কোটি টাকায় নির্মিত হচ্ছে বিদ্যুতের সাবষ্টেশন: যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে রিকন্ডিশন

JAINTAPUR (1)মোঃ রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর প্রতিনিধি: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ঘুষ দূর্নীতির অপর নাম হয়ে উঠেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। হর হামেশা চলছে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি, যেন দেখার কেউ নেই। এছাড়া লো-ভোল্টেজ, ঘন ঘন সরবরাহ বন্ধ রাখা যেন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যপার হয়ে দাড়িয়েছে জৈন্তাপুর উপজেলাবাসীর কাছে। কর্তৃপক্ষের দাবী সাব ষ্টেশন না হওয়া পর্যন্ত ভোগান্তি হবে। আর নতুন সাব ষ্টেশন স্থাপন হলেও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে পুরাতন।
১৯৮৩ইং সনে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জৈন্তাপুর উপজেলা বিদ্যুৎ বিতরন ও সরবরাহ শুরু করে। সেই থেকে বর্তমান পর্যন্ত প্রায় বিদ্যুৎ নির্ভর কলকারখানা সহ পাথর ক্রাশিং জোন গড়ে উঠে। কিন্তু লাগামহীন ভাবে বিদ্যুৎ বিতরনের ফলে গ্রাহকরা লো-ভেল্টেজ সমস্যায় পড়তে হয়। ফলে নিত্য প্রয়োজনী যন্ত্রপাতি, ফ্রিজ টিভি এসি কম্পিউটার সহ মূল্যবান ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী নষ্ট হতে শুরু করে। আবাসিক প্রকৌশলী এখতিয়ার বহিভূক্ত ভাবে অবৈধ অর্থের বিনিময়ে ভেল্টেজ না বাড়ীয়ে লাগামহীন ভাবে সংযোগ প্রদান করে হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা। বিদ্যুতের দূর্ভোগ নিয়ে মাননীয় সংসদ সদস্য ইমরান আহমদের দারস্থ হন। উপজেলাবাসীর দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩সনের শেষ দিকে সংসদ সদস্য প্রচেষ্ঠায় জৈন্তাপুর উপজেলার ফেরীঘাট এলাকায় জাইকার অর্থায়নে সাবষ্টেশন নির্মানের কাজের আনুষ্টানিক শুরু হয়। সাবষ্টেশন নির্মানের কার্জ প্রথমে জোরালো ভাবে চালু হলেও বর্তমানে তাহা চলছে ধীর গতিতে। আবাসিক প্রকৌশলী নিজের ফায়দা হাসিলের লক্ষ্যে এসি রুমের মার প্যাচে ফেললে কিছু দিন কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে। বিভিন্ন জটিলতার ফেলে দিলে বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে কাজ ফেলে চলে যায় জাইকা।
বিদ্যুতের ভোগান্তি নিয়ে গত মে মাসের শেষ সাপ্তাহে সিলেটের বিভিন্ন স্থানীয় পত্রিকায় স্বচিত্র সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর পর তড়ি গড়ি করে আবাসিক প্রকৌশলী জৈন্তাপুরের তত্তাবধানে ধীর গতিতে শুরু হয় সাব ষ্টেশন নির্মাণ কাজ। কিন্তু আবাসিক প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধানে সাবষ্টেশনের কাজ থাকার ফলে নতুন নতুন সার্ভিস ব্যাকার স্থাপন না করে পুরাতন জংধরা এক কথায় রিকন্ডিশন সার্ভিস ব্যাকার ও ট্রান্সফরমার ব্যবহারের মাধ্যমে স্থাপন করা হচ্ছে সাব ষ্টেশন।
সচেতন মহল প্রশ্ন কোটি কোটি টাকা সাভাড় করতে সাবষ্টেশন নতুন স্থাপন হলেও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে রিকন্ডিশন। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মচারী জানিয়েছেন ব্যপক অনিয়মের মাধ্যমে এই সাবষ্টেশন স্থাপন করা হচ্ছে। নির্মাণ কাজে কর্মরত ইঞ্জিনিয়ার ও শ্রমিকরা বলেন বিদ্যুৎ বিতরন কর্তৃপক্ষের আবাসিক প্রকৌশলীর নির্দেশনা মোতাবেক রিকন্ডিশন যন্ত্রপাতির মাধ্যমে এই সাবষ্টেশন স্থাপন করা হচ্ছে। তাই চালু হওয়ার পরেও গোলাযোগ দেখা দিতে পারে। এছাড়া যেখানে পিলার স্থাপন করা হয়েছে তাও নিম্ন মানের। স্থাপনের আগেই পিলার গুলোতে দেখা দিয়েছে ফাটল। সেই ফাটল পিলার এর উপর স্থাপন করা হচ্ছে এসকল যন্ত্রপাতি। তারা আরও জানান এই ষ্টেশনে কোন অবস্থায় পুরাতন জংধরা যন্ত্রপাতি ব্যবহারের নির্দেশনা নাই। কিন্তু আমরা যা পাচ্ছি তা দিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। আর ষ্টেশন চালু হওয়ার পর সার্ভিস ব্যাকার গুলো বিকল হলেও দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে এবং ভোগান্তি শিকার হবে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে আবাসিক প্রকৌশলী মাসুদ উদ্দিন পারভেজ এর সাথে মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাছাড়া সরাসরি আবাসিক প্রকৌশলীর কার্যালয়ে গেলে থাকে পাওয়া যায়নি।