শিক্ষক ফয়ছলের কারিশমা : ওসমানীনগরে সুপার-বিশ্বনাথে প্রভাষক
শাহ মো. হেলাল, বালাগঞ্জ: ওসমানী নগরের এক মাদরাসা শিক্ষকের কারিশমা। নিয়ম না থাকলেও ক্ষমতা ও কৌশলে একসাথে একাধিক প্রতিষ্টানে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সরকার দলের কতিপয় নেতা ও স্থানীয় কিছু স্বার্থনেষী ব্যক্তিদের আতাত করে ক্ষমতার প্রভাব খাঠিয়ে বিশ্বনাথ উপজেলার একটি মাদরাসায় এবং ওসমানী নগরের একটি মাদ্রাসায় দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওসমানী নগর উজেলায় উসমানপুর ইউনিয়নের তাহিরপুর গ্রামের বাসিন্ধা মাওলানা নেছার আহমদ ফয়ছল বিগত প্রায় ৫ বছর পূর্বে থেকে পাঁচপাড়া মোহাম্মদিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি বিগত ২বছর ধরে একই সাথে তিনি বিশ্বনাথ আলিয়া মাদ্রাসায় প্রভাষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। অভিযোগ রয়েছে, মাওলানা নেছার উভয় ম্যানেজিং কমিটিকে ম্যানেজ করে একই সাথে একাধিক প্রতিষ্টানে চাকুরি করছেন এবং সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। এছাড়াও কৌশলে গত দু-বছর পূর্বে স্থানীয় কতিপয় নেতার সহযোগিতায় পাঁচপাড়া মাদরাসা’র পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব দেন তারই চাচাত ভাই আব্দুল মালিককে। কমিটির অন্যান্য সদস্য হিসেবে অর্šÍভূক্ত করেন তারই পছন্দ মতো লোকদের। অভিযোগ রয়েছে প্রভাব খাটিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে উক্ত মাদ্রাসায় তার পছন্দসই শিক্ষক নিয়োগ দেন তিনি। ফয়ছল স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী হওয়ার কারনে তাঁর অনৈতিক আচরণের বিরুদ্ধাচারন করলেই চাকুরিচুত্য করা হয় শিক্ষকদের। অতি সম্প্রতি পাঁচপাড়া মাদরাসার ইংরেজি শিক্ষক আকাশ আহমদ ও আরবি শিক্ষক সৈয়দ শরিফ আহমদকে অপসারন করেন তিনি। তিনি দরিদ্র পরিবারের সন্তান হলেও বর্তমানে তিনি নানা অনৈতিক ভাবে অর্থ উপর্জন করে বৃত্তশালী হয়েছেন।
সম্প্রতি পাঁচপাড়া মাদরাসায় বিভিন্ন দূর্নীতির কারনে সহকারী শিক্ষকদের অপসারনসহ নানাবিধ অনিয়মের কারনে মাওলানা ফয়ছলের বিরুদ্ধে ছাত্র, শিক্ষকসহ এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তীব্র আন্দোলন সৃষ্টি হইলে অভিনব কৌশল অবলম্বন করে তিনি মাদ্রাসার তৎকালীন সভাপতি মফিজ মিয়ার কাছে তার পদত্যাগ পত্র পেশ করেন। পরবর্তীতে আন্দোলন স্থিমিত হলে আবারও তার চাচা মাওলা নজির আহমদের সহযোগিতায় মাওলা ফয়ছল পাঁচপাড়া মাদরাসায় সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং একই সাথে অদ্যবধি বিশ্বনাথ ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষকের দায়িত্বও পালন করে যাচ্চেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার স্থানীয় লোকজন অনতি বিলম্বে অপসারন করাসহ অভিযোক্ত এ শিক্ষকের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনে দাবি জানান।
আলাপকালে পাঁচপাড়া মোহাম্মদিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল মালিক জানান, এক সাথে দুটি মাদরাসায় সেবা দিয়ে যাচ্চেন শিক্ষক ফয়ছল এতে কোন প্রকার অসুবিদা হচ্চেনা।
অভিযোক্ত শিক্ষক নেছার আহমদ ফয়ছল, প্রথমে তিনি পাচঁপাড়া মাদরাসার সুপার নয় বলে জানালেও পরে তিনি বলেন ইতিমধ্যে সে পদ থেকে তিনি অব্যাহতি নিয়েছেন। বর্তমাননে অত্র প্রতিষ্টানের খেদমতগার হিসেবে আছেন।
এব্যাপার আলাপকালে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোতাহির আলী, শিক্ষক ফয়ছলের এক সাথে দুটি মাদরাসায় দায়িত্ব পালন করার বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, বিস্তারিত ফয়ছল সাহেবকে জিঞাস করলে জানতে পারবেন।