বড়লেখায় দ্বিতীয় বিয়ের দিন সহোদরসহ প্রবাসী কারাগারে
যৌতুক দাবী ও প্রতিবন্ধী স্ত্রীকে নির্যাতন
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বড়লেখায় দফায় দফায় যৌতুক আদায় করেও খায়েস মিটেনি যৌতুক লোভী কাতার প্রবাসী স্বামী নজরুল ইসলামের (৩৮)। আমেরিকায় যাওয়ার ১৫ লাখ টাকা না পেয়ে চার বছর আগে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে প্রতিবন্ধী স্ত্রীকে পাঠিয়ে দেন পিত্রালয়ে। গত আড়াই মাস পূর্বে দেশে আসেন নজরুল ইসলাম। স্ত্রী ও ৮ বছরের শিশু কন্যার খোঁজ খবর না নিয়েই তিনি কিশোরী এক মেয়েকে দ্বিতীয় বিয়ের জন্য মঙ্গলবার দিনক্ষণ নির্ধারন করেন। বিনা অনুমতিতে দ্বিতীয় বিয়ের খবর শুনে প্রথম স্ত্রী ইয়াছমিন বেগম স্বামী, শ্বাশুড়ি, দেবর, ননদসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে যৌতুক দাবী ও নারী নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা করেন। সোমবার রাতে পুলিশ সহোদর আব্দুস শুকুরসহ যৌতুক লোভী প্রবাসী স্বামী নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।
[ads1]মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার চান্দগ্রাম এলাকার ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী চার ভাইয়ের শরীরিক প্রতিবন্ধী বোনকে ২০০৬ সালে চন্ডিনগর গ্রামের মৃত তবারক আলীর ছেলে নজরুল ইসলামের সাথে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর প্রবাসী ভাইয়েরা বোনের সুখের জন্য ৬ লাখ টাকা খরচ করে তাকে কাতার পাঠিয়ে ভাল চাকুরী দেন। যৌতুক লোভী নজরুল প্রায়ই বিভিন্ন অজুহাতে স্ত্রীর ভাইদের নিকট থেকে ২৪ লাখ টাকা আদায় করে। প্রায় চার বছর আগে দেশে এসে আমেরিকা যাওয়ার টাকার জন্য স্ত্রীকে চাপ দেয়।
প্রবাসী ভাইয়েরা টাকা না দেয়ায় নজরুল স্ত্রীর ওপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। স্বামী প্রবাসে যাওয়ার পর শ্বাশুড়ি জমিলা বেগম, ভাসুর খয়রুল ইসলাম, দেবর আব্দুস শুকুর, ননদ ছায়রা বেগম, নাজমা বেগম প্রমূখ নির্যাতন চালালে ভুক্তভোগী শারীরিক প্রতিবন্ধী স্ত্রী ইয়াছমিন ৮ বছরের শিশু কন্যাকে নিয়ে পিত্রালয়ে চলে যান। দেড় মাস আগে নজরুল ইসলাম দেশে এসে স্ত্রী ও সন্তানের খোঁজ খবর না নিয়ে উপজেলার গ্রামতলায় এক কিশোরী মেয়েকে দ্বিতীয় বিয়ের আয়োজন করেন।
বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, প্রতিবন্ধী স্ত্রীকে নির্যাতন, যৌতুক দাবী ও বিনা অনুমতিতে দ্বিতীয় বিয়ের আয়োজনের অভিযোগ পেয়ে স্বামী নজরুল ইসলাম ও তার ভাই আব্দুস শুকুরকে সোমবার রাতে পুলিশ গ্রেফতার করে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।