সুনামগঞ্জের চারাগাঁও সীমান্ত থেকে ভারতীয় চোরাই মোটর সাইকেল উদ্যার: নেপথ্যে কালা রফিক গ্রুপ!
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ-৮বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়নের চারাগাঁও সীমান্ত এলাকা থেকে ওপারের ভারতীয় বস্থি থেকে চুরি হওয়া একটি মোটর সাইকেল বিজিবির অভিযানে উদ্যার করা হয়েছে। উদ্যারকৃত মোটর সাইকেলটি বিজিবি- বিএসএফের মাধ্যমে বুধবার ফেরত দিয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ ভারতীয় মোটর সাইকেল চুরির ঘটনার নেপথ্যে রফিকুল ইসলাম ওরফে কালা রফিক গ্রুপের হাত থাকতে পারে ।
স্থানীয় বিজিবি ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের বাগলী সীমান্তের ওপারে কমপক্ষে ৭০ থেকে ৮০ কি:মি: ভারতের অভ্যন্তরে মেঘালয় ষ্টেইটের এক সরকারি চাকুরিজীবী ও পঞ্চায়েতের মালিকানাধীন ১২৫ সিসি ডিসকভার মোটর সাইকেলটি মঙ্গলবার রাতে একটি সংঘবদ্ধ গাড়ি চোর চক্র চুরি করে এপারে নিয়ে আসে। পরে বাগলী বিএসএফ ক্যাম্পের পক্ষ থেকে সুনামগঞ্জ-৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়নের বীরেন্দ্রনগর কোম্পানী হেডকোয়ার্টার ও চারাগাঁও বিজিবির নিকট মৌখিক ভাবে মোটর সাইকেলটি উদ্যারের জন্য সহায়তা চাওয়া হয়। চারাগাঁও বিওপির বিজিবির টহল কমান্ডার হাবিলদার আইয়ুব আলীর নেতৃত্বে বুধবার সকালে কলাগাঁও চড়া এলাকায় কমপক্ষে ২ কি:মি: বাংলাদেশ অভ্যন্তর এলাকায় পানিতে লুকায়িত অবস্থায় মোটর সাইকেলটি উদ্যার করে বিকেলে বিএসএফের মাধ্যমে মোটরসাইকেলটি ফেরত দেয়া হয়েছে। উল্ল্যেখ বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের লামাকাঁটা, জঙ্গলবাড়ি ও চারাগাঁও সীমান্তের চারাগাঁও এবং কলাগাঁও সীমান্ত এলাকায় স্থানীয় ৭/৮ সদস্যের একটি মোটর সাইকেল চোর চক্র ওপারে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে ওপারের কিছু গাড়ি চোর চক্রের সদস্যের সহযোগীয় গত কয়েক বছর ধরেই নির্ব্রিগ্নে ভারতীয় চোরাই মোটর সাইকেলের জমজমাট ব্যবসা চালিয়ে আসছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব চোরাই মোটর সাইকেল পশ্চিমের সীমান্তপথ ধরে মোটর সাইকেলে প্রেস, সংবাদপত্র লিখে পুলিশ ও বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে নেত্রকোণা, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ সহ রাজধানী ঢাকার কাঁচপুর সহ নানা জায়গায় নিয়ে বিক্রয় করা হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ , উপজেলার কলাগাঁও মাইজহাটির মোড়ের কথিত পল্লী চিকিৎসক মনা ডাক্তারের ছেলে রফিকুল ইসলাম ওরফে কালা রফিক নিজেকে বেশ কয়েকটি অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এসব ভারতীয় চোরাই মোটর সাইকেল ক্রয়-বিক্রয় ও চুরি করানো, হুন্ডি ও আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের জন্য সীমান্ত এলাকায় একটি শক্তিশালী অস্ত্রধারী চক্র গড়ে তুলে নিজেই প্রকাশ্যে ও গোপনে এসব অপকর্মের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। একাধিক মুঠোফোনের সিম ব্যবহার করা প্রতিমানে নতুন মডেলের গাড়ি ব্যবহার করা, অপরিচিত ও অজ্ঞাত যুবকদের এলাকায় নিয়ে এসে রহস্যজনক ভাবে কালা রফিকের এলাকায় ঘুরাফেরা করা এমনকি হঠাৎ করেই এলাকা থেকে উধাও হয়ে যাওয়া নিয়েও নানা রহস্যের পাশাপাশী মুখরোচক সমালোচনা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।