খাদিমপাড়ায় নিখোঁজের ৭ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার, মূল হোতা আটক
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ নিখোঁজের ৭ দিন পর সিলেট সদর উপজেলার খাদিমপাড়া ইউনিয়নের দলইরপাড়ার আদিবাসী যুবক শ্রীনন্দ পাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার রাখালগঞ্জের একটি হাওর থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত খুনীচক্রের মূল হোতা তানজিন আহমদ রুবেল (২৮) কে আটক করা হয়েছে। তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে সনাক্তকৃত খুনী চক্রের মূল হোতা রুবেলকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানার এক পল্লি থেকে আটক করা হয়। বুধবার রাতে পুলিশ শাহপরাণ এলাকার কল্লগ্রামের এক ৫তলা ভবন থেকে রুবেলের স্ত্রী ও কতিত কাজের মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রুবেলের সন্ধান পায় পুলিশ।
পরে সিলেট সদর উপজেলার খাদিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বেলাল ও শাহপরাণ থানার অফিসার ইনচার্জ শাখাওয়াত হোসেরনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানা কাজের মেয়ে তানিয়ার বাড়ি হাজিপুর গ্রাম থেকে খুনের সাথে জড়িত মূল হোতা রুবেলকে আটক করে স্থানীয় কুলাউড়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
রুবেলকে সাথে নিয়ে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা রাখালগঞ্জের একটি হাওরে অভিযান চালায় শাহপরাণ থানা পুলিশ। এই হাওরের একটি কচুরীপানার স্তুপ থেকে ভাসমান অবস্থায় আদিবাসী যুবক শ্রীনন্দের লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার বিকেলে ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। আটককৃত রুবেলকে বিকেল ৫টায় শাহপরাণ থানায় নিয়ে আসা হয়। আটককৃত রুবেল জানায়, এই খুনের ঘটনার সাথে আরও ৪-৫জন জড়িত আছে। এর পূর্বে গত ২২ আগষ্ট শনিবার ছিনতাইকৃত সিএনপি, অটো রিক্সা সহ ৪জনকে আটক করে শাহপরাণ থানা পুলিশ। সিএনজি, অটো রিক্সা ছিনতাই করার জন্য এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে ছিনতাইকারী রুবেলচক্র।
নিহত শ্রীনন্দ পাত্র (৩০) দলইপাড়ার মরিন্দ্র পাত্রের ছেলে। শ্রীনন্দ আদিবাসীদের অধিকার আদায় নিয়ে সোচ্চার ছিল। পাত্র সম্প্রদায় কল্যান পরিষদের (পাসকপ) সভাপতি গৌরাঙ্গ পাত্র জানান- গত ২০ আগস্ট বাড়িতে ফেরার পথে নিখোঁজ হন শ্রীনন্দ। সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান- হাওরের পানি থেকে হাত-পা বাধা অবস্থায় শ্রীনন্দ পাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃত রুবেলে কাছ থেকে নিহত শ্রীনন্দ পাত্রের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।