ছায়ারুন ও ফজির উদ্দিন মুক্তিযোদ্ধা নয় : পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে তথ্য প্রকাশ
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ ‘গোলাপগঞ্জের নালিউরি গ্রামের ছায়ারুন ও ফজির উদ্দিন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয়। ৫ অক্টোবর তাদের বাড়িতে হামলা করে জায়গা দখল করা হয়েছে বলে ফজির উদ্দিনের ছেলে যে দাবি করেছেন তাও সঠিক নয়। ওইদিন কোনো ঘটনাই ঘটেনি।’ সংবাদ সম্মেলনে এমনটিই দাবি করেছেন মাস্টার আবদুল মতিন। শনিবার বিকালে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করা হয়।
এসময় মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আহমদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয়, সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় রাজাকার ও ছাত্রদল বলে সংবাদ প্রকাশ করে প্রশাসনকে উস্কানি দেওয়া হয়েছে। আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান, মৃত সিকন্দর আলীর ছেলে আব্দুল হক আমার চাচাতো ভাই, প্রকৃত পক্ষে মৃত ফজির উদ্দিন মনাই আমাদের প্রতিবেশী। তার সঙ্গে আমাদের একটি দেওয়ানী মামলা যার নং-৫৮/১৪।
এসময় দাবি করা হয়, মৃত ফজির উদ্দিন মনাই ও স্ত্রী ছয়ারুন নেসার তারা কেউই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তাদের কারোই মুক্তিযোদ্ধার কোন সনদ নেই। মৃত ছয়ারুন নেসা অন্যের স্ত্রী সেজে সরকারের সাথে জালিয়াতি করেছেন। মৃত ছায়ারুন্নেছার জাতীয় পরিচয় পত্রে ও ৮ নং ভাদেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিকত্ব সনদ পত্রে স্বামীর নাম মৃত ফজির উদ্দিন। কিন্তু সরকারের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন অতিরিক্ত সংখ্যা (রেজি নং- ডিএ-১) ক্রমিক নং ৩২৭৮ এ ছয়ারুন নেসার স্বামীর নাম কাছির আলী লেখা রয়েছে। সম্মানী ভাতার বই নং- ২১২ ছয়ারুন নেসার স্বামীর নাম কাছির আলী লেখা। তারা ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজে মুক্তিযোদ্ধার সব প্রকার সুবিধা ভোগ করছে। এ বিষয়ে ২২ জন মুক্তিযোদ্ধা ২০০৯ সালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় ‘ছাইদুর রহমান পাপলু সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন ৫ অক্টোরব সকালে আব্দুল হকের সহযোগিতায় প্রকাশ্যে তাদের বাড়িতে হামলা করে জায়গা দখল করা হয়েছে। বাড়ির সীমানা পিলার উপড়ে ফেলা হয়েছে। গাছপালা ও সবজি বাগান কেটে নষ্ট করা হয়েছে। বর্তমানে তারা ওই জায়গা ও পুকুর ব্যবহার করতে পারছেন না। ওইদিন প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। এ ধরনের ঘটনার ব্যাপারে আমাদের কিছু জানা নেই। ঘটনার দিন আমরা আমাদের ভোগ দখলীয় জমি চাষাবাদের জন্য পরিষ্কার করছিলাম। হয়রানি করার জন্য মৃত ফজির উদ্দিন মনাইয়ের ছেলে মুজিবুর রহমান বাছিত ও ছাইদুর রহমান পাপলু এই নাটক সাজিয়েছে এবং গোলাপগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছে। মামলায় আমার ভাতিজা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এসএ রিপন, নজরুল, মইনুল, জয়নুল, ছাব্বির, রুমেলসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা (নম্বর ৭/১৬৬) করা হয়েছে। বর্তমানে সবাই জামিনে আছি।’
সংবাদ সম্মেলনে আলাউদ্দিন আহমদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাস্টার আব্দুল আমিন। উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযোদ্ধা কালাই লাল দে, আবদুল গণি, আব্দুস শহীদ, আলাউদ্দিন আহমদ, নুরুল বারী, মক্তদির, আবদুল হক, কবির উদ্দিন, আবদুল মতিন, এনামুল হক, ময়নুল ইসলাম, জামাল আহমদ, হোসেন আহমদ, এসএ রিপন, ছাব্বির আহমদ, কয়ছর আহমদ, জয়নুল ইসলাম, নাহিদ আহমদ প্রমুখ।