দিরাইয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মূর্তি বানিয়ে অগ্নি সংযোগ

Fireজুবের সরদার দিগন্ত, দিরাইপ্রতিনিধি: সংখ্যালঘু কর্তৃক দিরাইয়ে সংখ্যালঘু ১৩টি ভূমিহীন পরিবারের জায়গা দখলের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে, এছাড়া দখলকারী গ্র“প কর্তৃক স্থানীয় বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার প্রতিকৃতি বানিয়ে তাতে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে। লিখিত অভিযোগে জানা যায়, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের সারংপাশা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা নিরঞ্জন দাস একই এলাকার সিংহনাথের ১২ জনের নাম উল্লেখ করে দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, সিংহনাথ মৌজার জেএলনং-১১১ স্থিত ১১৩৬, ১১৩৪, ১১৩৭ ও ১২২৪ দাগের ২৬ একর লায়েক পতিত ভূমি সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্ত এনে তাতে মাটি ভরাটের কাজ করতে থাকেন। কিন্তু গত ২২ মে সিংহনাথ গ্রামের মৃত রসিক সরকারের পুত্র রেফতী দাস, মৃত মহেন্দ দাসের পুত্র মহিতোষ দাস, মৃত রাজেন্দ্র দাসের পুত্র রাবেন্দ্র দাস, মৃত প্রমোদ দাসের পুত্র মিন্টু দাস, প্রজেশ দাস, লোলন দাস, রেফতী দাসের পুত্র জুয়েল দাস, মৃত প্রসেন্দ্র বৈদ্যের পুত্র ঝালো বৈদ্য, মৃত রাজেন্দ্র বৈদ্যের পুত্র অমূল্য বৈদ্য, পুলিন দাসের পুত্র পবিত্র দাস, মৃত কামিনী দাসের পুত্র কাঞ্চন দাস, কেতকী দাসের পুত্র কংকন দাস মিলে ঐ জায়গায় মাটি ভরাটের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে। এছাড়াও এখানে ঘর তৈরি করলে মামলা-হামলার ভয়ভীতি দেখায় বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন। এদিকে জগদল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার সিংহনাথ গ্রামের মহিতোষ দাস ও রাবেন্দ্র মাস্টারের হুকুমে আসামীগণ উল্লেখিত জায়গায় জোরপূর্বক গিয়ে ৪ জন মুক্তিযোদ্ধার প্রতিকৃতি বানিয়ে গলার মধ্যে জুতার মালা পরিয়ে দেয় এবং তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে উল্লাস করতে থাকে। এছাড়া পরেশ দাস স্থানীয় পুজারস্থানে গিয়ে নিরঞ্জন দাসের স্ত্রী অর্চনা রাণীর মুখে আঙুল ঢুকিয়ে দেয়ার অভিযোগ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা নিরঞ্জন দাস। আর এ খবর আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়, তারা মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানকারী রাবেন্দ্র দাসকে আটক করে উত্তম মধ্যম দেন। বর্তমানে বিবাদীগণের ভয়ে অসহায় ১৩টি পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন বলেও লিখিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তারা। যোগাযোগ করা হলে দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন অভিযোগপত্র পাওয়ার স্বীকার করে বলেন, আমি তদন্তের জন্য দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছি, তদন্ত করে প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।