বিশেষ প্রতিনিধি কাতার থেকেঃ নানা তদবিরের পরও শেষ পর্যন্ত শেষরক্ষা হল না কাতারের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খন্দকারের ২৬ আগষ্ট পিড়ে যেতে হচ্ছে বাংলাদেশে,তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম,ক্যালেঙ্কারির খবর পয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ১ এপ্রিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে মাসুদ মাহমুদ খন্দকারকে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়।গত ১ এপ্রিল প্রত্যাহারের নির্দেশ দিলেও, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় প্রায় চার মাস পড়ে তাকে প্রত্যাহার করে নিল । কাতারের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খন্দকারে প্রত্যাহার করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে কাতার আওয়ামী পরিবার ও প্রবাসী বাংলাদেশীরা । দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব নাজমুল হক ও কাউন্সেলর ড. সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে কাতার প্রবাসীরা, রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খন্দকারকে প্রত্যাহারের দাবিতে গত ২৫ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছিল কাতার আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ ।
দেখে নেওয়া যাক বিতর্কিত রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খন্দকারের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ গুলো ।
কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খন্দকারকে ২০১৩ সালের মে মাসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পদায়ন করা হয়। তিনি ওই দেশে যোগদান করার পর থেকেই একের পর এক নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী নতুন রাষ্ট্রদূতের সাথে প্রবাসী কমিউনিটির লোকজনের পরিচয় ও মত বিনিময়ের জন্য যোগদানের পর একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের রেওয়াজ রয়েছে। এজন্য দূতাবাসের সম্মতি মোতাবেক একটি সংবর্ধনা কমিটি করা হয়। কাতারের স্থানীয় বিএনপি নেতা সন্দ্বীপের বিতর্কিত ব্যবসায়ী নুরুল মোস্তফাকে আহবায়ক করে গঠন করা হয় এই কমিটি। তারপর থেকেই শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজন ও প্রবাসী আওয়ামীলীগের লোকজনকে কোনঠাসা করার মিশন। স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও কমিউনিটির লোকজনের একাংশ নতুন রাষ্ট্রদূতের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জন করে। তারপর রাষ্ট্রের দূত হয়েও একটি মহলের ইন্ধনে ওই রাষ্ট্রদূত এমন কিছু আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গেছে। হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হাত ছাড়া হয়েছে। টানাপড়েনের সৃষ্টি হয়েছে দুই দেশের সম্পর্কেও।
২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক দেশ কাতার। ওই বিশ্বকাপকে সামনে রেখে কাতারে নতুন ষ্টেডিয়াম নির্মাণসহ হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এসব নির্মাণ কাজে বিভিন্ন দেশ থেকে কয়েক লাখ জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রাক্কালে কাতারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে গত বছরের ফেব্রয়ারী মাসে কাতারে আমন্ত্রন জানান। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাতারের আমন্ত্রন সাদরে গ্রহন করে সম্মতি জানান এবং কাতার সফরের সিদ্ধান্ত নেন।
কিন্তু বিতর্কিত ওই রাষ্ট্রদূতের কারণে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পূর্ব নির্ধারিত কাতার সফর আর হয়নি। এতে মধ্যপ্রাচ্যের রাজকীয় পরিবারের লোকজন এই ধরণের সফর না হওয়াকে তাদের প্রতি অসম্মান মনে করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের কয়েক দফা সফরের পর জনশক্তি রফতানির বিষয়ে আলোচনা ফলপ্রসু হয়।
‘লাখো কন্ঠে সোনার বাংলা’ উদযাপনকালে কাতারের বাংলাদেশ স্কুল এন্ড কলেজে অনুষ্ঠানের বঙ্গবন্ধুর ছবি দেয়া হয়নি। এসময় বিক্ষুব্ধ আওয়ামী পরিবারের নেতৃবৃন্দ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালে রাষ্ট্রদূত ওই অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগের কাউকে বক্তব্য দিতে দেননি।
