শাবিতে জয় পরাজয়টাই মূল দ্বন্দ : মুন্নি সাহার সাক্ষাতকারে বেরিয়ে এল থলের বিড়াল (ভিডিও)

সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে নয়, একটি আইডলের পক্ষে ভিসিবিরোধী আন্দোলন

গভীর ষড়যন্তের মুখে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

Munni Saha vs SUST VC Dr. Aminul Hoque Bhuiyanসুরমা টাইমস ডেস্কঃ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রোববারের ঘটনার প্রেক্ষাপটে বেসরকারী টেলিভিশন এটিএন নিউজকে দেয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. আমিনুল হক ভূইয়াকে দোষী প্রমানের এক অভিনব সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মুন্নি সাহা।
তিনি বলেন আমরা তরুণরা জাফর ইকবালকে ও ইয়াসমিন হককে আইডল মনে করি, বাংলাদেশে আসলে অনুকরণীয় ব্যাক্তিত্ব নাই।(?) খুবই দূঃখিত আমরা, যারা আপনারা রাজনীতি করেন, যারা রাজনীতি করেননা কিন্তু বিভিন্ন ইজমে লেজুড়ভিত্তি করেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের এই প্রজন্ম জাফর ইকবাল, ইয়াসমিন হককে আইডল মনে করে, সেই আইডলকে মাটিতে ফেলে এমন পরিস্থিতি করা হয় যখন তারা ফাসি নিবেন কিনা এমন ভাবেন, এই ঘটনা একজন মানুষ হিসেবে আপনাকে কখনও কাতর করেছে কিনা? আপনিকি কালকে রাতে একটি বারও চিন্তা করেছেন কিনা যে এই প্রজন্মের কাছে আপনারা কি জবাব দিবেন? এবং এইরখম ঘটনার পূনরাবৃতি করে কতকাল ক্ষমতায় থাকতে চান? আপনারা ফাইনালি কি করবেন? মানে আপনারা চাচ্ছেন যে জাফর ইকবাল আর ইয়াসমিন হক পরাজিত হোক এটাই আপনারা চান? মুন্নি সাহার এই সাক্ষাৎকারে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে ফুটে উঠেছে যে, এখানে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করার জন্য, কিছু ব্যাক্তি কিংবা একদল লোকের জয় পরাজয়ের ব্যাপারেই মূল দ্বন্দ।
পুরো স্বাক্ষাৎকার জুড়েই উপাচার্যকে ‘জোর করে’ ক্ষমতায় যৌক্তিকতা নিয়ে বার বার প্রশ্ন করেছেন মুন্নি সাহা। উত্তরে উপাচার্য বলেছেন, তিনি জোর করে বা চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে চান না। উপাচার্যের একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ আছে। সে সময় পর্যন্ত সব শিক্ষককে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে চান তিনি।
সাক্ষাৎকারটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রথমেই মুন্নি সাহা প্রশ্ন ছুড়ে বলে ছাত্রলীগের সাথে আপনার ভাল যোগসাজস, কিংবা সরকারী দলের সাথে আপনার ভাল যোগসাজস, এটাই কি আপনার যোগ্যতা? জবাবে ভিসি বলেন, আপনার গোপালগঞ্জ বা ছাত্রলীগ না, আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিনের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতাই আমার যোগ্যতা। ভিসির জবাব সম্পন্ন করার আগেই মুন্নি সাহা মাইক সরিয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, ধরেন শিক্ষকদেরতো একটা মর্যাদার ব্যাপার থাকে, আপনি যে প্রতিষ্টানে এসেছেন সেই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাই প্রতিবাদ করেছেন, ছাত্ররাও করেছেন, সাধারন ছাত্ররা করেছেন। ছাত্র এখানে দুই রখম, কিছু আপনাদের পোষ্য (?) কিছু সরকারী দলের ক্যাডার, এবং কিছু সাধারন ছাত্রছাত্রী যারা সত্যিভাবেই পড়াশোনা করতে চায়। সাধারণ ছাত্রছাত্রী যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, যারা বাংলাদেশের ইমেজ আরও ভালভাবে যাক সেইরখম ছাত্রছাত্রী এবং কিছু শিক্ষকরা আন্দোলন করেছেন যে, আরও ভালভাবে যাতে এডমিনিস্ট্রেটিভ কাজটি আরও ভালভাবে হয়, সেখানে আপনি শিক্ষকের মর্যাদা বলতে কি বোজান? জোর করে থাকাটাকি মর্যাদার ব্যাপার বলেন কিনা? আর যেভাবে ডঃ জাফর ইকবালকে অপমান করা হয়েছে, সেটাকে আপনি, আপনিতো নিজেও শিক্ষক, আপনি সেটাতে বিব্রতবোধ করেন কিনা?
এই অসংগতিপূর্ণ প্রশ্নের জবাবে ড. আমিনুল হক ভূইয়া বলেন, আমি যখন ঢুকি সকালে, তখন শিক্ষকরা ব্যানার টান দিয়ে আমাকে আটকিয়ে দিয়েছে, এবং আমি সে রাস্তা ছেড়ে তার পাশে এসে ফারুক উদ্দিন এবং ইয়াসমিন হাত বাড়িয়ে আটকিয়ে দেয়। তারপর প্রফেসর ইউনুস উনি আমাকে ধাক্কা দিয়ে জামা টান দেয়। তারপর আমি ভিতরে ঢুকেছি।
একটা উপাচার্য লাঞ্চিত হোক এটা যেমন কাম্য নয় তেমনি কোন শিক্ষক…
ভিসির জবাব শেষ করতে না দিয়ে মুন্নি সাহা প্রশ করে বসেন যে, আপনি উপাচার্য হিসেবে লাঞ্চিত হয়েছেন, এবং সেটার পালটা হিসেবেকি শিক্ষকদের উপর ছাত্রলীগ লেলিয়ে দিয়েছেন? তখন ভিসি বলেন, অবশ্যই না। সেখানে সাধারণ ছাত্রছাত্রী ছিলেন। সাথে সাথে মুন্নি সাহা বলেন, তবেকি স্যার ছাত্রলীগের এই ঘটনা ঘটেনি? (স্যার কিন্তু বলেননি ঘটনা ঘটেনি)
উত্তরে ভিসি ববেল, সেখানে ছাত্ররাও ছিল, যেহেতু এটা এডমিনিস্ট্রেটিভ এবং একাডেমিক কাউন্সিলের বিষয়, সাধারণ যারা শিক্ষার্থী তাদের একটা কনসার্ন ছিল। এই হিসেবে তারা সেখানে ছিল। এখানে আমি কোন ছাত্রলীগ কিংবা ছাত্র সংঘঠন এই ধরনের কোন কিছু উল্লেখ করতে চাইনা। (ছাত্ররাইতো ছাত্রলীগ করে, মুন্নি সাহা কি ছাত্রলীগকর্মী শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকেরকে ছাত্র মনে করেন না। ছাত্রলীগ করলেই কি অছাত্র হয়ে যায়?)
আমার আরেকটি প্রশ্ন স্যার, আপনাকে নিয়ে এরখম যেমন আন্দোলন হচ্ছে, আপনি শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের একটি ঘোষনা নিয়ে এখন চালাচ্ছেন, শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে এইগুলো আমাকে দেখালেন, কিন্তু নিজের বিবেকের কাছেকি আপনি প্রশ্ন করেছেন যে, এথিক্যালি, শিক্ষকরাতো নৈতিকতা শিক্ষা দেয়, আপনি আসলে এই গোটা জাতিকে কি নইতিকতা শিক্ষা দিচ্ছেন?
জবাবে ভিসি বলেন, আমি আপনাকে বলি, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইশত এক জন শিক্ষক সিগনেচার করে ভাইস চ্যান্সেলরকে সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভোদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফজলে কবির হুসেনের মাধ্যমে ১৪৬ জন শিক্ষক আমার প্রতি আস্তাশীল বলে জানিয়েছেন। আরও কিছু বলার আগেই মাইক সরিয়ে নিয়ে মুন্নি সাহা বলেন, আপনার কথামত ডঃ; জাফর ইকবাল, ইয়াসমিন হক উনারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি? মানে যারা আপনার পক্ষে সিগনেচার করেছেন তারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি?
জবাবে ভিসি বলেন, যে বিষয়টি উনারা এনেছেন সেটি হচ্ছে সম্পূর্ণ একটি অযৌক্তিক বিষয়। আমার সম্পূর্ণ ব্যাক্তিগত একটি বিষয়, আমার পারিবারিক একটি বিষয় নিয়ে উনারা আমাকে দ্বায়ীত্ব থেকে অব্যাহতি নিতে বলেছেন, সেটা ঠিক নয়। ভিসির কথা শেষ না হতেই মুন্নি সাহা মাইক সরিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করেন, তাহলে একটি ব্যাক্তিগত বিষয় থেকে সৃষ্ট একটি জিনিস সেখানে ক্ষমতাসীন দল এবং দলের পেটোয়া বাহিনীকে আপনি আপনার পোষ্ট থেকে ব্যাবহার করছেন। ভিসি জবাবে বলেন একেবারেই না। তখন মুন্নি সাহা বলেন, কালকের এই ছবি গোটা বাংলাদেশের মানুষ দেখেছে, নিশ্চয়ই জানে, আপনার কথা শুনেছে। আপনি ছবিতো ভূল বলতে পারবেন না। তখন ভিসি বলেন যে, আমি বলি সেটা সাধারণ ছাত্ররাই করেছে। সেটা শিক্ষার…
ভিসির জবাব শেষ হবার আগেই মুন্নি সাহা মাইক সরিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, তিনি জানতে চান, সব ছাত্রলীগের জয়বাংলা ধ্বণি দেয়া ছাত্রদেরকে কি আপনারা সাধারণ ছাত্র বলছেন? নাকি এখানে পরতে হলে একমাত্র ক্রাইটেরিয়া এরখম সন্ত্রাসী এবং ছাত্রলীগ হতে হবে। তাদেরকেই আপনার ভাসায় আপনি সাধারণ ছাত্র বলছেন?
জবাবে ভিসি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সকল ছাত্রছাত্রীর। এখানে জয় বাংলা ধ্বণি দেয়া ছাত্ররাও ছাত্র এবং অন্যরা যারা আছেন, তারাও ছাত্র। আমার কোন পেটোয়া বাহিনী নাই। সরি।
পালটা প্রশ্ন মুন্নি সাহার, তার মানে কালকে আপনার পক্ষ হয়ে যারা আন্দোলন করল, তাদেরকে আপনি ডিসওউন করছেন?
জবাবে ভিসি বলেন, ডিসওউনের ব্যাপার না, আমি তাদেরকে ছাত্র হিসেবে ওউন করছি। তারা সাধারণ ছাত্র, তারা এসেছে তাদের একটা কনসার্নের জন্য। এখানে একটি এডমিনিস্ট্রেটিভ ও একটি কাউন্সিল মিটিং ছিল। সেজন্য সাধারণ ছাত্ররা এখানে এসেছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল, সকাল সাতটায় আমাদের সম্মানিত শিক্ষকরা এখানে এসে বসে যাওয়ার কোন যুক্তি আছে কি?
মুন্নি সাহা প্রশ্ন করেন, স্যার আপনার সম্মানিত শিক্ষক। সম্মানিত শিক্ষকদের সকাল সাতটায় আপনার দরজা আটকে দেবে সেটা আপনি মানতে পারছেননা। আপনিকি এটা মানতে পারবেন যে, সম্মানিত শিক্ষকদের উপর ছাত্ররা হামলা করবে? জবাবে ভিসি বলেন, অবশ্যই না।
সেটার কি ব্যাবস্থা নিয়েছেন।
সেটার জন্য আমি একটি কমিটি তৈরী করে দিয়েছি। তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি। তারা পুংখানুপুংখুভাবে সেটা দেখবে এবং আমাদের তিন সদস্যের কমিটির শিক্ষকদের নামও বলেন ভিসি। এরপর কিছু যোগ করতে চাইলে মুন্নি সাহা আবারও মাইক সরিয়ে নিয়ে ফের পালটা প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, কালকের ঘটনাটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি, এবং আমরা শিক্ষার্থীদের ভাবমূর্তি কতখানি সমুন্নত হয়েছে বলে আপনি মনে করেন? মানে আদৌ সমন্নিত হয়েছে কিনা?
জবাবে ভিসি বলেন, আমার মনে হয় এটি একটি প্রশ্নসাপেক্ষ ব্যাপার। অবশ্যই আমাদের তদন্ত কমিটির তদন্ত রিপোর্ট পাবার পর আমরা এর যথাযত ব্যাবস্থা নেব।
মুন্নি সাহা প্রশ্ন করেন, ডঃ জাফর ইকনাল দম্পতিকে আপনাদের এত ভয় কেন? উনাদের সততাকেকি আপনাদের ভয়? উনারা এই শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় পকেটে করে নিয়ে যাবে, এটা কি আপনাদের ভয়?
জবাবে ভিসি বলেন, আমি প্রশ্নটির উত্তর দেবনা এজন্য যে, এটা এমন একটি প্রশ্ন আপনি করেছেন, যে উনার পকেটে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাবে, কিংবা উনার সততা, এইটা না, আমি সকল শিক্ষককে শ্রদ্ধা করি। এবং প্রফেসর জাফর ইকবাল সহ এইখানে আমার বিরানব্বইজন প্রফেসর আছে। প্রত্যেককেই, আমি তাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, এবং আমি মনে করি প্রত্যেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা সম্পদ। এবং প্রত্যেকের কন্ট্রিবিউশনে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়… স্যারের জবাব সম্পন্ন না হতেই ফের মাইক কেড়ে নেন মুন্নি সাহা। আবারও প্রশ্ন, স্যার আপনি যেরখম একটা ট্রেন্ড সেট করলেন যে আপনি জোর করে থাকবেন এবং আন্দোলন হবে, তারপর ছাত্রলীগ যতদিন থাকবে এই ক্ষমতাসীন দল যতদিন থাকবে ততদিন শিক্ষক যারা দলের লেজুড়ভিত্তি করবেন তারাও এইভাবে থেকে যেতে পারবে এই ট্রেন্ড, এরখম যে একটি উদাহরন তৈরী করলেন, এই উদাহরন বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের যে শিক্ষা ব্যাবস্থা বা সুসাসনকে কতদুর নিয়ে যাবেন বলে শিক্ষক হিসেবে উত্তর দিবেন স্যার, শিক্ষক হিসেবে আমি আপনাকে মানি এবং শিক্ষক হিসেবে আমি আপনাকে এই প্রশ্নটি করলাম।
জবাবে ভিসি বলেন, এটিতো আপনার একটা প্রশ্ন আপনি করেছেন। (আপনার মত করে) আমি মনে করি যে, আপনার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে এমনও না। এটি সময়ই বলে দিবে।
সব শিক্ষকরা সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনা, প্রশ্ন করেন মুন্নি সাহা।
জবাবে ভিসি বলেন, সব প্রশ্নের উত্তর সব সময় দেয়া যায়না, আপনি জানেন। আমি চাই সবাইকে নিয়ে সুন্দর করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা। এবং এটাই আমার লক্ষ্য। বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে রেখে এবং শিক্ষামন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা এটাও আমাদের সামনে আছে। এবং জানেন যে এই বিষয়ে চার চারবার মিটিং হয়েছে।
এবার মুন্নি সাহা একদম ছোট্ট একটি প্রশ্ন(?) করে বলেন, যেভাবে কালকে যেই ঘটনাটি ঘটল, ডঃ জাফর ইকবালকে যেভাবে হেনাস্তা করা হল, আমরা তরুণরা তাকে আইকন মনে করি, বাংলাদেশে আসলে অনুকরণীয় ব্যাক্তিত্ব নাই। খুবই দূঃখিত আমরা, যারা আপনারা রাজনীতি করেন, যারা রাজনীতি করেননা কিন্তু বিভিন্ন ইজমে লেজুড়ভিত্তি করেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের এই প্রজন্ম জাফর ইকবাল, ইয়াসমিন হককে আইডল মনে করে, সেই আইডলকে মাটিতে ফেলে এমন পরিস্থিতি করা হয় যখন তারা ফাসি নিবেন কিনা এমন ভাবেন, এই ঘটনা একজন মানুষ হিসেবে আপনাকে কখনও কাতর করেছে কিনা? আপনিকি কালকে রাতে একটি বারও চিন্তা করেছেন কিনা যে এই প্রজন্মের কাছে আপনারা কি জবাব দিবেন? এবং এইরখম ঘটনার পূনরাবৃতি করে কতকাল ক্ষমতায় থাকতে চান?
জবাবে ভিসি বলেন, নাহ, এটাতো কোন অনন্তকাল ক্ষমতায় থাকার প্রশ্ন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে একটা টাইম পিরিওডের জন্য এখানে এসেছি। এবং আমি কোন অনভিপ্রেত ঘটনা চাইনা। সকল শিক্ষকের যতাযথ সম্মান দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করি।
মুন্নি সাহা বলেন, মানে সকল শিক্ষকের সম্মানের প্রতি আপনারা আছেন। ভিসি বলেন, ভাইস চেন্সেলর হিসেবে এটা আমার দ্বায়িত্ব।
মুন্নি সাহা বলেন, সেই সম্মান নিশ্চিত করার জন্য আপনি কি করছেন, প্রথমেতো স্যার ভাইস চেন্সেলরের সম্মান থাকতে হবে। তারপরেতো আপনি অন্যের সম্মান দেবেন। এভাবে টিকে থাকাটাকি সম্মানের। আপনি নিজস্ব পেটোয়া বাহিনী দিয়ে মানুষকে হেনাস্তা করে টিকে থাকা সম্মানের। আপনারতো পোর্টফোলওতে শিক্ষক নাম আছে। অথবা দলের জন্য একটি সুন্দর পথ করে দেবেন, কিন্তু এভাবে…
জবাবে ভিসি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এ্যাক্ট অনুসারে, এখানে দল আর মত না, বিশ্ববিদ্যালয় সুন্দরভাবে চলার জন্য সবাইকে নিয়ে সন্দরভাবে চলা, এটাই আমার মত।
আপনারা ফাইনালি কি করবেন? মানে আপনারা চাচ্ছেন যে জাফর ইকবাল আর ইয়াসমিন হক পরাজিত হোক এটাই আপনারা চান?
এখানে হারা জিতারতো প্রশ্ন না। উনারা এখানে শিক্ষক, উনারা এখানে কাজ করবেন, উনাদের উপর ন্যাস্ত দ্বায়িত্বগুলো পালন করবেন। জয় পরাজয়েরতো কোন বিষয় না। আমারও জয় পরাজয়ের কোন বিষয়না। স্যারের কথা শেষ হওয়ার আগেই ফের প্রশ্ন, আপনি নিশ্চয়ই স্যার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি অথবা আমি ধরে নিচ্ছি আপনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের, স্যার বলেন আমি নীল দল যেটা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সেটার কনভেবার ছিলাম তখন… মাইক কেড়ে নিয়ে ফের প্রশ্ন, আপনিকি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন? স্যার বলেন আমার মুক্তিযুদ্ধ করা হয় নাই।
এভাবে আরও অনেক অবাঞ্চিত প্রশ্ন করে মুন্নি সাহা বিব্রত করতে চান ভিসিকে। তবে মুন্নি সাহার এই সাক্ষাৎকারে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে ফুটে উঠেছে যে, এখানে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করার জন্য, কিছু ব্যাক্তি কিংবা একদল লোকের জয় পরাজয়ের ব্যাপারেই মূল দ্বন্দ। মুন্নি সাহা আশা করছেন এই সিলেটের পবিত্র মাটিতেই তাদের কাছে অনুকরনীয় আইডলের এবং ওই গোষ্টির দ্বারা লাঞ্চিত হয়ে পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে বিদায় হবেন ভিসি ড. আমিনুল হক ভূইয়া।
পুরো সাক্ষাতকারটি দেখুন ভিডিওতেঃ

https://www.youtube.com/watch?v=HBbB7jXfIKQ&feature=youtu.be

ওরে বাবা কি সিলেট বিদ্ধেষী কথা, ও চেহারা!

‘আমি যদি বড় কিছু হতাম তাহলে জাফর ইকবালকে কোর্ট পয়েন্টে ধরে এনে চাবুক মারতাম’

জাফর ইকবাল সম্পর্কে কী বলেছিলেন এমপি কয়েস!

আ.লীগ এমপির কলেজে অবাঞ্চিত জাফর ইকবাল

হাঁটুর কাছে বসার যোগ্যতা নেই, আবার অধ্যাপককে চাবুক মারার কথা বলে!