সিলেটে জামিন করিয়ে দেয়ার আস্বাসে পুলিশ কতৃক ৩০ হাজার টাকা লুট
প্রতিকার চেয়ে পুলিশ কমিশনার বরাবর অভিযোগ দায়ের
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ জামিন করিয়ে দেয়ার আস্বাসে ৩০ হাজার টাকা লুটে নিয়ে জামিন না করিয়ে উল্টো হয়রানী ও হুমকি প্রদান কারার অভিযোগে সিলেট মহানগর পুলিশ ক্মিশনারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এক ভূক্তভোগী। হয়রানির শিকার বাবুল আহমদ’র অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শাহপরান (র.) থানায় ২৪ এপ্রিল একটি মামলায় বাবুল মিয়ার বোন, বোনের স্বামী ও স্কুল পড়ূয়া ভাগ্নীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। পরদিন জামিন করাতে কোর্টে ছুটাছুটি করলে কোর্টের জিআর এ.এস.আই অমর বাবুলকে তার চেম্বারে ডেকে নিয়ে জামিনের ব্যবস্থা করবে বলে তার কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবী করে। বাবুল মিয়া অনুনয়-রিনিনয় করে ৩০ হাজার টাকা প্রদান করেন। এএসআই অমর নিজে আইনজীবী নিয়োগ ও জজ সাহেবকে ম্যানেজ করে জামিনের ব্যবস্থা করবেন বলে বাবুল মিয়াকে জানান। এএসআই অমর এর কথায় সরল বিশ্বাসে বাবুল মিয়া রাজী হয়ে ঐ দিনই তার কাছে ৩০ হাজার টাকা প্রদান করেন। বাবুল মিয়াকে কোন চিন্তু না করার জন্য বলেন। এদিকে বাবুল মিয়া নির্ধারিত দিনে এএসআই অমর এর মনোনিত কোন আইনজীবীকে কোর্টে না পেয়ে ঘটনাটি অন্য এক আইনজীবী কে বললে সেই আইনজীবীর মাধ্যমে তার ভাগ্নীর স্বাভাবিক জামিন হয়। জামিন হওয়ার পর একজন পুলিশসহ জামিননামা নিয়ে বাবুল মিয়া বাঘবাড়ী শিশু হেফাজত খানার উদ্দেশে রওয়ানা হলে, এএসআই অমর তালতলা পয়েন্ট অতিক্রম করার সময় সাথে থাকা পুলিশকে মোবাইল ফোন করে বেইল বন্ড কোর্টে ফিরিয়ে আনেন এবং আরো ১০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য বাবুল মিয়াকে চাপ সৃস্টি করেন। পরে বাবুল মিয়া চিৎকার করে কান্নাকাটি করলে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়। এসময় অবস্থা বেগতিক দেখে রাত ৮টার সময় এ এস আই অমর জামিন নামা পাঠায়। পরদিন বাবুল মিয়া এ এস আই অমরের কাছে টাকা ফেরত চাইলে এএসআই অমর টাকা দিবেন না এবং এনিয়ে বাড়াবাড়ী করলে বাবুল মিয়াকে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন বলে এস.এম.পি বরাবর লিখিত অভিযোগে বাবুল মিয়া উল্লেখ করেন।