সিলেট উইমেন্স হাসপাতালের দায়িত্বে অবহেলাকে দায়ি করে তদন্ত প্রতিবেদন
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বাংলাভিশনের সিলেট অফিসের ক্যামেরাপার্সন বদরুর রহমান বাবরের ছেলে সাফি’র অঙ্গহানির (আঙ্গুল কর্তন) ঘটনায় সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারিদের দায়িত্বে অবহেলাকে দায়ি করে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি। তদন্ত প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্টদের অবহেলায় শিশু সাফির ডান হাতের আঙ্গুল কেটে ফেলতে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন স্বাস্থ্য অধিদফতরে প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের সিভিল সার্জন অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা গৌছ আহমদ চৌধুরী। তিনি প্রতিবেদনে কি উল্লেখ করা হয়েছে তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
তদন্ত কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ১০৫ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। এতে ৩য় পৃষ্ঠায় অভিযোগ ও মতামত বর্ণনা করা হয়েছে।
মতামতে উল্লেখ করা হয়, ‘অভিযোগকারীর অভিযোগনামা উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বরত ডাক্তার-কর্মচারীগণের বক্তব্য, স্বাক্ষ্যপ্রমানাদি ইত্যাদি পর্যালোচনাক্রমে প্রতীয়মান হয়, দায়িত্বশীল ডাক্তার, কর্মচারীগণ দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট দায়িত্বশীল ছিলেন না। যার জন্য অনুরূপ/অনাকাঙ্খিত ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং অভিযোগকারীর কর্তব্যে অবহেলার যে অভিযোগ দাখিল করেছেন, তাহা প্রাথমিভাবে তদন্ত কমিটির নিকট অনেকাংশে সঠিক বলে প্রতীয়মান হয়।’
উল্লেখ্য, গত ১৮ জানুয়ারি দরজার হেজবল্টে চাপ লেগে আঘাতপ্রাপ্ত হয় বাংলাভিশনের ক্যামেরাপার্সন ও টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি বদরুর রহমান বাবরের ছেলে সাফি। ডানহাতের তর্জনিতে রক্তক্ষরণ শুরু হলে বাসার পার্শ্ববর্তী সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, চিকিৎসায় অবহেলার কারণে সাফির আঙ্গুলে ‘গ্যাংগ্রিন’ হওয়ায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি অপারেশনের মাধ্যমে ডান হাতের তর্জনী আঙ্গুল কেটে ফেলা হয়।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক বদরুর রহমান বাবর স্বাস্থ্য অধিদফতরে ২৫ ফেব্রুয়ারি লিখিত অভিযোগ করলে অধিদফতরের নির্দেশে সিলেটের সিভিল সার্জন আজহারুল ইসলামকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গত ২৮ জুন তদন্ত শেষ করে। পরে রিপোর্ট ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
সিলেটের সিভিল সার্জন অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা গৌছ আহমদ চৌধুরী তদন্ত প্রতিবেদন ঢাকায় পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।