নবীগঞ্জের বখাটের পক্ষ নিয়ে জনতার হামলায় একই পরিবারের ৪জন সহ আহত ৫

মামলা নিচ্ছে না পুলিশ দাবী পরিবারের লোকজনের

Pic Nabi 1নবীগঞ্জ প্রতিনিধি: নবীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়ী অঞ্চল খ্যাত গজনাইপুর ইউনিয়নের নিভৃত পল্লী শতক শৈরাবাজ গ্রামে স্বামী পরিত্যক্তা মহিলাকে রাতের আধারে যৌন হয়রানির চেষ্টার ঘটনার প্রতিবাদ করায় মহিলাসহ ৫ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে বখাটে ও তার লোকেরা। আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় হামলার শিকার পরিবারের লোকজন থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশের রহস্যজনক কারনে মামলা করতে পারেনি অসহায় পরিবারের লোকজন। উল্টো বাড়িঘর ছেড়ে প্রভাবশালীদের ভয়ে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী ও নির্যাতিত পরিবারের সুত্রে জানাযায়, উপজেলার শতক শৈরাবাজ গ্রামের আব্দুল আজিদের কন্যা মাসুমা বেগম (১৯) কে প্রায় ৮ মাস পুর্বে মৌলভী বাজার সদরের পুুইলপুর গ্রামের বইন্না মিয়ার ছেলে সমুজ মিয়ার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবন ভালই চলছিল। কিছু দিন যেতে না যেতেই কনের গ্রামের আনসার মিয়ার পুত্র বখাটে উজ্জল মিয়া তাদের সংসার ভেঙ্গে দেয়ার জন্য উটে পড়ে লেগে যায়। এক পর্যায়ে মাসুমার স্বামীকে ভুল বুঝিয়ে ৪ মাসের মাতায় তাদের সংসার ভেঙ্গে যায়। মাসুমা চলে আসে তার বাপের বাড়ীতে। এখানে এসে ও সে বখাটে উজ্জলের যন্ত্রনায় অতিষ্ট হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে প্রকৃতির ঢাকে সাড়া দিয়ে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত প্রায় ১ টার দিকে ঘর থেকে বাহির হওয়া মাত্রই পুর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা বখাটে উজ্জল তাকে ঝাপটে ধরে পার্শ্বের নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষন করার চেষ্টা চালায়। এ সময় তার আর্তচিৎকারে ঘর থেকে তার ভাই ও পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে তাদের উপর হামলা করে বখাটে উজ্জল পালিয়ে যায়। এ ঘটনারই সুত্র ধরে বখাটে পরিবারের লোকজন পরদিন বুধবার দুুপুরে বখাটে উজ্জলের নেতৃত্বে একদল লোকজন ওই নির্যাতিত পরিবারের বাড়ীতে হামলা ও লুটপাট চালায়। এ সময় ওই পরিবারের উল্লেখিতরা আহত হয়। আহতরা হলো , মাসুমা (২০), তার ভাই আব্দুল কাহির (১৭), তার মা মাহিমা বেগম (৪০), তার দাদী লাল ভানু বিবি (৬০) ও একই গ্রামের মকদ্দুস মিয়ার ছেলে রাশেদ মিয়া (১৮)। এ ব্যাপারে যৌন হয়রানির শিকার মাসুমা বেগমের মাতা মাহিমা বেগম বেগম জানান, প্রভাবশালীদের ভয়ে আমরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ আমাদের মামলা নেয়নি। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।