বড়লেখায় হোসেন হত্যার আসামী প্রেফতার : হোসেনের পরিবার হুমকির মুখে

IMG_20150822_042535সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখার সুজাউল (হরিনগর) এলাকায় দিন-মজুর হোসেন আহমদ (১৯) হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা হয়। গত ০৭/০৭/২০১৫ ইং তারিখে খুন করা হয় বড়লেখা থানার সুজাউল (হরিনগর) প্রামের মৃত ছমির উদ্দিন কালাই মিয়ার ছেলে হোসেন আহমদ (১৯) কে। হোসেন খুন হওয়ার পর তার বড় ভাই হাসান আহমদ বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করেন। যাহার মামলা নং ১২৫/১৭-১২/০৮/২০১৫ আসামীরা হলেন ১। জামাল আহমদ (২৫), পিতা আব্দুল মলং, সাং চন্ডিনগর (হরিনগর) ২। ফারুক উদ্দিন (৩৫), পিতা মৃত হবিব মিয়া, সাং চন্ডিনগর (হরিনগর) ৩। বদরুল ইসলাম (২৫) , পিতা মৃত আছাব আলী, সাং দক্ষিন পাড়িয়াবহর থানা বিয়ানী বাজার, সিলেট ৪। নাজিম উদ্দিন (২৫), পিতা মোস্তফা উদ্দিন, সাং চন্ডিনগর (হরিনগর), বড়লেখা ৫। ইকবাল হোসেন উরপে মুরগি ইকবাল (৩০), পিতা মুসলিম আলী, সাং-কালাইউরা, বিয়ানীবাজার, সিলেট ৬। আব্দুল মতিন (২৪), পিতা তেরা মিয়া, সাং-চন্ডিনগর (হরিনগর), বড়লেখা, মৌলভীবাজার ৭। ছাদিক আহমদ (২৫) , পিতা ফারুক উদ্দিন, সাং- চন্ডিনগর (হরিনগর), বড়লেখা, মৌলভীবাজার ৮। শামীম আহমদ (২৩), পিতা অজ্ঞাত, সাং-লাইয়া থানা বড়লেখা মৌলভীবাজার। ৯। তিরন মিয়া (৪০), পিতা মৃত কোরফান আলী উরপে কোরবান আলী, সাং-ছান্দাই তেলীপাড়া, দক্ষিন সুরমা, জেলা-সিলেট গং। হোসেনের পারিবারিক সূত্রে জানা যায় গত ০৭/০৭/২০১৫ ইংরেজী তারিখে হোসেন আহমদ দিনের কাজ শেষে বাজার করতে চলে যায়, পরে সে রাতে আনুমানিক ০৭:৩০ মিনিটের দিকে বাজার নিয়ে বাড়িতে আসে এবং রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যাওয়ার সময় রাত আনুমানিক ১০:৩০ মিনিটের দিকে উল্লেখিত আসামীরা হোসেন আহমদের বাড়িতে এসে বার বার ঢাকলে হোসেন ঘর থেকে বের হয়, তখন ঔই আসামীরা হোসেনকে বলে হোসেন তুমি আমাদের সাথে চল, হোসেন বলে কোথায় যাব আসামীরা বলে তুমার কাজের ব্যাপার নিয়ে পাশের বাড়ির ফারুকের সাথে যে সমস্যা আছে আমরা ঔটা সমাধান করে দেওয়ার জন্য তুমার কাছে এসেছি তুমি আমাদের সাথে গেলে আমরা সমাধান করে দেব, এটা শুনে হোসেন তাদের সাথে ফারুকের বাড়িতে চলে যায়। রাত গভীর হতে থাকলে হোসেন বাড়িতে না আসার কারনে তাহার বড় ভাই হাসান হোসেনকে ফোন দিতে থাকে, ফোন হয় কিন্তু হোসেন ফোন উঠায় না অনেকগুলো ফোন দেওয়ার পর হোসেনের ভাই হাসান তার ভাইকে খুজতে ফারুকের বাড়িতে যায়। হাসান ফারুকের বাড়িতে ঢুকা মাত্র দেখতে পায় ফারুকের বাড়ির ওটানে কয়েকজন লোক একত্রিত হয়ে আলাপ করতেছেন, হাসান তাদের পাশে চলে যায় এবং ফারুককে পায়, হোসেন ফারুককে বলে ফারুক ভাই জামাল, বদরুল,নাজিম, মোস্তাফা, ইকবাল মতিন, তেরা, ছাদিক তিরন গং তারা আমার ভাইকে আপনার বাড়িতে নিয় আসেন আপনার সাথে কাজের নাকি সমস্যা এটা সমাধান করার জন্য কিন্তু আমার ভাই এখনও বাড়ি ফিরেনি, তখন সবাই টাট্টা করতে শুরো করে এবং একেক জন একেক কথা বলতে থাকে ফারুক বলে আমরা জরুরি আলাপে আছি তুমি চলে যাও তোমার ভাইকে আমরা কাতার পাটিয়ে দিয়েছি। আবার হাসান আকুতি মিনতি করে তাদেরকে বলতে থাকে ভাই আমার ভাই ফোনটা ধরতেছেনা একটু বলেন না আমার ভাইটা কোথায় তখন ফারুক গং রা বলে ঔই বেটা তকে বললাম আমাদের জরুরি আলাপ তুই চলে যা নইলে তর খবর আছে। এই কথা শুনার সাথে সাথে হাসানের মনের ভিতরে ভয় লেগে যায় সে ঔই স্থান থেকে দ্রুত গতিতে বাড়িতে এসে তাহার বাড়ির চাচা সহ সবাইকে বলে এবং তাহারা সবাই হোসেনের সন্ধ্যানের জন্য জাফিয়ে পড়েন। সারা রাত খোজা খোজি করার পর হোসেনকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পরের দিন সকালে এই মামলার ৪ নং আসামীর স্ত্রী ফারুকের বাড়ির পুকুরে মাছের খাবার দিতে গেলে তিনি চিৎকার দিয়ে উটেন মানুষের পা মানুষের পা তাহার চিৎকার শুনে আশে পাশের লোকজন দৌড়ে আসতে থাকেন এসে সবাই জড়ো হয়ে দেখেন এটা মানুয়ের পা তখন দেখা গেল এক পর্যায়ে গ্রামের সবাই চলে আসেন তখন এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে তখন সাথে সাথে ঔই এলাকার জনসেবক জনাব রিয়াজ উদ্দিন বড়লেখা থানায় ফোন দিলে সাথে সাথে বড়লেখা থানার প্রশাসনের লোকজন আসেন। সরেজমিনে এসে তারা পানিতে পড়া লাশ দেখতে পেয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেন লাশটি উটানোর জন্য, তখন ফারুক ও আরও ২/১ জন মিলে লাশ তুললে দেখা যায় এটা হোসেনের লাশ। তখন সরেজমিনে হোসেনের পরিবারের সবাই ছিলেন তারা সবাই লাশ দেখা চিনতে পেরে কান্না শুরু করেন। কিন্তু লাশটি তুলা মাত্র দেখা যায় যে হোসেন যেভাবে বাড়ি থেকে ফারুকের বাড়িতে গিয়েছিল সেই চেহারার হোসেন নেই। তাহার একটা চোখ নেই হাত ভাঙ্গা, পা ভাঙ্গা, শরীলে প্রচন্ড যখম, এটা দেখে তাহার পরিবার চিৎকার দিয়ে বলে কাল ওরা ঢেকে এনে আমাদের হোসেনকে মেরেছে। আমরা বোঝতে পেরেছি আমাদের হোসেনকে কোন কাতার পাটানো হয়েছে। বর্তমানে আসামীরা গ্রেফতার কিন্তু হোসেনের পরিবার বলে এটা ওরা পরিকল্পিত করে আমাদের হোসেনকে মেরেছে। কিন্তু আমরা মামলা করতে যাইতে চাইলে অনেক হয়রানির শিকার হয়েছি, আসামী পক্ষরা নিহত হোসেনের পরিবারকে ভয় দেখিয়েছে বড়লেখা থানায় মামলা করতে গেলে তাদের পরিবারের কোন অস্তিত্ব থাকবে না এমনকি মোলভীবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোন রির্পেট সংগ্রহ করা যায়নি বড়লেখা থানা থেকে। হোসেনের ভাই হাসান বলে আমি মামলা করতে ভয়ে থানায় না গিয়ে ডিআইজি মিজানুর রহমান সাহেবের নিকট আশ্রয় নেই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই মামলাটি করতে হয় ডিআইজি মিজানুর রহমান পিপিএম মহোদয়ের হুকোমে। আমি হাসান ডিআইজি মহোদয়ের জন্য দোয়া করি সারা বাংলাদেশে যেন এই রকম ডিআইজি থাকেন আর থাকলে সমাজাজের বিচার হারা মানুষ সু বিচার পাবে। নিহত হোসেনের পরিবার জানায় বর্তমানে আসামীরা গ্রেফতার হওয়ার পর নিহত হোসেনের ভাই হাসানকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে ওই মামলা নিয়ে বাবাড়ি করলে তর ভাইয়ের মত তকে মেরে পেলা হবে তাই নিহত হোসেনের পরিবার হুমকির মুখে। হোসেন বলে এজাহার ভুক্ত ৫ নং আসামীর ভাই বিশিস্ট ছিনতাইকারী ও হেরোইন সম্্রট এবং বহু মামলার আসামী আতিকুর রহমান উরপে হিরোইন আতিক নিহত হোসেনের ভাই হাসানকে ডেকে নিয়ে বলে হাসান তর ভাইয়ের লাশত পাওয়া গেছে তুই যদি মামলা নিয়ে আর এগুতে চাস তাহলে তর লাশ পৃথিবীর কোথায় খুজে পাওয়া যাবে না।