মুক্তি পেলো রেশমার ১৭ দিনের জীবনযুদ্ধের গল্প
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে দেরি হয়েছে, তবে খুব বেশি নয়, মাত্র এক সপ্তাহ। দর্শকদের মাত্র এক সপ্তাহ অপেক্ষায় রেখে অবশেষে মুক্তি পেয়েছে রানা প্লাজার ধংসস্তূপের নীচে রেশমার ১৭ দিন আটকে থাকার গল্প। ২০১৩ সালে সাভারের রানা প্লাজা ধসে পড়ায় প্রায় সাড়ে এগারোশ’ মানুষ মারা যায়। নিহতদের প্রায় সবাই পোশাক শ্রমিক। ভবনটি ধসে পড়ার ১৭ দিন পর ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয় রেশমা আক্তারকে। পোশাক শ্রমিক রেশমাকে জীবিত উদ্ধারের সেই সত্যি ঘটনার সঙ্গে প্রেমের কল্পনার রং মিলিয়েই তৈরি হচ্ছে পূর্ণ দৈর্ঘ চলচ্চিত্র ‘রানা প্লাজা’। ছবিটির প্রদর্শনী ও সম্প্রচার ছয় মাস বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তবে সুপ্রিম কোর্ট সেই আদেশ খারিজ করে দেয়ায় নির্ধারিত সময়ের এক সপ্তাহ পরই ছবিটি মুক্তি পেল।
ছবিটির পরিচালক নজরুল ইসলাম খান। রেশমার চরিত্র রূপায়ন করেছেন পরিমনি। পরিচালক নজরুল ইসলাম খান এবং নায়িকা পরিমনি এই প্রথম সত্যি ঘটনা নিয়ে তৈরি প্রেমের ছবির জন্য আলোচনায় এলেন। ‘রানা প্লাজা’ ছবিতে পরিমনির বিপরীতে অভিনয় করেছেন নবাগত সায়মন।
সাভারে ধসে পড়া ভবন থকে ১৭ দিন পর উদ্ধার করা হয় জীবিত রেশমাকে। তিনি এখন সুস্থ আছেন। কিন্তু ধসে পড়া রানা প্লাজার মধ্যে কিভাবে সতের দিন কাটিয়েছেন তিনি? প্রশ্ন অনেকের মনে। চলুন ছবিতে উত্তর খোঁজা যাক।
২ ঘণ্টা ১৭ মিনিট ১৬ সেকেণ্ডের এই চলচ্চিত্রটি প্রচারে একাধিকবার বাধা এসেছে। শুটিং শুরুর পরই কেউ কেউ এ ছবি ‘গার্মেন্টস শিল্পকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে’ – এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন। পরে সেন্সর বোর্ডের রিভিউ কমিটিও ছবিটি নিয়ে আপত্তি তোলে। ‘রানা প্লাজা’-কে সনদ না দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছিল। ‘ভীতিকর দৃশ্য’ দেখানোর অভিযোগে তারপর হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেছিলেন ন্যাশনাল গার্মেন্ট ওয়ার্কার্স এমপ্লয়িজ লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট ‘রানা প্লাজা’-র প্রদর্শনী ও সম্প্রচার ছয় মাস স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়। শুরুতে আপত্তি থাকলেও সেন্সর বোর্ড পরে ছবিটিকে সনদ দিয়েছিল। হাইকোর্ট সেই সনদের কার্যকারীতাও ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে। হাইকোর্টের এই দু’টো সিদ্ধান্ত আপিল বিভাগে খারিজ হওয়ার কারণেই শুক্রবার মুক্তি পেল ‘রানা প্লাজা’। সূত্র ডি ডব্লিউ