স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি অনুষ্ঠানস্থলে না লাগিয়ে ইতিহাস বিকৃত করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। ওই স্কুলের প্রিন্সিপাল জামায়াতের সমর্থক জসিম উদ্দিন ও ভাইস প্রিন্সিপাল বিএনপি সমর্থক জুলফিকার আজাদ। ওই স্কুলের পরচিালনা কমিটির চেয়ারম্যান স্বয়ং রাষ্ট্রদূত হওয়ায় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর ছবি না থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর না দিয়ে উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে- ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট করতে বলেন’। বিএনপি জামায়াতিদের নিয়ে গঠিত ওই স্কুলের পরিচালনা কমিটির মেয়াদ বহু আগেই শেষ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
গত বছরের ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসের দিন একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের কনসার্ট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হন ‘বিতর্কিত’ রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খন্দকার। বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার দিন ১৫ই আগষ্টে কনসার্ট আয়োজনে বিরোধীতা করে তীব্র প্রতিবাদ ও আন্দোলনের মুখে ১৫ আগষ্টের ওই কনসার্ট অনুষ্ঠান পরে বাতিল করা হয়।
২০০১ সাল থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে কাতারে রক্তদান কর্মসূচি পালন করে আসছে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ। বরাবরের মতো গত বছরের ১৫ই আগষ্টেও আওয়ামী পরিবারের পক্ষ থেকে সকল সহযোগী সংগঠন একত্রে বাংলাদেশ দূতাবাসে রক্তদান কর্মসূচি গ্রহনের উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু দূতাবাসে উক্ত কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেন নি রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খন্দকার।
হেফাজতে ইসলামের শাপলা চত্বরের সমাবেশে জনসমাগমের জন্য কাতার থেকে কয়েক কোটি টাকা পাঠায় বিএনপি-জামায়াতিরা-হেফজতিরা। সমাবেশের পর কাতারের বিভিন্ন মসজিদে খুৎবা পাঠ ও মোনাজাতের সময় বাংলাদেশের সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে বিষোদগার করা হয়। কাতারের ফানতাস মসজিদের ইমাম মাওলানা জাফর, গানম মসজিদের ইমাম মাওলানা আবদুল্লাহ এবং শারেহ আসমা মসজিদের ইমাম মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ওই সময় শাপলা চত্তরে হাজার হাজার মানুষ মারা হয়েছে বলে কাতারের বিভিন্ন মসজিদে আগত মুসল্লীদের কাছে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করতে থাকে। বিদেশি মুসল্লীদের কাছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সম্পর্কে নেতিবাচক প্রপাগান্ডা চালায়। রাষ্ট্রদূতকে এসব অবহিত করার পরও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খন্দকার কাতারে বিএনপি নেতাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামী ‘পলাতক’ বিএনপি নেতা মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হান্নান শাহ এর সাথে কাতারে বিএনপি নেতা নুরুল মোস্তফা ও বিএনপির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সমন্নয়ক সালাউদ্দিনের বাসায় বৈঠক করেন বলেও অভিযোগ আছে । আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দন্ডিত রাজাকার মীর কাশেম আলী কাতার সফর করেছেন এবং সেখানে জামায়াতের নেতাদের আশ্রয়ে ছিলেন প্রায় ১৫দিন। বাংলাদেশে পুলিশের কাছে পলাতক একজন শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী কাতারে অবস্থান করছেন, তাকে আটক করে দেশে পাঠাতে রাষ্ট্রদূতের নিকট আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দাবি জানালেও রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খন্দকার এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ।
কাতারের বাংলাদেশ স্কুল এন্ড কলেজের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩ কোটি এবং প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ২ কোটি টাকা অনুদান দেন। কিন্তু বিনা টেন্ডারে অনুগত লোকদের ওই ভবনের কাজ দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের বিপুল পরিমান টাকা যোগসাজশে লুটপাট হয়েছে বলে অভিযোগ আছে । স্কুলের গাড়ি পারিবারিক কাজে ব্যবহার, দূতাবাসের নতুন গাড়ি ব্যক্তিগত সফরে স্বপরিবারে সৌদিআরবে গিয়ে দূর্ঘটনায় পড়ে। তারপর থেকে ওই গাড়ির হদিস নেই ।
