়ে মৌখিকভাবে সংশ্লিষ্টদের অবগত করানো হলে কিছুদিন টিলা থেকে মাটি কাটার কাজ বন্ধ থাকে। কয়েকদিন পর আবার ট্রাক লাগিয়ে মাটি কাটা শুরু হয়। এভাবে অব্যাহতহারে অপরিকল্পিতভাবে টিলা কেটে সাবাড় করা হলেও পরিবেশ অধিদপ্তর নিশ্চুপ রয়েছে। তবে খেলার উচুঁ মাঠ টিলা কাটার বিষয়ে জানতে চেয়ে ফোনে যোগাযোগ করা হলে বিমান বাহিনী শমশেরনগর ইউনিটের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টিলা কাটার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এমওডিসিদের খেলাধূলার জন্য টিলার অল্প পরিমাণ অংশ কেটে খেলার উপযোগী মাঠ করা হচ্ছে। এর বেশী টিলা কাটা হবে না। এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট এর পরিচালক সালাহউদ্দীন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসা করেন।’