সুনামগঞ্জে পুলিশ ইন্সপেক্টরের কান্ড : গনমাধ্যমকর্মীর মোবাইল কেড়ে নিয়ে ছবি গায়েব

ফরিদ ডাকাতের মামলার তদবির করতে গিয়ে সেই মামলাবাজ ও থানা পুলিশের চিহ্নিত দালাল জয়দর গণমাধ্যম কর্মীদের দেখে সঠকে পড়লেন
ওসি নিজেই মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে সখ্যতা ও সুখটানের ছবি মুছে ফেললেন!

joydhorসুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কখনো সালিশকারী, কখনো মামলার তদবীরকারী, মামলা রেকর্ড, আসামী গ্রেফতার ,ছাড়ানো, তদন্ত প্রতিবেদন হালকা করে দেয়ানো, মামলার ফাইনাল রিপোর্ট দেয়ানো, আবার কখনো কথনো নিজেই মামলার বাদী হয়েছেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উওর ইউনিয়নের কলাগাঁও গ্রামের সেই বহুরুপী জয়ধর শনিবার দুপুরে থানায় গিয়ে বিজিবির দায়ের করা একটি মামলায় তার বলয়ের সীমান্তের চিহ্নিত চোরাচালানী ফরিদ ওরফে ফরিদ্যা ডাকাতের মামলার তদবীর করতে গিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তার টেবিলে আয়েশী ভাবে বসা অবস্থায় গণমাধ্যম কর্মীরা থানা ভবনে উপস্থিত হলে তিনি অনেকটা নিরবেই সঠকে পড়লেন। থানার ডিউটি অফিসারদের কক্ষ্যে বসে জয়ধর সুখ টানের সময় প্রাণবন্ত আড্ডায় ও অবৈধ লেনদেনের জন্য দরকষাকষির সময় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা মুঠোফোনে তারই চিত্র ধারণ করলে থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জোর করে মুঠোফেন কেড়ে নিয়ে জিডি করার হুমকি দিয়ে মুঠোফোনের রক্ষিত সব চিত্রই মুছে ফেলেন। এমন কান্ডে শনিবার দুপুরে থানা ভবনে সেবা নিতে আসা সাধারন লোকজন এমনকি গণমাধ্যমকর্মীরাও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
এলাকার লোকজন জানান, চারাগাঁও সীমান্তের ভুমিখেকো চোরাচালানীদের মুলহোতা পুলিশের নামে চোরাই কয়লা , বাংলা কয়লা ও মামলাবাজ থানার দালাল জয়দর আলী ও তার ছেলে স্বরাষ্ট মন্ত্রনালয়ের তালিকাভুক্ত অস্ত্রচোরাকারবারী জালনোট ব্যবসায়ী নজরুল ওরফে পিস্তল নজরুলের প্রধান সহযোগী ও চোরাকারবারী ব্যবসার অন্যতম ব্যবসায়ীক পার্টনার ছিল ফরিদ । শুরুতে ছিচকে চুরির মাধ্যমে হাতে খরি হলেও এলাকায় একাধিক ডাকাতি ছিনতাই ও সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকায় ফরিদকে এলাকার সবাই এক নামে ফরিদ্যা ডাকাত বলেই চিনে।
উপজেলার শ্রীপুর উওর ইউনিয়নের সেই গুণধর জয়ধর আলী গত ৬ বছরেরও অধিক সময় ধরে সীমান্তের সাত গ্রামের হাজারো মানুষকে জিম্মি করে মামলার ফাঁদে ফেলে কারো কারো ভিটে মাটি , কারো কারো ফসলী জমি, ব্যবসায়ীদের ফতুর করা, এমনকি মহিলাদের অলংকার পর্য্যন্ত বিক্রি করিয়ে দুহাতে নিজের পকেট ভারী করেছেন।
এলাকাবাসী আরো জানান, জয়ধর আলীর লালসা থেকে এলাকার ৫টি মসজিদ, ১টি মাদ্রাসা এমনকি সীমান্ত সড়ড়ের ভাঙা সড়কের ওপর ২টি বাঁশের ব্রিজের ইজারার টাকা, ও মসজিদের নামে অপর আরেকটি ছড়ার ওপর বাঁশের সাঁকোর আয়ের টাকা, কলাগাঁও পাহাড়ী ছড়ায় হতদরিদ্র পরিবারের লোকজন কতৃক বালি ও পাথর উক্তোলনের বখরার টাকাও তিনি তার গুণধর পুত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের তালিকাভুক্ত অস্ত্রচোরাকারবারী ও জালনোট ব্যবসায়ী নজরুল তার সহোদর ফজলু , জয়দরের ভাতিজি জামাই জিলানী, নিকটত্বীয় চাঁন মিয়া, রমজান, ল্যাংরা জামাল, জুলহাস, সাক্তার, কলকি সুমন, চোরাচালান মামলার আসামী হাসিম সহ ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি লাঠিয়াল ও অস্ত্রধারী গ্রুপ তৈরী করে ওদের সহযোগীতা থানা পুলিশের বেশ কিছু অসৎ পুলিশ সদস্যের পরোক্ষ সহায়তা নিয়ে সীমান্তে শাসন ও শোষণ, চাঁদাবাজি ভুমিদখল,কয়লা চুরি করানো ,বিনাশুল্কে ভারত থেকে কয়লা নিয়ে আসা, বাংলা কয়লা থেকে থানা পুলিশ, বিজিবি, কাষ্টমসের নামে দফায় দফায় চাঁদা আদায় করে কোটি কোটি টাকা লুটেপুটে খেয়েছে । তার কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে গেলেই মিথ্যা অপহরণ , প্রতারণা, নারী নির্যাতন, ও চাঁদাবাজি ও সংঘর্ষ চোরাচালানী মামলা ও অভিযোগকে পুঁজি একটি দিকে যেমন জেলা শহরে একাধিক গাড়ি বাড়ি , এলাকায় দোকানকোটা, জলমহাল খাঁস জমি দখল করেছে তেমনি সীমান্তের সাত গ্রামের শিশু থেকে শুরু করে আবাল বৃদ্ধ বণিতাকার কাছে মুর্তিমান ত্রাস হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্টিত করেছে জয়দর ও তার ছেলে নজরুল এবং তাদের সহযোগীরা। এসব অপকর্মে স্থানীয় কিছু অখ্যাত পত্রিকার কার্ডধারীদেরও সহযোগীতা নিয়েছে কৌশলী জয়দর।
কলাগাঁও মাদ্রসা সুপার মাওলানা আব্দুল মন্নান জানান, জয়দর গত ৬ বছর ধরে ৬টি মসজিদের ওয়াজ মাহফিলের কালেকশনের টাকা, মাদ্রাসার গত তিন বছরের আয়-ব্যায়ের হিসাব দিতে চান না। এমনকি এসব বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি আরো রেগে গিয়ে আমার চাকুরি খাওয়ার হুমকি দেন।
মস্তফা নামের এক যুবক জানান, আমার শাশুড়ি হত্যা মামলার বিষয়টি আপোষ করে দেয়ার কথা বলে জয়দর চাচা আমার বৃদ্ধ বাবা মার নিকট থেকে জমাজমি বিক্রি করে সাড়ে ৪ লাখ টাকা নিয়েছেন কিন্তু মামলা আপোষ তো দুরের কথা টাকা ফেরতের কথা বললে আমাকে অস্ত্র মামলায় ফের ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন। কিছু দিন আগে এক নিরীহ যুবককে তার ছেলে ফজলু ও তার লোকজন অমানুষিক ভাবে পিঠিয়ে আহত করে এরপর সালিষে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হলে এ টাকাও জয়দর দেই দিচ্ছি করে সময়ক্ষেপন করে যাচ্ছেন। এলাকায় পল্লী বিদ্যুত সংযোগের নামে নিজের ছেলের নেতৃত্বে এলাকার যুবকদের দিয়ে ১২ থেকে ১৩ লাখ টাকার অধিক চাঁদা আদায় করিয়ে ১ লাখ টাকা ভাগ পেয়ে তুষ্ট না হয়ে নিজ ছেলেকে হেফাজত করে এক ইউপি সদস্য সহ নিরপরাধ আট জনকে নিজেই মামলার বাদী হয়ে ফাঁসিয়ে দিয়ে এখন আপোষের জন্য চার লাখ টাকার দাবি তুলেছেন। চারাগাঁও শুল্ক ষ্টেশনে এক কয়লা আমদানিকারককের ডিপোতে ভারত থেকে কয়লাবাহি ট্রাক ডিপোতে আসার পথে ট্রাক চাঁপায় এক যুবকের অপমৃত্যু হলে এটাকে পুঁজি করে এপারের আমদানিকারক ওপারের রফতানীকারক উভয় প্রতিষ্টানের নিকট থেকে মৃত্যুবরণকারী যুবকের পরিবারকে ক্ষতিপুরণ ও থানা পুলিশকে ম্যানেজ করার কথা বলে ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
