অনলাইন মিডিয়া দ্রুত সংবাদ ছড়িয়ে দিতে পারে : জেলা পরিষদ প্রশাসক আজিজুর রহমান
মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার চেয়েও অনলাইন সাংবাদিকরা দ্রুত সংবাদ ছড়িয়ে দিতে পারেন। প্রায় যখন তখন সংবাদ, ছবি ও ভিডিও একই সাথে পরিবেশন করা যায় বলে বর্তমান সময়ে অনলাইন গণমাধ্যমের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। গত ১ অক্টোবর সকালে মৌলভীবাজারের অনলাইন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে এক সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় সভায় মৌলভীবাজারের প্রবীন আওয়ামী রাজনীতিবিদ, বর্ষীয়ান নেতা, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি, সাবেক সাংসদ, সাবেক হুইপ, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক, জেলা পরিষদ প্রশাসক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আজিজুর রহমান একথা বলেন। অনলাইন সাংবাদিকদের প্রশংসনীয় ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন- অনলাইন সাংবাদিকদেরকে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের চেয়ে অনলাইন সাংবাদিকরা অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন। তবে, সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেইসবুকে কিছু লোক বিভ্রন্তিকর ছবি ও লেখা পোষ্ট করার কারনে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। নতুন প্রজন্ম সামাজিক যোগাযোগের এ ওয়েবসাইটটি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন- জাতির পুজির বিকাশ ছাড়া গনতন্ত্রের বিকাশ হয়না, গনতন্ত্র থাকেনা। মুক্তবাজার অর্থনীতির মত পলিটিক্স এডুকেশনও অনেকটা বিজনেস মাইন্ডেট হয়ে গেছে। গত ২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব গ্রহন করার পর, জেলা পরিষদ প্রশাসক হিসাবে কোটি টাকা মূল্যের গাড়ী ব্যবহার করলেও মাসিক সম্মানী মাত্র ২৭ হাজার টাকা। অথচ সবমিলিয়ে প্রতি মাসে মেইন্টেনেন্স খরচ রয়েছে ২ লাখ টাকার মত। মৌলভীবাজারের রাজনীতি সম্পর্কে এই নেতা বলেন- দলীয় হাই কমান্ডের নির্দেশই চুড়ান্ত হবে। আমার হাত ধরেই মৌলভীবাজারে অনেক রাজনীতিবিদ জন্ম নিয়েছেন। আমি ১৯৬৮ সালে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে অংশগ্রহন করি। ২৭ বছর বয়স থেকে আমি সংস্কৃতি-রাজনীতিসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের সাথে জড়িত। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মরহুম সৈয়দ মহসীন আলী ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেননা। মৌলভীবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর থেকে তার পরিচিতি বাড়তে থাকে। (তার আগে মৌলভীবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন মরহুম সজ্জাদুর রহমান পুতুল- যার কাছে সৈয়দ মহসীন আলী দুই দুইবার পরাজিত হয়েছিলেন) আমি ১৯৭০ সালে গণপরিষদ নির্বাচন ও পরবর্তীতে ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে হুইপ নির্বাচিত করেন। ১৯৮৬ সালে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হই। ১৯৬২ সালে আমি শিক্ষা আন্দোলন ও ফাইন্যান্স কমিটির ক্যাশিয়ার ছিলাম। ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন- মৌলভীবাজারে বিএনপি’র রাজনৈতিক লোক খুব কমই আছেন। যারা আছেন তারা প্রায় সবাই সাইফুর লীগ করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই আমার পিঠে হাত বুলিয়ে রাজনীতিতে অংশগ্রহন করান। চা-শ্রমিকদের ভোটের অধিকার ছিলনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই চা-শ্রমিকদেরকে ভোটের অধিকার দিয়েছিলেন। আগেকার আওয়ামীলীগের সাথে বর্তমান আওয়ামীলীগের কোন মিল নেই। শেখ মুজিব ১৯৭১ সালের ১৯ জানুয়ারী দেশের সকল এমপিকে ডাকলেন। তখন সেখানে আমিও ছিলাম। প্রথমেই আমার নাম ধরে ডেকে বললেন মৌলভীবাজারের বড়লেখায় অমুক রাস্থার কাজ হবে। সংক্ষিপ্ত এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- মৌলভীবাজারের বিশিষ্ট সাংবাদিক সরওয়ার আহমদ, বাংলাদেশ অনলাইন সাংবাদিক কল্যাণ ইউনিয়নের জেলা সভাপতি শ. ই. সরকার জবলু, মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসকাব আহবায়ক মশাহিদ আহমদ, সদস্য সচিব মতিউর রহমান, সিনিয়র সদস্য দুরুদ আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য হোসাইন আহমদ ও এমদাদুল হক।