গোলাপগঞ্জে ২৩ শহীদ স্মরণে ২ দিনব্যাপী কর্মসূচী
গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি:২৫ শে অক্টোবর। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে গোলাপগঞ্জ উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের সুন্দিশাইলে পাক হানাদার বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ ২৩জন লোককে নির্মমভাবে হত্যা করে। তাদের স্মরণে প্রতি বছর সুন্দিশাইল গ্রামে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়।
২৩ শহীদের স্মৃতিকে ধরে রাখতে উপজেলার এরাল বিল ও বিয়মাইল বিলের মধ্যবতী ঘটনাস্থলে নির্মাণ করা হয়েছে ২৩ শহীদ স্মৃতিসৌধ। এ শহীদ মিনারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে যথাযথ মর্যাদার সহিত শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হয়। প্রশাসন ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ উপলক্ষে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
২৩ শহীদের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার (২৫শে অক্টোবর) ২৩ শহীদ স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে ২৩ শহীদ স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পুষ্পস্তবক অর্পন করা হবে।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) সুন্দিসাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
উলেখ্য যে, ১৯৭১ সালের ২৬শে অক্টোবর পাক হানাদারবাহিনী তান্ডব চালিয়ে সুন্দিশাইল গ্রামে অবরোধ সৃষ্টি করে ২৩জন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে গণকবর দেয়।
ঐ দিনের ঘটনায় শাহাদাতবরণকারী ২৩ শহীদের মধ্যে ৩ জন শহীদের নাম জানা না গেলেও স্থানীয়রা ২০ জনের লাশ শনাক্ত করে তাদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে। তাদের নাম ২৩ শহীদ স্মৃতি ফলকে এখনও লিপিবদ্ধ রয়েছে। তারা হলেন শহীদ খুরশেদ আলী, আশদ আলী, তোতা মিয়া, চান্দ মিয়া, মুবেশ্বর আলী, কুটুচান্দ মিয়া, ওয়ারিছ আলী, মস্তন আলী, ওহাব আলী, সুনু মিয়া, সমুজ আলী, মাতাই মিয়া, আনু মিয়া, কুটলা মিয়া, মুতলিব আলী, মানিক মিয়া, চুনু মিয়া, খালিক মিয়া, লুলু মিয়া, আশফাক আহমদ প্রমুখ।
যথাযথ মর্যাদায় সুন্দিশাইল দিবস পালনে সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন- ২৩ স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম.এ.ওয়াদুদ এমরুল।