নবীগঞ্জে সরকারী রাস্তা জবর দখলের জের : শালিস বৈঠকে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আহত ২
উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ থেকেঃ নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের গাবদেব গ্রামে একটি রাস্তাকে কেন্দ্র করে অনুষ্টিত শালিস বৈঠকে গত রবিবার বিকালে প্রতিপক্ষের লোকজনের ছুরিকাঘাতে দু’ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে তাদের অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরন করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে গতকাল সোমবার গুরুতর আহত আবুল হাসান বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয় ও মামলা সুত্রে জানাযায়, উক্ত ইউনিয়নের দরগাপাড়াস্থ সরকারী হাসপাতালের মোড় হইতে গাবদেব অভিমুখী প্রায় অর্ধ কিলোমিটার সরকারী পাকা রাস্তার উভয় পাশের ফুটপাতের রাস্তার অংশ টুকু দরগাপাড়া গ্রামের মৃত গোলাপ মিয়ার ছেলে সোহেল উজ্জামানসহ তার সহযোগীরা জোরপুর্বক মাটি ভরাট করে দখলের পায়তারা করে। এক পর্যায়ে কিছু অংশ বাশেঁর বেড়া এবং কিছু অংশে পাকা দেয়াল নির্মাণ করলে স্থানীয় লোকজন উক্ত রাস্তার জায়গায় দেয়াল নির্মাণ না করার জন্য অনুরোধ করেন। তাদের অনুরোধের কোন তোয়াক্কা না করে দেয়াল নির্মাণ করলে উত্তেজনা বিরাজ করে। খবর পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান বিষয়টি শালিসে নিঃস্পত্তির আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। গত রবিবার ছিল শালিস বৈঠকের পুর্ব নির্ধারিত তারিখ। যথা সময়ে চেয়ারম্যানের আহ্বানে গাবদেব সরকারী প্রাইমারী স্কুল প্রাঙ্গনে শালিস বৈঠক শুরু হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আবুল খায়ের গোলাপ, বিশিষ্ট মুরুব্বী ও চিকিৎসক ডাঃ আব্দুল হাইসহ এলাকার গণ্যমান্য মুরুব্বীয়ান। বৈঠক চলাকালীন তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে গাবদেব গ্রামের মৃত আব্দুল গণির ছেলে আবুল হাসান এবং দরগাপাড়া গ্রামের মোস্তাকের মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে পুর্ব আক্রোশে এবং পুর্ব পরিকল্পিতভাবে দরগাপাড়া গ্রামের মৃত হাছন আলী ওরপে পিরুল্লাহর ছেলে মুস্তাকিম আলী, তার সহোদর মোস্তাক মিয়া,মুতাব্বির, মহসিন, সোহেল উজ্জামান, আজমল ও সুয়েব মিয়ার নেতৃত্বে একদল লোক আবুল হাসানের উপর অর্তকিতভাবে হামলা চালায়। তাদের অর্তকিত হামলায় আবুল হাসান মাটিতে লুটে পড়লে র্দূদান্ত মোস্তাক ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে ছুরিকাঘাত করলে সে রক্তাক্ত জখম হয়। এ সময় তাকে বাচাঁতে একই গ্রামের মৃত হাজী আকল মিয়ার ছেলে তজম্মুল হক এগিয়ে আসলে মুস্তাকিম আলী ধারালো ছুরি দিয়ে তাকেও রক্তাক্ত জখম করে। তাদের এলোপাথাড়ি হামলা, মারপিট ও ছুরিকাঘাতের ঘটনায় মুহুর্তের মধ্যে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় হামলাকারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। খবর পেয়ে গোপলার বাজার ফাড়িঁ পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন, মুস্তাকিম ও সোহেল উজ্জামান গংরা রাস্তার পাশের ফুটপাতের অবশিষ্ট জায়গা জবর দখলে নেয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপচেষ্টা করে আসছিল। এক শালিস বৈঠকেরে মাধ্যমে রাস্তার জন্য ১৫ হাত প্রস্থ জায়গা রাখা হয়। এরপরও তারা জোরপুর্বক ওই ভুমি টুকু জবর দখলে নেয়ার জন্য দেয়াল নির্মাণ করলে ঘটনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে। এ ব্যাপারে আবুল হাসান বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করেছে বলে জানাগেছে।