নিলয় হত্যায় শ্রম প্রতিমন্ত্রীর ভাতিজাসহ আটক ২
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ ব্লগার নিলাদ্রী চট্টোপাধ্যায় (নিলয় নীল) হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে সাদ আল নাহিয়ান ও রানা নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে নাহিয়ান শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুর ভাতিজা বলে জানা গেছে। তবে হত্যাকাণ্ডের যে চার জনের নামে মামলা করা হয়েছিল এই দুই জন তাদের মধ্যে রয়েছে কি না তা জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে নাহিয়ানকে রাজধানীর উত্তরা এবং রানাকে মিরপুর কালশী থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ। এরা দুজনেই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য বলে জানায় পুলিশ। পুলিশের উপকমিশনার মাহবুবুল আলম জানান, আমাদের কাছে কিছু তথ্য রয়েছে, আমরা এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তা যাচাই করব।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ছাত্র নাহিয়ানকে কয়েকদিন আগে পুলিশ তুলে নিয়েছিল বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছিল। তবে পুলিশ স্বীকার করেনি। নাহিয়ান ব্লগার আসিফ মহীউদ্দীন হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বছর খানেক কারাগারে থেকে জামিনে ছাড়া পান। ডিবি পুলিশ এ দুজনকে বৃহস্পতিবার বিকেলে আটক করার কথা জানালেও একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার আগেই সাদ আল নাহিনকে আটকের বিষয়টি প্রকাশ করা করে।
৭ আগস্ট শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর রাজধানীর গোড়ান টেম্পোস্ট্যান্ডের কাছে ৮ নম্বর রোডের ১৬৭ নম্বর বাড়ির পাঁচ তলার ভাড়া রুমে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হন নিলয়। সেদিনই হত্যার দায় স্বীকার করেছে আল-কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশের ( একিউআইএস) বাংলাদেশ শাখা আনসার-আল-ইসলাম।
এর আগে একই কায়দায় ১২ মে সিলেটে খুন হন ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ। এ ধারাবাহিক হত্যাকা-ের শুরু হয় ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে গণজাগরণ মঞ্চের রাজীব হায়দার ওরফে থাবা বাবাকে হত্যার মাধ্যমে। এর পর একে একে হত্যা করা হয় মুক্তমনার লেখক আমেরিকা প্রবাসী অভিজিৎ রায় ও ওয়াশিকুর বাবুকে।
এ নিয়ে গত ২৯ মাসে ১০ জন ব্লগারকে কুপিয়ে হত্যা করা হলো। হত্যাকারীদের অভিযোগ, নিহতরা সবাই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে লেখা লেখি করতেন।
এসব হত্যার ঘটনায় শুধু মাত্র রাজীব হায়দারের হত্যাকা-ে চার্টশিট জমা দেয়া হয়েছে। আর কোনটির চার্জশিট দিতে পারেনি আইন শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী।