সা.কা চৌধুরীর মামলা নিয়ে ডেভিড বার্গম্যানের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন!
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বাংলাদেশে বসবাসরত ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ-এর সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দেন ফাঁসীর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলা নিয়ে। প্রশ্ন গুলো আমাদের নিউজ অর্গান টোয়েন্টিফোর.কম পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল,
প্রশ্ন গুলো হচ্ছেঃ
১/ কেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ২৯ মার্চ করাচী যাত্রা এবং সেখানে অবস্থানের পক্ষে দেয়া তার প্রমানকে আমলে নেয়া হয়নি?
২/ কেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে মাত্র ৫জনের বেশি সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপনের সুযোগ দেয়া হয়নি? যেখানে রাষ্ট্রপক্ষের ৪১জন সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপনের সুযোগ দেয়া হয়েছে।
৩/ আদালতে সাক্ষী উপস্থাপনের সুযোগ না পাওয়ায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবীরা ছয়জন সাক্ষীর এফিডেবিট আদালতে উপস্থাপন করেছিলেন, যারা নিশ্চিত করেছেন যে যুদ্ধচলাকালীন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী পাকিস্তানে অবস্থান করছিলেন। সেই এফিডেবিটগুলোকে ট্রাইবুনাল খারিজ করে দেয়নি, কিন্তু যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হয়নি এই অযুহাতে সেগুলো আমলে নেয়নি। কেন?
৪/ করাচীতে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সাথে নিয়মিত দেখা সাক্ষাৎ করা বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাগরিক সালমান এফ রহমান এবং বিচারপতি শামিম হাসনাইনের সাক্ষ্য কেন গ্রহণ করা হয়নি, যেখানে ছয়জন সাক্ষী বলেছেন যে তারা করাচীতে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন? সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী দোষী হলে অবশ্যই তাকে শাস্তি দিতে হবে, কিন্তু তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ বঞ্চিত করে জুডিশিয়াল কিলিংকে সমর্থন করা যায় না।
উল্লেখ্য, গতকাল ২৯ শে জুলাই ২০১৫, বুধবার মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। বুধবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এর আগে শুনানি শেষ হওয়ায় ২৯শে জুলাই রায়ের দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। এর আগে গত ১৬ই জুন শুরু হয়ে ১৩ কার্যদিবসে এ আপিল শুনানি শেষ হয়। ২০১৩ সালের ১লা অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। একই বছরের ২৯শে অক্টোবর খালাস চেয়ে আপিল বিভাগে আপিল করেন সালাউদ্দিন কাদের। তবে সর্বোচ্চ সাজা হওয়ায় আপিল করেননি রাষ্ট্রপক্ষ।