নিজ মাদরাসায় গ্রেপ্তার মুফতি ইজহার
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ লালখান বাজার মাদরাসায় গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনায় মাদরাসাটির প্রতিষ্ঠাতা ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতি ইজহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে নগরীর খুলশী থানার লালখান বাজার এলাকায় অবস্থিত জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদরাসা প্রকাশ লালখান বাজার মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, ‘লালখান বাজার মাদরাসায় গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনায় বিস্ফোরক, হত্যা ও এসিড আইনে পৃথক তিনটি মামলায় পলাতক ছিলেন মুফতি ইজহার। শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে নিজ মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। এরপর তার বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলোর ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর নগরীর লালখান বাজারে জমিয়াতুল উলুম আল ইসলামীয়া মাদরাসার একটি ছাত্রাবাসে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুফতি ইজাহার এই মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও মহাপরিচালক। বিস্ফোরণের পর সন্ধায় ওই মাদরাসার ছাত্রাবাস থেকে হাত বোমা, তাজা গ্রেনেডসহ আরও বিস্ফোরক উদ্ধার করেছিল ডিবি। বিস্ফোরণের দিন রাতে মাদরাসা সংলগ্ন মুফতি ইজহারের বাসায় অভিযান চালিয়ে ১৭ বোতেল এসিড উদ্ধার করেছিল পুলিশ। ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় মাদরাসার পাঁচ ছাত্র গুরুতর আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন জন মারা যান।
এই ঘটনায় ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর হত্যা, এসিড ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে খুলশী থানা পুলিশ। প্রত্যেক মামলায় মুফতি ইজহারকে প্রধান আসামী করা হয়েছে। এর মধ্যে হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় মুফতি ইজহারের ছেলে মুফতি হারুন ইজহারসহ দশজন করে আসামী করা হলেও এসিড মামলায় শুধুমাত্র পিতা-পুত্রকেই আসামী করা হয়। ২০১৪ সালের বিভিন্ন সময়ে এসব মামলায় অাসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরমধ্যে ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যেই মুফতি হারুন ইজহারসহ মোট ৮ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।
উল্লেখ্য, মুফতি ইজহার হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীরের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ইসলামী ঐক্যজোট একাংশের চেয়ারম্যান ও নিজের গড়া নেজামে ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যানও।