গাফ্ফার চৌধুরীর মত জ্ঞানপাপীরা হাসিনা ও দেশের ক্ষতি করছে

যুবদলের প্রতিবাদ সভায় বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম
প্রহসনের রায় দিয়ে বিএনপি এবং খোকাকে ভয় দেখানো যাবে না

ANA PICনিউইয়র্ক থেকে এনা: বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। বিএনপি বাংলাদেশের জনগণ এবং গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। বিএনপিকে ভয় দেখানোর জন্য এবং থামানোর জন্য শেখ হাসিনার সরকার বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং মিথ্যা মামলায় প্রহসনের রায় দিয়েছে। বিএনপি যেহেতু বাংলাদেশের জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল সেহেতু সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে রায় দিয়ে বিএনপিকে ভয় দেখানো বা থামানো যাবে না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব দেশের এই কান্তিকালে জাতীয় ঐক্যের আহবান জানিয়েছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের এ আহবানকে ষড়যন্ত্র হিসাবে দেখছেন জ্ঞানপাপী, চাটুকার লেখক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী। গত ২৫ অক্টোবর (নিউইয়র্ক সময়) সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের পালকি পার্টি সেন্টারে যুক্তরাষ্ট্র যুবদল কর্তৃক আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক আব্দুস সালাম এ সব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সহ সভাপতি আহবাব চৌধুরী খোকনের সভাপতিত্বে এবং যুবদল নেতা রেজাউল আজাদ ভূইয়ার পরিচালনায় সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে প্রহসনের রায়ের প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক আব্দুস সালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী এবং জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী বেবি নাজনীন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু, প্রধান বক্তা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা হেলাল উদ্দিন, আবুল হাশেম শাহাদত, মার্শাল মুরাদ, এম জাহাঙ্গীর, ছৈয়দুল হক, বাসেত রহমান, এবাদ চৌধুরী, আবু সুফিয়ান, ফয়েজ আহমদ চৌধুরী, কাজী আমিনুল হক স্বপন, বিলাল চৌধুরী, সাইফুর খান হারুন, শেখ হায়দার আলী, সৈয়দ এনাম আহমেদ, আরশাদ খান, ইকবাল হায়দার, মীর সুজন, শামীম মাহমুদ, নাজিম চৌধুরী রিঙ্কু।
প্রতিবাদ সভায় আব্দুস সালাম বলেন, শেখ হাসিনার সরকার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকাকে ভয় পান। আওয়ামী লীগ যখন প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছিলো তখন সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে ১৫০টি মামলা দিয়েছিলো। জাতীয় সংসদের প্রথমবারের নির্বাচনে সাদেক হোসেন খোকার কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হবার পর থেকেই শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার শিকার হন সাদেক হোসেন খোকা। যে কারণে তার বিরুদ্ধে এবার মিথ্যা মামলা দেয়া হয় এবং তার অনুপস্থিতিতেই প্রহসনের রায় দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াও চিকিৎসার জন্য বিদেশে যান। এতে দোষের কিছু নেই। সাদেক হোসেন খোকারও বিদেশে এসেছেন চিকিৎসার জন্য। তিনি হাই কোর্টের অনুমতি নিয়েই এসেছিলেন। তারপরেও তার বিরুদ্ধে প্রসহনের রায় দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সাদেক হোসেন খোকা একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তার প্রতি যে সম্মান দেখানোর কথা তাও দেখায়নি সরকার। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। খোকার বিরুদ্ধে প্রহসনের রায় ঘোষণা করে খোকা এবং বিএনপিকে ভয় দেখানো বা থামানো যাবে না। তিনি বলেন, দেশে এখন চরম কান্তিকাল চলছে। এই সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় ঐক্যের আহবান জানিয়েছেন। তাতে গাত্রদাহ হয়েছে জ্ঞানপাপী, আওয়ামী চাটুকার আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর। তিনি এটাকে ষড়যন্ত্র হিসাবে দেখছে। তিনি বলেন, এ সব জ্ঞানপাপী ও চাটুকারের কারণেই শেখ হাসিনা এবং দেশের ক্ষতি হচ্ছে। তারা দেশকে জাহান্নামের দিকে ঠেলে দিতে চায়। এরা দেশের উন্নতি চান না। কারণ এরাতো মুক্তিযুদ্ধ করেননি। এভাবে কিছু চাটুকার শেখ মুজিবুর রহমানেও ক্ষতি করেছেন। যার পরিণতি বাংলাদেশের মানুষ দেখেছে। তিনি বলেন, আমরা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে মধ্যবর্তী নির্বাচন চাই। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চায়। আওয়ামী লীগের পতন হলেই যে বিএনপি ক্ষমতায় যাবে না। ক্ষমতায় যেতে হলে নির্বাচন প্রয়োজন। তিনি বলেন, বিএনপি বার বার প্রমাণ করেছে বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তিনি আরো বলেন, কোন স্বৈরশাসক ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি, শেখ হাসিনাও পারবে না।
বেবি নাজনীন বলেন, সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে এ প্রহসনের রায় মেনে নেয়া যায় না।
জিল্লুর রহমান জিল্লু বলেন, এই সরকারে জন্মই হয়েছে পাপের মধ্যদিয়ে। যাদের জন্মই পাপের মধ্যদিয়ে তারা পাপ করেই যাবেন। সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে রায়ও একটি পাপ। এই পাপের প্রায়শ্চিত্য তাদের করতেই হবে।
জাকির এইচ চৌধুরী ও আবু সাঈদ আহমেদ অনুষ্ঠানকে সফল করার জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, বাধা ছাড়া জনসভা করার সুযোগ দিন তাহলেই দেখবেন কার জনপ্রিয়তা কত। সুষ্ঠু নির্বাচন দিন প্রমাণ পাবেন কারা বাংলাদেশের মানুষের শক্তি।
——
এনা পিক: যুবদলের সভায় বক্তব্য রাখছেন আব্দুস সালাম। ছবি- এনা।