নবীগঞ্জের কৃতি সন্তান সুনামগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ হারুনুর রশিদ হারুন আর নেই

Harunur-Rashi-d-Tipu2উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)থেকেঃ নবীগঞ্জের কৃতি সন্তান সুনামগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ ( নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক) ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ঘোলডুবা গ্রামের বাসিন্দা হারুনুর রশিদ হারুন (৫৮) আর নেই। তিনি গত বুধবার রাত সাড়ে ৯ টায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল¬াহি——রাজিউন)। গতকাল শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় ঘোলডুবা খেলার মাঠে মরহুমের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
উলে¬খ্য,উপজেলার ঘোলডুবা গ্রামের বাসিন্দা আলহাজ্ব মরহুম হিরা মিয়ার পুত্র ও নবীগঞ্জ মিনিবাস মারিক সমিতির সভাপতি বজলুর রশিদেও বড় ভাই হারুনুর রশিদ টিপু নবীগঞ্জ জেকে উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি,সিলেট এমসি কলেজ থেকে বিএ,সিলেট আইন কলেজ থেকে এল এলবি পাশের পর ১৯৮২-১৯৮৪ সাল পর্যন্ত সিলেট বারে প্রেক্টিস করেন। এরপর লন্ডনে ব্যারিষ্টারী পড়তে যান। লন্ডনে থাকাবস্থায় ১৯৮৫ সালে সেখান থেকে বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে বিসিএস ক্যাডার হিসেবে সহকারী জজ হিসেবে প্রথম কর্মস্থল সিলেট জজ কোর্টে যোগদান করেন। মরহুম হারুনুর রশিদ টিপু চাকুরী জীবনে নির্বাচন কমিশন,আইন,বিচার ও সংসদ বিষযম মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ জেলা ও দায়রা জজ ( নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মরহুমের পারিবারিক সূত্র জানায়,তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত রোগে ভুগছিলেন। সম্প্রতি চিকিৎসার জন্য তিনি যুক্তরাজ্যে যান। গত বুধবার রাতে ঢাকর বাসায় অসুস্থ্যবোধ করলে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। মরহুমের স্বজনরা যুক্তরাজ্য থেকে দেশে এসে জানাযায় অংশ নেয়ার কারনে গতকাল শুক্রবার তাঁর নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। লাশটি সিলেট ওসমানী মেডিকেলের হিমাগারে রাখা হয়েছিল। মৃত্যুকালে তিনি মা,স্ত্রী ১ পুত্র,২ কন্যা,৫ ভাই,৫ বোনসহ আত্মীয় স্বজন ও বহু গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুতে নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি এটি এম নুরুল ইসলাম খেজুর ও সাধারন সম্পাদক প্রভাষক উত্তম কুমার পাল হিমেল গভীর শোক জানিয়ে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।