রায়নগরে শিশু আবু সাঈদ হত্যার চার্জসিট দাখিল : শুনানী বুধবার
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেটের ৯ বছরের শিশু আবু সাঈদকে অপহরণ ও হত্যা মামলার অভিযোগপত্রের উপর শুনানী বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। ৪ জনকে আসামী করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়েছে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে সিলেট মহানগর হাকিম ১ম আদালতে অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন মহানগর পুলিশের সহকারি কমিশনার (প্রসিকিউশন) আবদুল আহাদ চৌধুরী। মামলাটি তদন্ত করেন কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসাইন। শিশু সাঈদের মামা জয়নাল আবেদীন ও মামলার আইনজীবী আব্দুল মজিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী আব্দুল মজিদ জানান, চার্জশিটভূক্ত আসামিরা হলেন- বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল (বরখাস্তকৃত) এবাদুর রহমান পুতুল, র্যাবের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা, সিলেট জেলা ওলামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিব ও প্রচার সম্পাদক মাহি হোসেন মাছুম। এর মধ্যে মাছুম পলাতক ও বাকিরা কারান্তরিণ রয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১১ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট নগরীর রায়নগর থেকে স্কুলছাত্র আবু সাঈদকে (৯) অপহরণ করা হয়। এরপর ১৩ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় বিমানবন্দর থানার পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের কুমারপাড়াস্থ ঝর্ণারপাড় সবুজ-৩৭ নং বাসার ছাদের চিলেকোঠা থেকে সাঈদের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল এবাদুর, র্যাবের সোর্স গেদা ও ওলামা লীগ নেতা রাকিবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার পর গা ঢাকা দেয় ওলামালীগের আরেক নেতা মাছুম।
এদিকে, গ্রেফতারের পর এবাদুর, গেদা ও রাকিব তিনজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। তারা সাঈদ হত্যার সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে।
প্রসঙ্গত, নিহত আবু সাঈদ রায়নগর হযরত শাহ মীর (র.) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ও একই এলাকার দর্জিবন্দ বসুন্ধরা ৭৪ নম্বর বাসার আব্দুল মতিনের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার এড়ালিয়াবাজারের খশিলা এলাকায়।