দুই ঘন্টার জন্য স্থবির সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

Agricural Universityসুরমা টাইমস ডেস্কঃ সপ্তাহব্যাপী আন্দোলনের ধারবাহিকতায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম সম্পূর্নরূপে দুই ঘন্টার জন্য স্থবির করে দেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ৪৭ জন শিক্ষক ও ৩৭ জন কর্মকর্তা সোমবার সকাল এগারটায় প্রশাসন ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে।
এসময় প্রশাসন ভবনের রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ তাঁদের চেম্বার থেকে বেড়িয়ে আসেন। বিভিন্ন অনুষদ ভবন থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শিক্ষকবৃন্দ এ আন্দোলনে যোগ দিলে মূলত স্থবির হয়ে পরে পুরো ক্যাম্পাস। গত ছয়দিন থেকে চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেলা বারটা থেকে একটা পর্যন্ত বটতলায় অবস্থান নিচ্ছিল। আজ সোমবার তাঁরা প্রশাসন ভবনের সামনের সামনে বসে পড়ে এবং বিক্ষোভ করে। এই শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর বিএনপি-জামাতপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের রীট দায়েরের প্রতিবাদে এ আন্দোলন শুরু হয়েছে বলে জানা যায়। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক, বিভাগীয় প্রধান, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক সহ প্রায় দেড়শ শিক্ষক ও কর্মকর্তা আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মো: আবদুল কাশেম গনসংযোগ ও গনস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি ঘোষনা করে বেলা একটায় প্রশাসন ভবন ছেড়ে যান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ০৭/১০/২০১৩ ইং তারিখে এই শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর বিএনপি-জামাতপন্থি ৫ জন শিক্ষক, ৩ জন কর্মকর্তা ও ২ জন কর্মচারী মিলিতভাবে মহামান্য হাইকোর্টে একটি রীট আবেদন করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উক্ত রীট ভ্যাকেট করার মাধ্যমে এই শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিলেও তাঁদের মধ্যে হতাশা, অস্বস্থি ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে ১ বছর ৮ মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত করলেও এ সমস্যার কোন দৃশ্যমান অগ্রগতি বা সমাধান হয়নি।
আন্দোলনকারীরা তাদের বক্তব্যে বিএনপি-জামাতপন্থি শিক্ষক কর্মকর্তাদের রীট তুলে নিয়ে সুষ্ঠু একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম গতিশীল করার অনুরোধ করেন। এর আগে আন্দোলনকারীরা গত ২৯ জুন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছিল। উল্লেখ্য বিএনপি-জামাতপন্থি রীটকারীগণ অনেকেই তাদের চ্যালেঞ্জকৃত আইনের আওতায় নিজেরাই পদোন্নতি ও পর্যায় উন্নয়ন সুবিধা গ্রহণ করেছেন যা তাঁদের দায়েরকৃত রীটের পরিপন্থি।