উপশহরে গুজব ছড়িয়ে ইমামদের উপর যুবলীগের হামলা
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ রবিবার বেলা দেড়টার দিকে নগরীর উপশহরস্থ স্প্রিং টাওয়ারে জামায়াতের হামলার গুজব ছড়িয়ে ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের উপর হামলা চালিয়েছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। পরে পুলিশ গিয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া করে আক্রান্তদের উদ্ধার করে। এসময় ইসহাক জাবেদ নামের এক ট্রাভেলস ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ। ইসহাক জাবেদ ও তার ভাই ইব্রাহিম জাবেদের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যে ইমাম ও মুয়াজ্জিন পাঠানোর নামে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
প্রতারিত ইমামরা জানান- ইব্রাহিম জাবেদ ও তার ছোট ভাই ইসহাক জাবেদ ট্রাভেলস ব্যবসায়ী। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ইমাম ও মুয়াজ্জিন নিয়োগের কথা বলে জনপ্রতি ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা আদায় করা হয়। এভাবে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাত করেন দুই ভাই। বিদেশ যেতে না পেরে ইমাম ও মুয়াজ্জিনরা টাকা চাইলে দুইভাই সময় ক্ষেপন করতে থাকেন। এ ঘটনায় প্রতারিতরা কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন।
ইমামরা জানান- রবিবার ইব্রাহিম জাবেদ ও ইসহাক জাবেদ বাসায় অবস্থান করছেন খবর পেয়ে ইমামরা গিয়ে বাসা ঘেরাও করেন। এসময় ইব্রাহিম ও ইসহাকের ছোট ভাই যুবলীগ কর্মী অলক দলীয় নেতাকর্মীদের জানায় তার বাসায় জামায়াত হামলা করেছে। এমন খবর পেয়ে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা গিয়ে ইমামদের উপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে কোতোয়ালী থানার সহকারি কমিশনার সাজ্জাদুল আলম পুলিশ নিয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া করেন এবং ইসহাক জাবেদকে গ্রেফতার করেন।
অলক ও তার ভাইয়েরা ভুল তথ্য দিয়ে এ ঘটনায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের জড়িয়েছেন বলে জানিয়েছেন মহানগর শ্রমিকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপশহরের বাসিন্দা শামীম ইকবাল।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালী থানার সহকারি কমিশনার সাজ্জাদুল আলম জানান, ট্রাভেলস ব্যবসায়ী ইব্রাহিম জাবেদ ও তার ভাই ইসহাক জাবেদ মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানোর নামে ইমামদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আত্মসাত করেন। এ ঘটনায় প্রতারকদের বিরুদ্ধে ইমামরা কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ উপশহরের স্প্রিং টাওয়ারে ইব্রাহিম জাবেদের বাসায় গেলে আসামী পক্ষের লোকজন হামলা চালায়। পরে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে ও ইসহাক জাবেদকে গ্রেফতার করে।