অন্তঃসত্ত্বাকে গুলি: অন্যতম আসামি আজিবর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ মাগুরায় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের সময় অন্তঃসত্ত্বা গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি আজিবর পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। সোমবার দিবাগত মধ্যরাতের পর এ দাবি করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, রাত ১টার দিকে জেলা শহরের দোয়ারপাড় এলাকায় আজিবর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। মাগুরার পুলিশ সুপার এহসান উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আজিবরসহ একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ দোয়ারপাড় এতিমখানা এলাকায় অবস্থান করছে খবর পেয়ে পুলিশের কয়েকটি দল সেখানে যায়। সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালানোর চেষ্টা করে। তখন পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থলে আজিবর শেখের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। অন্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।’
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেন এহসান উল্লাহ। এর আগে সোমবারই পলাতক আজিবর ধরা পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এ খবর মিথ্যা বলে দাবি করা হয়।
মেহেদী হাসান আজিবর ওরফে অজিবর শেখ এই মামলার ২নং আসামি। গত ২৩ জুলাই সংঘর্ষের সময় তার ছোড়া গুলিতেই একজন নিহত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তখন অন্তঃসত্ত্বা নাজমা বেগমও গুলিবিদ্ধ হন।
গুলিবিদ্ধ নাজমার দেবর কামরুল ভূইয়ার সমর্থকদের সঙ্গে এলাকার আধিপত্য নিয়ে গত ২৩ জুলাই জেলা শহরের দোয়ারপাড়া এলাকায় সংঘর্ষ বাঁধে আজিবর ও মোহাম্মদ আলীর সমর্থকদের। এতে কামরুলের চাচা মোমিন ভূইয়া নিহত ও ভাবি নাজমা গুলিবিদ্ধ হন।
নাজমার গর্ভস্থ সন্তানও গুলিতে মারাত্মক আহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে সারাদেশে নিন্দার ঝড় ওঠে। পেট, থুতনি ও চোখ ভেদ করে গুলি বেরিয়ে যাওয়া অবস্থায় ভূমিষ্ঠ শিশুটি এখন আশঙ্কামুক্ত। মা ও ছেলে দুজনেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই ঘটনায় মোমিনের ছেলের দায়ের করা মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সেন সুমন গ্রেপ্তার হয়ে পুলিশ রিমান্ডে রয়েছেন। ঢাকার কল্যাণপুর থেকে গত ২ আগস্ট সেন সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার ১৬ আসামির মধ্যে পুলিশ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মোহাম্মদ আলীসহ ৬ জনকে এখনও পলাতক।