রাজন হত্যা : ৩ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্র্দেশ
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার পলাতক ৩ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালত। এছাড়া তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্র্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি চার্জশিট থেকে অব্যহতি চাওয়া দু’জনকে অব্যহতি দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক শাহেদুল করিম।
সোমবার (২৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজন হত্যার মামলার চার্জশিটের উপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে চার্জশিট গৃহীত এবং এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালতের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) আব্দুল আহাদ চৌধুরী বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সৌদি আরবে আটক (পলাতক) কামরুল ইসলাম, তার সহোদর শামীম আহমদ এবং একই এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেন পাভেলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট রাজন হত্যা মামলার চার্জশিট (নং-৮১) ওই আদালতে দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ডিবি) সুরঞ্জিত তালুকদার। ২৪ আগস্ট চার্জশিটের ওপর শুনানির দিন নির্ধারণ করেন আদালতের বিচারক।
চার্জশিটে কামরুলকে প্রধান আসামি করে মোট ১৩ জনকে অভিযুক্ত দেখানো হয়। আর গ্রেফতার মুহিত আলমের স্ত্রী লিপি বেগম ও ইসমাইল আলী আবলুছকে মামলা থেকে অব্যহতি চাওয়া হয়।
মামলার চার্জশিটে অভিযুক্ত ১৩ আসামির মধ্যে কারাগারে রয়েছেন- মহানগরীর জালালাবাদ থানার পীরপুর গ্রামের মৃত মব উল্লাহর ছেলে সাদিক আহমদ ওরফে বড় ময়না (৩৫), কামরুলের দুই সহোদর শেখপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মানিকের ছেলে মুহিত আলম (৩৫) ও আলী হায়দার ওরফে আলী (৪২)।
অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন- একই গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে তাজউদ্দিন আহমদ ওরফে বাদল (১৯), একই থানার পূর্ব জাঙ্গাইল গ্রামের মো. নিজাম উদ্দিনের ছেলে নূর মিয়া (২০), সুনামগঞ্জের দোয়ারা উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর গাঁওয়ের মোস্তফা আলী ওরফে পেঁচা’র ছেলে ও শেখপাড়া মোতালিব লস্করের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. আয়াজ আলী (৪৫), পাশ্ববর্তী হায়দরপুর গ্রামের মৃত সাহাব উদ্দিনের ছেলে রুহুল আমিন রুহেল (২৮), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের অলিউর রহমান ওরফে অলিউল্লাহর ছেলে মো. জাকির হোসেন পাবেল ওরফে রাজু (২২), শেখপাড়া গ্রামের মৃত আলাউদ্দিন আহমদের ছেলে দুলাল আহমদ (৩০), সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ কুর্শি ইসলামপুর গ্রামের মৃত মজিদ উল্লাহর ছেলে মো. ফিরোজ আলী (৬৫) ও সিলেট সদর উপজেলার কুমারগাঁওয়ের (মোল্লাবাড়ি) মৃত সেলিম উল্লাহর ছেলে মো. আজমত উল্লাহ (৫৫)।
গত ৮ জুলাই সকালে সিলেট নগরীর উপকণ্ঠ কুমারগাঁও এলাকায় পৈচাশিক নির্যাতন করে শিশু রাজনকে হত্যা করা হয়। নিহত রাজন সদর উপজেলার কান্দিরগাঁও ইউনিয়নের বাদেআলী গ্রামের আজিজুর রহমান আলমের ছেলে। এ ঘটনার পর নির্যাতনের ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে দেশ-বিদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ঘাতকদের ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন সর্বস্তরের মানুষ।