ফেসবুকে কটুক্তির জের : ছাত্রলীগের দুইকর্মী ছুরিকাহত : আটক ২
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগের দুইকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থায় আশঙ্কাজনক। তাকে ঢাকা বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপরজনের শরীরে অস্ত্রোপচার হয়েছে ওসমানীতে। এ ঘটনায় পুলিশ হাসপাতাল থেকে দু’জনকে আটক করেছে। ছুরিকাঘাতে আহতরা হলেন- ছাত্রলীগকর্মী ফাহাদ আহমদ ও কামরান হোসেন খান। এর মধ্যে ফাহাদকে পিঠে ছোরাবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা বক্ষব্যাধি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনায় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের উপ প্রচার সম্পাদক মোস্তাক আহমদ পলাশ আহত এবং তার স্ত্রী ও ছেলে নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে কটুক্তির জের ধরে গতকাল শনিবার রাত (শুক্রবার দিবাগত রাত) আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি এমদাদ রহমান জানান-সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী ও ছেলেকে হারান আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহমদ পলাশ। পলাশ নিজেও গুরুতর আহত হন।
গত শুক্রবার দিবাগত রাতে আওয়ামী লীগ নেতা পলাশকে ওসমানী হাসপাতালের আইসিইউতে দেখে এসে বাইরে অবস্থান করছিলেন ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। এসময় ইফতেখার মালিক তানভীর নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে আহত পলাশের ছবি দিয়ে স্ট্যাটাস দেয়া হয় ‘আল্লাহর বিচার আল্লাহ করেন, থ্যাংকস গড’।
এই স্ট্যাটাস দেখে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। কিছু সময় পর স্ট্যাটাসদাতা তানভীরকেও তারা পেয়ে যান আইসিইউ বিভাগের বাইরের বারান্দায়। তখন তার কাছে এরকম স্ট্যাটাস দেয়ার কৈফিয়ত চাইলে তানভীর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সাথে দুর্ব্যবহার করে।
এক পর্যায়ে তানভীরের মামা পরিচয়দানকারী মাহবুব নামের আরেক যুবক সেখানে উপস্থিত হন। তিনিও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এতে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী মাহবুবকে ধাওয়া করেন। কিছুদূর যাওয়ার পর পূবর্ থেকে ওৎ পেতে থাকা তানভীর ও মাহবুবের সহযোগীরা ছাত্রলীগকর্মী ফাহাদ ও কামরানকে ছুরিকাঘাত করে। পরে পুলিশ এসে তানভীর ও মাহবুবকে আটক করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার এসআই মাসুদ রানা বলেন,‘ দুজনকে আটক করা হয়েছে। এখনো কোনো অভিযোগ কেউ দেয়নি। অভিযোগ না পেলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।’