নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কাদের সিদ্দিকী
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ ঋণখেলাপের দায়ে মনোনয়নকে বাতিলের পর হাইকোর্ট টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপ-নির্বাচনে কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন পত্র বৈধ বলে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২১ অক্টোবর) বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে ব্যর্থ হওয়ার পর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম।
আদালতে কাদের সিদ্দিকীর পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী।
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন থেকে দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কাদের সিদ্দিকীর ভাই লতিফ সিদ্দিকী। গত ১ সেপ্টেম্বর তিনি পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে গত ৩ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়।
এরপর নির্বাচন কমিশন এ আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। তফসিল মোতাবেক আগামী ১০ নভেম্বর এ আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
অন্য দলের পাশাপাশি এতে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
গত ১৩ অক্টোবর (মঙ্গলবার) ঋণখেলাপের অভিযোগে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।
এরপর গত শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) এই দুই নেতা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল আবেদন করেন।
রোববার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন কাদের সিদ্দিকীর আপিল খারিজ করে রায় দেন।
এ খারিজাদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন কাদের সিদ্দিকী।
মনোনয়ন পত্র যাচাইবাছাইয়ের প্রাক্কালে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া আব্দুল কাদের সিদ্দিকীকে ঋণখেলাপি হিসেবে উল্লেখ করে রিটার্নিং অফিসারের কাছে চিঠি পাঠায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি)।
অগ্রণী ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী কাদের সিদ্দিকী একজন ঋণখেলাপি। তার প্রতিষ্ঠান মেসার্স সোনার বাংলা প্রকৌশলী অগ্রণী ব্যাংক থেকে ১০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলো। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান কাদের সিদ্দিকী।