লন্ডনে খালেদা জিয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
লন্ডন থেকে জুবায়ের আহমদ : লন্ডনে বসে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ।২৩ অক্টোবর শুক্রবার পূর্ব লন্ডনের স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয় এয় সংবাদ সম্মেলন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়
বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের উস্কানীদাতা, কুখ্যাত আগুন সন্ত্রাসী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্যে অবস্থান করে বাংলাদেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশে নির্মম হত্যার শিকার বিদেশী দুই নাগরিকও খালেদা জিয়ার লন্ডন ষড়যন্ত্রের অংশ বলে দবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ব্রিটেনে কোন সন্ত্রাসীর জায়গা নেই। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে প্রবাসী বাঙালিরা খালেদা জিয়াকে প্রতিহত করবে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এই যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাঙালিরা বাংলাদেশের পাশে ছিলো, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে ছিলো, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলো। এই বিলেতে বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব জনমত গঠন করতে প্রবাসী বাঙালিদের ভুমিকা ছিলো অনন্য। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন এখান থেকেই শুরু হয়েছিলো। সুতরাং এখানকার প্রবাসীরা খালেদা জিয়াও তার পুত্রের ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নঈম উদ্দিন রিয়াজের পরিচালনায় সংভাদ সম্মেলণে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক শাহ শামীম আহমদ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়
আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা, ভীতি সৃষ্টির একটি নীলনকশা বিএনপি জামাত এবং তাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার। গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে এই খালেদা জিয়া গত ৫ জানুয়ারি থেকে অবরোধের নামে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় গাড়িতে আগুণ দিয়ে প্রায় ১৫৬ জন মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছেন। পেট্রোল বোমার আগুণের ˜গ্ধ আঘাতে অনেকেই স্বাভাবিক জীবন হারিয়েছেন। পেট্রোল বোমার আগুণে দগ্ধ হয়ে কয়েক শতাধিক লোক সারাজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
সন্ত্রাসের রাণী খালেদা জিয়া ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সাথে জড়িত। ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলা করে ২২ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয় এবং এই হামলায় প্রায় ৫০০শত শানুষ সারাজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করে। আজও অনেক মানুষ স্পিøন্টার শরীরে নিয়ে বেড়াচ্ছেন। ২১ শে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় প্রাণে বেঁচে যান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টার সাথে জড়িত ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমান।
বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে বেগম খালেদা জিয়া বারবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পূর্বে তিনি শর্ত দিয়েছিলেন, তত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তিনি নির্বাচনে যাবেন না। তিনি নির্বাচনে যাননি। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বলছেন তত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াও অন্য কোন কাঠামোর সরকারের অধীনে তিনি এবং তার দল বিএনপি নির্বাচনে যেতে রাজী আছেন। এই প্রস্তাব তো ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের পূর্বে ছিলো। তাহলে এতো মানুষ হত্যা করে, পুড়িয়ে, আগুণে দগ্ধ করে খালেদা জিয়া এ কোন রাজনীতি করছেন?
বাংলাদেশ যখন উন্নয়ন আর অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে । দেশে মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হচ্ছে। শিক্ষা, চিক্ৎিসা, যোগাযোগ,শিল্পক্ষেত্র সহ সবদিকে যখন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, তখনই বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে বেগম খালেদা জিয়া নতুন নতুন ষড়যন্ত্রের পায়তারা করছেন। আমর্ াবেগম খালেদা ও তার পুত্রের দেশবিরোধী চক্রান্তকে বাংলাদেশের জনগণের সাথে মিলে সমূলে উৎপাটন করবো। আমরা খালেদা ও তার পুত্রের এরকম কর্মকান্ডকে ধিক্কার আর নিন্দা জানাচ্ছি।
আমরাই খুনী জিয়া, মোস্তাককে বাংলাদেশ থেকে উৎখাত করেছি। প্রবাসী বাঙালিরাই আন্দোলন সংগ্রাম করে সমস্ত স্বৈরশাসককে বিতাড়িত করে দেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় ভুমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশ আজ যে গণতন্ত্র ও মুক্তির সুবাতাস দ্বারা নন্দিত হচ্ছে, সেখানেও আমরা জোরালো ভ’মিকা রাখছি।
যুক্তরাজ্যের মাটিতে বসে বেগম খালেদা জিয়ার ষড়যন্ত্র প্রবাসী বাঙালিরা প্রতিহত করবে। আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করে এরকম ষড়যন্ত্র করায় ধিক্কার ও নিন্দা জানাচ্ছি। খালেদাকে জানিয়ে দিতে চাই এই ব্রিটেনে কোন সন্ত্রাসীর জায়গা নেই।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরার্জ্য আওয়ামী লেিগর সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ্ব জালাল উদ্দিন, সহ সভাপতি শাহ আজিজুর রহমান, মোজাম্মেল আলী, অধ্যাপক আবুল হাশেম, যুগ্ম সম্পাদক মারুফ আহমদ চৌধুরী, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ মিয়া ওআব্দুল আহাদ চৌধুরী প্রবাসী কল্যান সম্পাদক আনছারুল হক জন সংযোগ সম্পাদক রবিন পাল, ত্রান ও সমজ কল্যাণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক আসম মিসবাহ, ধম বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ সুরুক মিয়া, আন্তজাতিক সম্পাদক কাওসার আহমদ চৌধুরী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম খান, যুগ্ম সম্পাদক জামাল খান, আইনজীবি পরিষদের মহিউদ্দিন আহমদ, অনুকুল তালুকদার ডাল্টন, তরুন লীগের সভাপতি জুবায়ের আহমদ, যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সারওয়ার কবির, যুগ্ম সম্পাদক ফখরুল কামাল জুয়েল প্রমূখ।