মন্ট্রিয়লে সঙ্গীত শিল্পী রুমা’র ‘রাত জোনাকি’র জাঁকজমক প্রকাশনা উৎসব

IMG_8557সদেরা সুজন: দেবপ্রিয়া কর রুমা। সঙ্গীত জগতে এক অসাধারণ শিল্পী। মন্ট্রিয়ল প্রবাসী হলেও তার ব্যাপ্তি অনেক বিশাল, দেশ থেকে দেশান্তরে সঙ্গীত প্রমিকদের হৃদয়ে হৃদয়ে। তাঁর অসাধারণ কন্ঠে গান-সুর প্রাণ ছোঁয়ে যায়।
জনপ্রিয় শিল্পী দেবপ্রিয়া কর রুমার সিডিv এ্যালবাম যা দু’বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী নচিকেতার কথা, সুর ও সঙ্গীত আয়োজনে ‘রাত জোনাকি’র প্রকাশনা উৎসব ও সঙ্গীত সন্ধ্যা হয়ে গেলো মন্ট্রিয়লের লা ভোঁয়া স্কুল অডিটোরিয়ামে। গত শনিবার বিপুল সংখ্যাক প্রবাসীর উপস্থিতিতে জাঁকজমক অনুষ্ঠানে এ্যালবামটি আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন বাংলা ভাষার অন্যতম ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন ও মন্ট্রিয়লের বাঙালি কমিউনিটির অন্যতম সমাজসেবক রীতীশ চক্রবর্তী। মন্ট্রিয়লের প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী ও উপস্থাপিকা শর্মীলা ধরের প্রাণবন্ত পরিচালনায় প্রাঞ্জল, সুন্দর মনোরম ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানটি ছিলো হৃদয় স্পন্দনে আলোকিত।
IMG_8590দেবপ্রিয়া কর রুমার পাশাপাশি সঙ্গীত পরিবেশন করেন শফিউল ইসলাম, নীলেশ ভট্টাচার্য, তৃপ্তি দাস, মনিকা মনি, সোমা চৌধুরী, ভেলিন্টিনা ভৌমিক ও অনুজা দত্ত। কবিতা আবৃত্তি কনেন শামসাদ রানা, আফাজ উদ্দীন তোতন, মুফতি ফারুখ এবং সঞ্জিব দাস উত্তম। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন নির্মলেন্দু কর মানিক, মায়া কর, মুনাল পিংকু, দীপক ধর অপু, মোস্তাফিজুর রহমান লাভলু, সাংবাদিক গোপেন দেব ও দেবপ্রিয়া কর রুমা।
প্রধান অতিথির ভাষণে প্রখ্যাত ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন বলেন ‘গলা পৃথিবীতে দু’প্রকার হয়, খাওয়ার ও গাওয়ার গলা। ঈশ্বর খাওয়ার গলা আমাকে আর গাওয়ার গলা রুমাকে দিয়েছেন। রুমা তুমি খুবই ভাগ্যবতী। সঙ্গীত মানুষকে নিয়ে যায় আত্মার কাছে। সঙ্গীত শিল্পী হচ্ছে মানুষের আত্মার আত্মীয়। রুমাও সে অর্থে আত্মার আত্মীয়। একজন সঙ্গীত শিল্পীর পথযাত্রা, অভিযাত্রা যে কত কষ্টের। সে রক্তাক্ত হতে হয়, বেদনার্ত হতে হয়, অশ্রুর প্লাবনে ভাসতে হয়, অপমানিত হতে হয়, লাঞ্চিত হতে হয়। এই সমস্ত অপমান, কান্না রক্তকরণকে দু’পায়ে ঠেলে একজন শিল্পীকে এগিয়ে যেতে হয়। শিল্পীর পথ কখনোই মসৃণ নয়। রুমা তুমি এগিয়ে যাবে তোমার এগিয়ে যাবার পথ কুশমাস্তিন্ন থাকবে না, সেখানে কাঁটা বিচানো থাকবে, তুমি কাঁটা বিচানো পথে হেঁটে যাবে, তোমার পথ রক্তাক্ত হবে, তোমার হৃদয় রক্তাক্ত হবে, কিন্তু থেমে যাবে না। তুমি তখন বেদনার গান গাবে, তখন তোমার বেদনার গান শোনে অশ্রুস্বজল হবো, আমাদের তরুণ-তরুণীরা তোমার গান শোনে প্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে, আমাদের বিদ্রোহী-বিপ্লবীরা তোমার গান শোনে দ্রুহে এবং সংগ্রামে এগিয়ে যাবে। তোমার সুরে আমি চাইবো আমরা যে অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলি স্বপ্ন দেখি সেই অসাম্প্রদায়িকতার ও মানবতার গান গাইবে….’।
অনুষ্ঠানে সঙ্গীতের পাশাপাশি ছিলো দৃষ্টিনন্দন নৃত্যানুষ্ঠান।দেবপ্রিয়া কর রুমা প্রবাসে আসার পূর্বে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের নিয়মিত শিল্পী ছিলেন।বরাবরই অনেক শুভ কামনা সঙ্গীত শিল্পী রুমার জন্য। ওর ব্যাপ্তি অব্যাহত থাকুক দেশ থেকে দেশান্তরে ।