গোলাপগঞ্জের আমনিয়ায় ভয়াভহ অগ্নিকান্ড : ক্ষয়-ক্ষতি প্রায় ত্রিশ লক্ষাধিক
গোলাপগঞ্জ সংবাদদাতা:- গোলাপগঞ্জের আমনিয়াতে একটি বাড়িতে ভয়াভয় অগ্নিকান্ডে বসত-ভিটা, আসবাবপত্র ও মূল্যবান জিনিসপত্র, প্রায়োজনীয় দলিল ও কাগজপত্র আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান গত রবিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে অগ্নিকান্ডটি ঘটে। গ্রামবাসির সহযোগিতায় আগুন নিভানো ও মূল্যবান জিনিসপত্র উদ্ধার করার জন্য চেষ্টা করা হলে আগুনের তৃব্যতার কারণে এগুলো উদ্ধার করতে বার বার ব্যার্থ হন। প্রায় ঘন্টা খানিক চেষ্টার পর গ্রামবাসীর সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে কিন্তু তখন কিছুই অবশিষ্ট থাকেনি, সবকিছু জ্বলে ভূমিভূত হয়ে যায়। আগুন নিভানোর সময় কয়েকজন গ্রামবাসী আহত হন। তাদেরকে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শে তাদেরকে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। আগুনের সূত্রপাত সঠিক কারণ সম্পর্কে এখন জানা যাইনি বলে প্রত্যক্ষপর্দীরা জানান। গ্রামবাসীর সহযোগীতায় আগুন নিয়ন্ত্রনের পরক্ষনে ফায়ার ব্রিগেড ঘটনার স্থলে উপস্থিত হয়। এ সময় ফায়ার ব্রিগেড দেরি করে আসাতে উপস্থিত জনতা তাদের উপর চওড়া হয়ে যায়, কিছুক্ষন পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠে। বাড়ির মালিক ব্যাংকের অবসার প্রাপ্ত কর্মকর্তা গৌছ উদ্দিন জানান, বাড়িতে পরিবারের কেউ না থাকায় লোকজনের কোন ক্ষতি হয় নি। তবে নগদ টাকা সহ স্বর্ণলঙ্কার মূল্যবান জিনিসপত্র ও দলিল সহ সব আসবাবপত্র পুরে ছাই হয়ে যায়। তিনি বলেন সব মিলিয়ে উনাদের ক্ষতি-ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ত্রিশ লক্ষাদিক। এদিকে বুধবার সকালে গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আশরাফুল আলম খাঁন সহ গোলাপগঞ্জের উপজেলার অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, গোলাপগঞ্জে ভূমি অফিসার মৌরিন করিম, আমুড়া ইউ.পি চেয়ারম্যান আসদ্দর আলী জালালী এবং গোলাপগঞ্জের প্রেসকাবের সভাপতি ও গোলাপগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের পরিচালক আব্দুল আহাদ এবং গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিরা ঘটনার স্থল পরিদর্শন করেন। এসময় তারা বাড়ির মালিক গৌছ উদ্দিনের পরিবার প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং তাদের এই ক্ষয়-ক্ষতির ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেন।