মাধবপুরে প্রবাসী হেলালকে গলা টিপে হত্যা –ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন

pic madhabpur 27.008.2015হামিদুর রহমান,মাধবপুর থেকে: হবিগঞ্জের মাধবপুরে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে প্রবাসী হেলালকে গলা টিপে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও অপমৃত্যু মামলার প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে হবিগঞ্জ বিচারিক হাকিম আদালত গত ১৩ আগস্ট এক আদেশে অপমৃত্যু মামলাটি নিয়মিত মামলায় রুজু করার নির্দেশ দেয় মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে। হেলালের ভাই মিজান মিয়ার দায়ের করা মামলা ও পুলিশ জানায়, এ বছরের গত ২০ মার্চ বাড়ি থেকে বের হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহজাদাপুর গ্রামের আবু ছায়েদের পুত্র দুবাই প্রবাসী হেলাল মিয়া (২০) হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার পিয়াইম গ্রামের নুর মিয়ার ছেলে প্রবাসী বন্ধু আলমগীরের নিকট ৮ লক্ষ পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে খুন হয়। এ ঘটনায় মাধবপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। কিন্তু ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে ডাক্তার মতামত দেন মৃত্যুর আগে হেলালকে গলায় শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া অপমৃত্যু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দেয় হেলালকে গলায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। আদালত এ দুটো প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিচারের স্বার্থে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩০২/৩০১/১১৪ ধারায় মামলা এফআই আর করার জন্য মাধবপুর থানাকে নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মাধবপুর থানা পুলিশ গত ২১ আগষ্ট হেলাল খুনের ঘটনাটি উল্লেখিত ধারায় এফআইআর করেন। অভিযুক্তরা হল আলমগীর (৩০), জামাল (২৪), নুর মিয়া (৫৬), ছাতিয়াইন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী কাসেদ (৫০), রাজিয়া খাতুন (২৫), নসাই মিয়া (৪৫), আলী হোসেন (৪৫), রাষ্ট্রু মিয়া (৩০), রফিক (২৬), গুনু (৫০), আহাদ (৪৫), ধুলা মিয়া (৫০), বাচ্চু মিয়া (৩৫), ফরাস উদ্দিন (৪২)। প্রবাসী হেলালকে হত্যার অভিযোগ এনে গত ২৫ মার্চ হবিগঞ্জ জৈষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হেলালের ভাই মিজান মিয়া মামলা করলেও পুলিশ তখন মামলাটি আমলে নেয়নি। বাদি মিজান মিয়ার অভিযোগ আসামিরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় প্রথমে খুনের মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রভাহিত করে অপমৃত্যু মামলায় রুজু হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছাতিয়ান পুলিশ ফাঁড়ির আইসি(এসআই)আব্দুল আউয়াল জানান, আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা মনির হোসেন বলেন আদালতের নির্দেশে মামলা এফআইআর করা হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তসহ আসামীদের গ্রেফতার করতে বলা হয়েছে।