কার নির্দেশে তারেকের পাসপোর্ট নবায়ন?

Tareq Ziaসুরমা টাইমস ডেস্কঃ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একাধিক পাসপোর্ট নেই বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ। এ ছাড়াও পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে পাসপোর্টটি নবায়ন করা হয়েছে বলে প্রতিবেদন দাখিল করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ রোববার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৮ সালে তারেক রহমানের পাসপোর্ট নবায়ন করা হয় পাঁচ বছরের জন্য। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রসচিবের নির্দেশে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন পাঁচ বছরের জন্য এ মেয়াদ বৃদ্ধি করে। এরপর ২০১৩ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রসচিবের নির্দেশে আরো পাঁচ বছরের জন্য তারেক রহমানের পাসপোর্ট নবায়ন করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রতিবেদনে এসব তথ্য দেওয়া হয়।
এ ছাড়া পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়, তারেক চারটি পাসপোর্ট ব্যবহার করছেন বলে যে অভিযোগ করা হয় তা সঠিক নয়। ২০০৮ সালে লন্ডন যাওয়ার আগে তাঁর বাসা থেকে পাসপোর্ট হারিয়ে যায়। এরপর তিনি নতুন পাসপোর্ট করেন। ওই পাসপোর্ট নবায়ন করা হয়েছে।
লন্ডনে বসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মন্তব্য করায় চলতি বছর ৭ জানুয়ারি জনস্বার্থে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তারেক রহমানের সব বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এ ছাড়া গত ২৩ জুন তারেক রহমান একাধিক পাসপোর্ট ব্যবহার করছেন কি না এবং কার নির্দেশে পাসপোর্ট নবায়ন করা হয় তা জানাতে নির্দেশ দেন আদালত। গত ৫ আগস্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের পক্ষ থেকে অ্যাটর্নি কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। আজ ওই প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়।
এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস বলেন, তারেক রহমান একাধিক পাসপোর্ট ব্যবহার করছেন বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় এবং লন্ডন থাকা অবস্থায় একাধিকবার কীভাবে পাসপোর্ট নবায়ন করা হয়েছে, তাতে কোনো প্রকার আইনি ব্যত্যয় ঘটেছে কি না, তা জানাতে আদালত নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায় তারেক রহমান আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটাননি।