ইলিয়াসপত্নী লুনাকে জড়িয়ে কাঁদলেন নিহত রাজনের শোকাহত মা-বাবা
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ নৃশংসভাবে সন্ত্রাসীদের হাতে খুন শিশু সামিউল আলম রাজনের বাড়িতে স্বজনদের শান্তনা দিতে ছুটে গেলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জননেতা এম ইলিয়াস আলী’র সহধর্মীনি ও সিলেট জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য বেগম তাহসিনা রুশদী লুনা। গত বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাও ইউনিয়নের বাদেআলী গ্রামে তিনি যান। এ সময় তাহসিনা রুশদী লুনা নিহত শিশু রাজনের বাবা আজিজুর রহমান ও মা লুবনা বেগমকে শান্তনা দেন। একই সঙ্গে লুনা বর্বরোচিত ও লোমহর্ষক এ হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সুষ্ট বিচার দাবি করেন। তিনি বলেন, শিশু রাজনের সামনে দীর্ঘ জীবন ছিলো। ফুটন্ত এ শিশুটিকে পৃথিবীতে বাচতে দিলো না ঘাতকরা। পাষন্ডরা টানা চার ঘন্টা নির্যাতন চালিয়ে তাকে নির্মমভাবে খুন করলো। মৃত্যুর আগে রাজন হাহাকার করলেও একটু পানি দেওয়া হয়নি তাকে। তিনি বলেন, এই বর্বর সমাজ আমরা চাই না। এই অমানুষিকতা আর দেখতে চাই না। স্বাধীন এই বাংলাদেশে সকল মানুষ নিরাপত্তা নিয়ে নির্বিঘ্নে বসবাস করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। বেগম ইলিয়াসকে কাছে পেয়ে রাজনের মা ও বাবা বার মুর্ছা গেলেন। জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তারা। এ সময় রাজনের বাড়িতে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়। বেগম ইলিয়াসও চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। তিনি নিজে কাদলেন, উপস্থিত সকলকে কাঁদালেন। তিনি রাজনের মা ও বাবাকে ধৈর্য্যরে সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলার আহবান জানিয়ে বলেন, ‘দেশবাসী আপনাদের সঙ্গে আছে। ইনশাল্লাহ রাজনের খুনিদের সুষ্ট বিচার হবে।’ এ সময় রাজনের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন, জননেতা এম ইলিয়াস আলীর দুই ছেলে আবরার ইলিয়াস ও লাবিব সারার, এম ইলিয়াস আলীর একান্ত সহকারী ও সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. ময়নুল হক, সদর উপজেলা বিএনপি নেতা আব্দুর রহমান ও মাসুক আহমদ, সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল মোর্শেদ, বিএনপি নেতা আপ্তাব আলী, সদর উপজেলা যুবদল নেতা আব্দুল খালিক, মাসুক আহমদ, ফারুক আহমদ, স্বেচ্ছাসেবকদল আব্দুল্লাহ, গোলাম মোস্তফা সুমন, আলীম উদ্দিন, ছাত্রদল নেতা খালেদ আহমদ প্রমুখ। এর আগে তিনি সদর উপজেলা বিএনপি নেতা আব্দুর রহমানের মেয়ের কুলখানি উপলক্ষে দোয়া মাহফিলে অংশ গ্রহন করেন। এদিকে, ওসমানীনগর উপজেলা ওলামা দলের সাধারন সম্পাদক মাওলানা ক্বারী সিরাজুল ইসলাম রিপনের নৃশংস হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, যারা রিপনকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে প্রশাসন তাদেরকে সুষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে খুজে বের করে দেশের প্রচলিত আইনে সুষ্ট বিচারের জোর দাবি জানান। অনুরূপ নিন্দা ও বিচার দাবি জানিয়েছেন ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মোতাহির আলী চেয়ারম্যান, সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমান মানিক চেয়ারম্যান ও সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মো. এহিয়া।