র্যাব হেফাজতের কয়েক ঘণ্টা পর গুলিতে নিহত
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ আটকের কয়েক ঘন্টা পর র্যাব হেফাজতে গুলিতে নিহত হয়েছেন মোশাররফ হোসেন (৩৫)। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় সকালে আটকের পর বিকালে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে র্যাব জানায়, মোশাররফ হোসেন সন্দ্বীপের ত্রাস এবং জলদস্যু। মোশারফ বাহিনীর প্রধান মোশারফ হোসেন (৩৩) র্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। এসময় বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, এ সময় মোশারফ বাহিনীর পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। সেখানে অভিযান চালিয়ে দেশি-বিদেশি ৩০টি অস্ত্র, ৪৯ রাউন্ড গুলি ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। নিহত মোশারফের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যাসহ অন্তত ১৫টি মামলা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৩ এপ্রিল র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন উপকূলের জাসু বাহিনীর প্রধান শাহাদাত হোসেন জাসু।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মিফতা উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, মোশারফ বাহিনীর প্রধান মোশারফ হোসেন সন্দ্বীপের মূর্তিমান আতঙ্ক। গোপন সংবাদে মুস্তাফিজুর রহমান ডিগ্রী কলেজের সামনের দোকান থেকে মোশারফ ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করা হয়। বিকালে মোশারফের দেয়া তথ্যানুযায়ী জঙ্গলবাড়িতে অস্ত্র উদ্ধার করতে গেলে সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা মোশারফের সহযোগীরা র্যাবকে লক্ষ করে গুলি করতে থাকে। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও এসময় গুলি চালায়। উভয়পক্ষের বন্দুকযুদ্ধের এক পর্যায়ে মোশারফ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তার সহযোগীদের ছোড়া গুলিতে নিহত হয়।
তিনি বলেন, র্যাব ঘটনাস্থল থেকে একটি ৭.৬৫ বিদেশি পিস্তল, দুইটি বিদেশি দোনলা বন্দুক, ১৪টি দেশি-বিদেশি একনলা বন্দুক, ছয়টি থ্রি কোয়ার্টার বন্দুক, ছয়টি ওয়ান শুটার গান, একটি পাইপগান, ৪৯ রাউন্ড বিভিন্ন অস্ত্রের গুলি উদ্ধার করে।
বিকালে মুস্তাফিজুর রহমান ডিগ্রী কলেজ মাঠে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন র্যাব ৭ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি মো.সোহেল মাহমুদ।