বাংলাদেশ স্কুলে জনবল নিয়োগের নামেও ব্যাপক দূর্নীতি ওই স্কুলে ৪জন কর্মচারি নিয়োগের জন্য আরভিং এন্টারপ্রাইজ নামের ঢাকার একটি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩ লাখ ২০ হাজার থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেয়া হয়। একই এজেন্সির মাধ্যমে অনুবাদক পদে জলিল নামের একজনকে ৩ লাখ টাকার বিনময়ে নিয়োগ দেয়া হয়। দূতাবাসের কনসুলার সহকারী পদে রাষ্ট্রদূতের আত্মীয় ফয়সাল মুরাদকে নিয়োগ দেয়া হয়। বাংলাদেশ স্কুলের সহকারী পরিচালক নামে একটি ভুয়া পদ সৃষ্টি করে আকরামুল হক নামের একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়। এই প্রক্রিয়ায় নিয়োগ বাণিজ্য করে রাষ্ট্রদূত অন্তত ২০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। রাষ্ট্রদূতের বাসার মহিলা গৃহকর্মীর ওপর অমানুষিক নির্যাতন করে বাংলাদেশে তার পরিবারের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা আদায় করে তারপর তাকে দেশে পাঠানো হয়।
শুধু নিয়োগ বাণিজ্য করেই ক্ষান্ত হননি। রাষ্ট্রদূত একেবারে পারিবারিক দূতাবাসে পরিণত করেছেন। রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী ওমেন এসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠন করেছেন। ওই সংগঠনের নিয়মিত কর্মসূচি দূতাবাসেই পালন করা হয়। বিভিন্ন সময় ওমেন এসোসিয়েশনের কর্মসূচির জন্য দূতাবাসের নিয়মিত কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। গত ২১ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে ওমেন এসোসিয়েশনের কর্মসূচির জন্য দূতাবাসের রুটিন কাজ বন্ধ থাকায় দূরদুরান্ত থেকে আসা প্রবাসী শ্রমিক ভাইদের দিনভর অপেক্ষা করতে হয়। ওইদিন রংপুরের এক প্রবাসী শ্রমিকের মরদেহ দেশে পাঠাতে দূতাবাসের ছাড়পত্রের জন্য তার সহকর্মীরা সকাল থেকে অপেক্ষা করে। কিন্তু রাষ্টদূতের স্ত্রী কর্মসূচির জন্য দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় লাশের ছাড়পত্র পেতে ওই কর্মসূচি শেস হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। অবশেষে বিকেল ৩টা নাগাদ ছাড়পত্র দেয়া হয়।
রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খন্দকার তার নিজ জেলা কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কোটবাজার সংলগ্ন খন্দকার পাড়া জামে মসজিদের উন্নয়ণ কাজের জন্য প্রবাসী ধনাঢ্য বাংলাদেশি ও কাতারের স্থাণীয় লোকজনকে বিভিন্ন সুবিধা দেয়ার কথা বলে লাখ লাখ রিয়াল অনুদান গ্রহন করেন। কিন্তু ওই অনুদানের টাকা মসজিদে না দিয়ে উত্তরা মানি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে দেশে পাঠিয়ে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে বাড়ি কিনেছেন। বিভিন্ন দিবস পালন ও ভিআইপিদের সংবর্ধনার নামে প্রবাসীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা অনুদান গ্রহন এখন বাংলাদেশ দূতাবাসের নিয়মিত সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল ইসলাম প্রধান অভিযোগ করেন।
রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খন্দকার এর অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দূর্নীতির বিষয়ে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে কাতারে একটি সংবাদ সম্মেলন করা হয় গত বছরের ৮ নভেম্বর। ওইদিন অতর্কিত তাদের ওপর রাষ্ট্রদূতের অনুগত গুন্ডা বাহিনী হামলা চালায় ।
গত ১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ওই রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহারের নির্দেশনা দেয়া হলেও তাকে প্রত্যাহার না করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত টিম পাঠায়। ওই তদন্ত টিমের আহবায়ক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক নিলুফার আহমেদ কাতার থেকে ৪দিন পর গত ১৫ এপ্রিল ফিরে এলেও তদন্ত দলের অপর সদস্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব তপন চন্দ্র বণিক দেশে ফিরেন ৩দিন পর ১৮ এপ্রিল। ওই তিন দিনে উক্ত যুগ্মসচিব স্থানীয় ভুইয়া রেষ্টুরেন্টে বিএনপি নেতা নুরুল মোস্তফা, রাষ্ট্রদূতের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ঠিকাদার শফিকুল কাদের এবং ওই হোটেলের মালিক সোনা পাচারকারী ওহিদ ভুইয়ার সাথে দফায় দফায় বৈঠক করেন। ওই হোটেলের বৈঠকে রাষ্ট্রদূতের ‘প্রত্যাহার’ ঠেকাতে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেন হয়েছে বলে জানা গেছে ।