তাহিরপুর কয়লা আমদাকারক সমিতি থেকে আলাদা ভাবে চারাগাঁও কয়লা আমদানিকারক সমিতি গঠনের কথা বলে কয়লা আমদানিকারক হাজি আব্দুস সামাদ মুন্সী সহ একাধিক আমদানিকারকের নিকট থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা চাঁদা তুলে সেই টাকায় জেলা শহরে রাতারাতি তৈরী করা বাড়িও কিনেন। কিছু দিন আগে বাগলী এলাকার একটি মামলা থেকে তদন্তরিপোর্ট ও চার্জশীট থেকে এক আসামীর নাম বাদ দেয়ার কথা বলেও অর্ধলক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন জয়দর। চোরাই কয়লা পাচারের কাজে সহযোগীতা না করায় কয়েক মাস পুর্বে লালঘাট গ্রামের এক সহায় সম্বলহীন যুবককে কৌশলে ৭/৮ বস্তা কয়লা দিয়ে প্রভাবিত করে চোরাচালান মামলার আসামী করান। এর আগে একই চক্রের অপর একটি কয়লা চোরাচালানের ঘটনায় মামলা হলেও “জজ মিয়া নাঠক” সাজিয়ে নিরীহ বাড়ির মালিক ইদ্রিসকে ফাঁসিয়ে জয়দর তার ছেলে নজরুলকে হেফাজত করে তার ক্ষমতার জানান দিতে এক ঢিলে দু’পাখি শিকারীর ন্যায় আদিবাসী পরিবারের জায়গা দখলের অপকৌশল হিসাবে অরুণ নামের আরেক আদিবাসী যুবককেও ঐ মামলায় পলাতক আসামী করান।
উল্ল্যেখ যে, লালঘাট, বাঁশতলা, চারাগাঁও ও কলাগাঁও, মাইজহাটির মোড়, জঙ্গলবাড়ী, লামাকাট সহ সাতটি গ্রামের সাতটি পয়েন্ট দিয়ে জয়ধর ,তার ছেলে নজরুল, ফজলু বিগত বছরের মে মাস থেকে কয়লা আমদানি রফতানী কার্যক্রম বন্ধ থাকার সুবাধে পুলিশ, বিজিবি , কাষ্টমসকে ম্যানেজ করার কথা বলে প্রতিনিয়ত শতশত মেট্রিকটন চোরাই কয়লা ওপার থেকে নিয়ে এসে ভুয়া চালান পত্র ও মিনিপাসন দিয়ে বিক্রি করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। শুধু চোরাই কয়লার ব্যবসাই নয় এসব প্রতিবস্থা কয়লার জন্য পুলিশ, বিজিবি, ইউপি চেয়ারম্যান, কাষ্টমস’র নামে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৭০ টাকা এমনকি ১’শ টাকাও চাঁদা নিয়েছেন প্রকাশ্যে এলাকার লোকজন অভিযোগ তুলেছেন। একই চক্র গত টানা ৬ বছর ধরে পুলিশের নামে পাহাড়ি ছড়া ও নদী পথে হত দরিদ্র মহিলা পুরুষদের কুড়ানো বাংলা কয়লা থেকেও প্রতিটন ১ থেকে ২ ’শ টাকা করে চাঁদা তুলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সীমান্তের চোরাচালানীদের এক খাদেমের সহযোগীতায় জয়দর খেদমতদার সেজে তার পুত্র নজরুল , ভাতিজি জামাই সহ ঘাটে ঘাটে লাঠিয়াল ও অস্ত্রবাজাদের রেখে চাঁদাবাজির আয়ের টাকায় এলাকায় ও শহরে একাধিক বাড়ি গাড়ি জমি ও দোকানকোটার মালিক হয়ে থানার দালাল থেকে কোটি পতির তালিকায় নাম লিখিয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে এখনো থানা পুলিশের অন্দর মহলে কিছু কিছু কর্তাব্যাক্তিদের মামলার দালালী করে পকেটভারীর করে দেয়ার সুবাধে থানায় আসা যাওয়া সখ্যতার বদৌলতে নিজ ভাতিজা শামীম গত ১৫ ডিস্মেবর সন্ধা রাতে অবৈধ পিস্তল দিয়ে প্রকাশ্যে মাইজহাটির মোড়ে প্রতিপক্ষের ওপর তিন রাউন্ড গুলি করলেও পুলিশ জয়দরের ইশারায় ঐ ঘটনা ইতিমধ্যে ধামাচাঁপা দিয়েছে। এমনকি আজো সেই অবৈধ পিস্তল ও অস্ত্রবাজ শামীমকে পুলিশ আইনের আওতায় আনতে জনসাধারণের কাছে ব্যার্থতার পরিচয় দিয়েছে। শুধু এখানেই শেষ নয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় থেকে জয়দরের ছেলের অস্ত্র চোরাকারবারীর পুন:তদন্ত চেয়ে প্রবিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দিলে জেলা পুলিশ সুপারের বিষেশ শাখা থেকে থানায় প্রতিবেদন চেয়ে পাঠানোর পর সেই নির্দেশনা পত্র জয়দর এক অসৎ তদন্তকারীকর্মকর্তাকে টাকার বষে বশীকরণ করে ফটোকপি নিয়ে কিছু অর্থলোভী নাম সবস্ত্র পত্রিকার কার্ডধারীদের হাতে কারিকারি টাকা ধরিয়ে দিয়ে নজরুলকে ধোয়া তুলসি পাতা সাজিয়ে এলাকায় ফটোকপি বিলি করিয়েছে। সীমান্তের সাত গ্রামের মানুষের পুলিশী সেবা, হয়রানী, গ্রেফতার, মামলা রেকর্ড করা না করা সব কিছুই এখনও নির্ভর করে জয়দরের ইশারা ও মুঠোফোনের কলের ওপর।
থানা ভবনে বসে জয়দরের সাথে সুখটান , সখ্যতা,তদবীর ও স্থানীয় সংবাদকর্মীর মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে চিত্র মুছে ফেলার প্রসঙ্গে থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মো. আবু হানিফের সাথে বক্তব্য জানতে চাইলে বিকেলে তার মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি বললেন, জয়দরের সাথে আমার কোন সখ্যতা নেই সে একটি মামলার বিষয়ে থানায় অন্য তদন্তকর্মকর্তার টেবিলে বসা ছিল, তাকে দেখে আমি তার কুশলাদি জিঙ্গেস করতে গিয়ে এক টেবিলে বসে সিগারেট পান করছিলাম ,এ সময় ঐ সাংবাদিক ফটো তোলে ফেলায় আমি বিব্রত হয়েই তার কাছ থেকে মুঠোফোন নিয়ে আপক্তিকর ছবিগুলো মুছে ফেলেছি।
এর আগে তিনি থানায় হৈ চৈ শুরু করে সহকর্মীদের ডেকে নিয়ে এসে ঐ সাংবাদিককে আটক এমনকি তার বিরুদ্ধে জিডি করে পুলিশ সুপারকে অবহিত করারও হুমকি প্রদান করেন। উল্ল্যেখযে, জয়দর বলয়ের বেশ কয়েকটি চোরাচালানী মামলার তদন্তভার ঐ ইন্সপেক্টরের তদন্তনাদীন রয়েছে। একটি সুত্র জানায় ,এর আগেও উনার সাথে সীমান্তে একাধিক দিন জয়দরের দেখা সাক্ষাত ও ব্যাক্তিগত মুঠোফোনে মামলার তদবীর নিয়ে রফাদফা হয়েছে। আবু হানিফ মাত্র মাস দু’য়েক আগে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা থেকে শাস্তিমুলক ভাবে বদলী হয়ে তাহিরপুর থানায় যোগদান করেন।
এর আগে মোটরসাইকেলে চরে বাড়ি যাওয়ার পথে জয়দরের মুঠোফোনে কল করে তিনি থানায় কেন গিয়েছিলেন ওখানে কি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি থানায় যাইনি , সুনামগঞ্জ থাইক্যা বাড়িত যাইতাছি।
স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী রাজন ও আবুল কাসেম বলেন, কর্তব্যরত অফিসারদের কক্ষে বসে জয়দর আলী ইন্সপেক্টর তদন্ত ও অপর এক এসআইয়ের সাথে বসে ধুমপান করছিলো এবং মামলার তদবীর নিয়ে আলাপ আলোচনা করছিলো পরে ইন্সপেক্টর তদন্ত আমার হাত থেকে মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে ফোনে ধারণ করা সব ছবি মুছে ফেলেছেন এমনকি আমাদের বিরুদ্ধে জিডি ও পুলিশ সুপারকে জানিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হুমকিও দিয়েছেন।