ধর্ষণের পর জিনের ভয়, ‘কবিরাজ’ গ্রেপ্তার
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক কথিত কবিরাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আলেফ মুন্সিকে (৬০) সোমবার চুয়াডাঙ্গার আদালতে হাজির করলে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আব্দুল হালিম তাকে জেল হাজতে নেওয়ার আদেশ দেন।
রোববার মেয়েটির পরিবার মামলা করার পর আলেফ মুন্সিকে আটক করা হয়। আলেফ মুন্সি উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া দক্ষিণপাড়ার নয়ন মুন্সির ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দামুড়হুদা থানার এসআই মনিরুল ইসলাম জানান, পাঁচ মাস আগে আলেফ মুন্সির কাছে জন্ডিসের চিকিৎসা নিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ওই ছাত্রী। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সে।
“এ ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর এলাকাবাসী রোববার বেলা ১২টার দিকে আলেফ মুন্সিকে ধরে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ তাকে আটক করে সন্ধ্যায় থানায় নিয়ে আসে।”
এসআই মনিরুল আরও জানান, সোমবার বিকালে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জনাববন্দি দিয়েছে।
মামলার বরাত দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা আরও জানান, কয়েকদিন আগে ওই স্কুলছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ পায়। পরিবারের লোকজন তাকে জিজ্ঞেস করলে সে ধর্ষণের কথা জানায়।
এসআই বলেন, “ধর্ষণের পর জিন-ভূতের ভয় দেখিয়ে আলেফ মুন্সি এ ঘটনা প্রকাশ করতে নিষেধ করে বলে মেয়েটি জানায়।”
মামলার নথি থেকে জানা যায়, প্রায় ৩১ বছর আগে ফরিদপুর থেকে দর্শনায় আসেন কথিত কবিরাজ আলেফ মুন্সি। স্ত্রী ও সন্তানদের ফেলে দর্শনায় রেলকুলির কাজ করতেন। এক পর্যায়ে দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের আজিজুল হকের মেয়ে রাহিমাকে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতেই ঘরজামাই থেকে যান।
সেখানেই আলেফ নিজেকে অলৌকিক শক্তির অধিকারী বলে প্রচার করতে থাকেন। শুরু করেন কবিরাজিসহ নানা প্রতারণামূলক কাজ। জিনের কথা বলে এলাকার বহু মানুষের সঙ্গে তিনি প্রতারণা করেছেন বলেও অভিযোগে বলা হয়।