আ.লীগের সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী শিবির নেতা জাবেদ
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন মঙ্গলবার। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি দাবীদার আওয়ামী লীগের এই ইউনিয়ন শাখার সভাপতি পদপ্রার্থী একাত্তরে মানবতাবিরোধী জামায়াতের ছাত্র সংগঠন শিবিরের নেতা হাবিবুল্লাহ জাবেদ। তাঁর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাও। উপজেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা নেতারা কি করে একজন শিবির নেতাকে সভাপতি করার প্রচারণা করেন এনিয়ে এলাকায় তোলপাড় হচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় কালীবাড়ি চৌমুহনি বাজার মাদ্রাসা মাঠে পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এতে বর্তমান সভাপতি রফিক আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীর পরিচালনায় অনুষ্টিত হবে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আপ্তাব আলী কালা। সম্মেলনে সভাপতি পদপ্রার্থী হয়েছেন পাথর ব্যবসায়ী শামীম আহমদ ও শিবির নেতা হাবিবুল্লাহ জাবেদ। সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মশাহিদ আলী, আব্দুল আলী। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সুত্রে জানা যায়, সভাপতি পদপ্রার্থী হাবিবুল্লাহ জাবেদ সিলেট সরকারী আলিয়া মাদ্রাসা শাখা শিবিরের নেতা। ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারী জাবেদ শিবিরের সিলেট সরকারী আলিয়া মাদ্রাসা শাখার সমর্থক ফরম পুরণ করে যোগদান করেন। ফরমে লেখা জাবেদের পিতার নাম ইউনুস আলী, স্থায়ী ঠিকানা গ্রাম কাঠাঁলবাড়ি কোম্পানীগঞ্জ। তখন আলীয়া মাদ্রাসা শিবিরের মেস পায়রা আবাসিক এলাকা কে তৎকালীন ঠিকানা বলে ফরমে উল্লেখ করেন। সুত্র আরো জানায়, জাবেদের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন খোদ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আপ্তাব আলী কালা, যুগ্ন-সম্পাদক হুমায়ুন কবির, মছব্বির, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াকুব আলী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা নেতারা কি করে একজন শিবির নেতাকে সভাপতি করার প্রচারণা করেন? অন্য কোন সংগঠন হলে কথা, সরাসরি শিবির নেতা। যারা কিনা মুক্তিযুদ্ধে দেশের শত্রুর ভূমিকায় প্রকাশ্যে ছিল। তারা দেশ ও বাঙ্গালী জাতির শত্রু। তাদের জন্য কি করে যে আওয়ামীলীগ নেতার কাজ করেন? তাদের নিয়েই এখন এলাকাবাসী নানা জল্পনা কল্পনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আপ্তাব আলী কালা বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে সবার পক্ষে কাজ করছি। কে শিবির-জামায়াত তা সম্মেলনে যাচাই-বাচাইয়ে প্রমান হবে। যদি করো বিরুদ্ধে এধরনের প্রমান পাওয়া যায়। তাহলে সভাপতি হওয়া তো দুরের কথা তাঁর বিরুদ্ধে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।