‘স্বামীর দাবি’তে জায়েদের বাড়িতে কুলসুমা

Kulsumaসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ নিজের স্বামীকে পাওয়ার দাবিতে মৌলভীবাজারের রাজনগরের সুনামপুরে মিশন দাস ওরফে জায়েদের বাড়িতে গত ৪ দিন যাবত অবস্থান করছেন কুলসুমা বেগম (২৫)। তবে কুলসুমা বেগম ওই বাড়িতে যাওয়ার আগেই অন্যত্র সটকে পড়েছে মিশন দাসের পরিবার।
জানা যায়, সিলেটের দক্ষিন সুরমার রেলওয়ে স্টেশনের পাশে একটি কলোনিতে স্বামী রফিক মিয়ার সঙ্গে বসবাস করছিল কুমিল্লা চান্দিনা থানার কুলসুমা বেগম। এ সংসারে তার ২টি সন্তানও রয়েছে। রফিক মিয়ার চায়ের দোকানের পাশের একটি আবাসন কোম্পানীর (রয়েল সিটি) কর্মচারী মিশন দাসের (৩৫) সঙ্গে পরিচয়সূত্রে উভয়ের মধ্যে গড়ে উঠে পরকিয়া প্রেম। গত দুই মাস আগে স্বামী রফিক মিয়ার ঘর থেকে প্রেমিক মিশন দেবের হাত ধরে পালিয়ে গিয়ে নগরীর ঝালোপাড়ায় নতুন সংসার শুরু করেন কুলসুমা। এদিকে আগের স্বামী রফিক মিয়া কুলসুমাকে খুঁজে বের করে মিশন দাসসহ আটকে রাখেন। কিন্তু কুলসুমা রফিক মিয়ার ঘরে ফিরে যেতে না চাইলে স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান হয়। ওই সময় মিশন দাস আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নাম রাখেন জায়েদ আহমদ। এরপর কুলসুমা দক্ষিন সুরমার কামালপুরে আবারো মিশন দাসকে নিয়ে শুরু করেন নতুন সংসার।
গত ১ মাস আগে তিনি জায়েদকে নিয়ে তার বাড়ি মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার সুনামপুর এসে এক মুসলিম বাড়িতে আশ্রয় নেন। মিশন দাসের পরিবার তাদের গ্রহণ না করায় তারা আবার চলে যান। কিন্তু গত এক সপ্তাহ আগে কুলসুমার কাছে ফোন করে মিশন দাসকে (জায়েদ) দেখার আকুতি জানান মিশনের মা কল্পনা রানী দাস।
কিন্তু বাড়িতে যাওয়ার পর মিশনকে (জায়েদ) আটকে রাখে তারা। তিন-চার দিন তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে কুলসুমা বালাগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করেন।
বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জায়েদের ভাইয়ের মোবাইল ফোনে কথা বললে সে ওসিকে গালিগালাজ করে। পরে ওসির মাধ্যমে কুলসুমা উত্তরভাগ ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে যান। এরপরই গত শনিবার থেকে মিশন দাস ওরফে জায়েদের বাড়িতে অবস্থান করছেন কুলসুমা। কিন্তু কুলসুমার
এ ব্যাপারে উত্তরভাগ ইউনিনের চেয়াম্যান জিতু মিয়া জানান, বালাগঞ্জের এক মহিলা ইউপি সদস্য কুলসুমাকে নিয়ে আমার কাছে এসেছিলেন। আমি একটা পথও দেখিয়ে দিয়েছিলাম। পরে শুনেছি সে ওই বাড়িতে গিয়ে উঠেছে। তবে রাজনগর থানার ওসি মো. নাজিম উদ্দীন জানান তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না।