রঙিন সাজে গোলাপগঞ্জের পুজামন্ডপগুলো
নোমান মাহফুজ: গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি:প্রতি বছরের মতো এবারও দুর্গাপুজায় গোলাপগঞ্জ উপজেলার পূজামণ্ডপগুলোকে সাজানো হয়েছে রঙিন সাজে।সনাতন ধর্মের অনুসারীদের ঘরে ঘরে বইছে আনন্দের বন্যা।গতকাল কল্পারম্ভ ও ষষ্ঠীবিহিত পূজা। সায়ংকালে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস। সেই অনুযায়ী গতকাল থেকেই দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। মন্দিরে মন্দিরে আর পূজামণ্ডপে ঢাকের ঢোল, মন্ত্র ও চন্ডীপাঠ, কাঁসর ঘণ্টা, শঙ্খধ্বনি আর উলুধ্বনিতে কেঁপে উঠছে প্রতিটি পূজামণ্ডপ।সরজমিন গোলাপগঞ্জের পুজামন্ডপগুলো ঘুরে দেখা যায়,উৎসব-আনন্দে মেতে উঠেছে সনাতন ধর্মের শিশু-কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সী মানুষ। বাহারি পোশাক আর অঙ্গসজ্জায় নিজেদের সাজিয়ে রাঙিয়ে তারা মন্দিরে মণ্ডপে ভিড় করেছে। তথ্যমতে এবার গোলাপগঞ্জের ৬২ পুজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।পুজা উপলক্ষে গোলাপগঞ্জের পুজামন্ডপগুলোতে আয়োজন করা হয়েছে ভক্তিমূলক গান, আরতিসহ নানা বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠানমালার। সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠ দিন অর্থাৎ ষষ্ঠী থেকে দশম দিন অবধি পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গোৎসব হয়।এই পাঁচটি দিন যথাক্রমে দুর্গাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমী ও বিজয়া দশমী নামে পরিচিত। আবার সমগ্র পক্ষটি দেবীপক্ষ। এ পক্ষের সূচনা হয় পূর্ববর্তী অমাবস্যার দিন। এই দিনটি মহালয়া। অন্যদিকে দেবীপক্ষের সমাপ্তি পঞ্চদশ দিন পূর্ণিমায়। এই দিনটি কোজাগরী পূর্ণিমা নামে পরিচিত ও বাৎসরিক লক্ষ্মীপূজার দিন। দুর্গাপূজা মূলত পাঁচদিনের অনুষ্ঠান হলেও মহালয়া থেকেই প্রকৃত উৎসবের সূচনা ও কোজাগরি লক্ষ্মীপূজায় এর সমাপ্তি।এদিকে গত পরশুদিন সায়ংকালে দেবীর বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকাল থেকে রাত অব্দি প্রতিটি মণ্ডপে মন্ত্র ও চন্ডীপাঠ, পূজার্চনা ও প্রসাদ বিতরণ চলে। বিশুদ্ধ পঞ্জিকামতে গতকাল সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে ষষ্ঠীবিহিত পূজা। সায়ংকালে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস। অতঃপর আগামীকাল ২০শে অক্টোবর মহাসপ্তমী।কাল মহাসপ্তমীর প্রভাতে নবপত্রিকা প্রবেশ ও ঢাক-ঢোলক-কাঁসর বাজিয়ে কলাবউ স্নান ও আদরিণী উমার সপরিবারে তিথি বিহিত পূজা শেষে সপ্তমী বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ২১শে অক্টোবর মহা অষ্টমীর দিন সকালে কুমারীপূজা ও রাতে সন্ধিপূজা। ২২শে অক্টোবর মহানবমী, বিজয়া দশমী ও দর্পণ বিসর্জন অনুষ্ঠিত হবে।এদিকে পুজামন্ডগুলোতে আইন শৃংখলা বাহিনীকে কঠোর নজরদারী রাখতে দেখা গেছে।