আম্বরখানায় ব্যবসায়ী-দোকান মালিক সংঘর্ষে আহত ৩

China Market Amborkhanaফখরুল ইসলামঃ সিলেট নগরীর আম্বরখানা চায়না মার্কেটের মালিক পক্ষের লোকজনের সঙ্গে ব্যবসয়ীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বহিরাগত একজন সহ দুইজন ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও ওই মার্কেটের মালিক নুরু ইমলাস খান আহত হন। বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা নিয়ে উভয় পক্ষ পাল্টা-পাল্টি বক্তব্য প্রদান করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চায়না মার্কেটের ছিড়ির নিচে একটি দোকান নির্মাণ করছেন ওই মাকের্টের মালিক নূরু ইসলাম খান। গতকাল বুধবার তিনি নির্মাণকাজও শুরু করেন। এক পর্যায়ে ওই মার্কেটের ব্যাবসায়ীরা প্রধান ফটকে দোকান নির্মাণ না করার জন্য অনুরোধ করেন। এতে কিপ্ত হয়ে কাজ বন্ধ করে বিমানবন্দর থানায় একটি জিডি করেন ওই মার্কেটের মালিক নুরু ইসলাম খান।
আজ বৃহস্পতিবার চায়না মার্কেটের মালিক নুরু ইসলাম খান লোকজন নিয়ে ফের ওই দোকানের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। একপর্যায়ে বেলা ১টার দিকে ব্যবসায়ীরা নির্মাণ কাজে বাঁধা দেন। এ সময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।
এ সময় ওই মার্কেটের ব্যবসায়ী মাসুম ও আমিনুল গুরুতর আহত হন। পরে তাদের সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপরদিকে সংঘর্ষে বহিরাগত শাহাব উদ্দিন আহমদ শাবু নামে একজন আহত হন। তিনি মালিক পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।
এদিকে, সংঘর্ষের খবর পেয়ে বিমানবন্দর থানার এসআই ইয়াসিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। বিমানবন্দর থানার এসআই ইয়াসিন জানান, ‘সংঘষের্র খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছি।’
চায়না মার্কেটের মালিক নূরু ইসলাম খান বলেন, ‘আমার মার্কেটের ছিড়ির নিচে একটি দোকান নির্মাণ করতে গেলে মার্কেটের ব্যবসায়ীদের একাংশ বাঁধা প্রদান করে। তাই আমি গতকাল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছি।’
এদিকে, চয়না মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুহি উদ্দিন মাসুদ জানান, মার্কেটের মালিক ব্যবসয়ীদের কথা চিন্তা না করে নিজের স্বার্থে মার্কেটের প্রধান ফটকে ২টি দোকান নির্মাণ করছেন। ওই দোকান নির্মাণ করা হলে মার্কেটের রাস্তায় যানজট সৃস্টি হবে। এছাড়াও মার্কেটে ক্রেতাও প্রবেশ করবে না। তাই সিঁড়ির নিচে দোকান নির্মাণ না করার জন্য ব্যবসায়ীরা বাঁধা দিয়েছেন।’
চয়না মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক মনোয়ার সোহাগ জানান, চায়না মার্কেটে এমনিতেই পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় ক্রেতা প্রবেশ করে কম। তাছাড়া মার্কেটের প্রধান ফটকে এ পর্যন্ত দুটি দোকান বসিয়েছেন এখন আরো দুটি দোকান নিমার্ণ করতে চাইতেছেন এতে ব্যবসায়ীরা বাধা প্রধান করায় তিনি বহিরাগত লোক এনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটান।