কমলগঞ্জে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে মাদ্রাসা ছাত্রের চোখ ও নাকে আঘাত
কমলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষার ইউনিয়নে দুই ছাত্রের বিতর্ককে কেন্দ্র করে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে মাদ্রাসা ছাত্রের চোখ ও নাকে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে। অল্পের জন্য অন্ধত্ব থেকে চোখটি রক্ষা পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিকিৎসক। তবে এটি মিথ্যাচার বলে দাবি করেছেন মাদ্রাসা সুপার। শনিবার সকাল ১১টায় পতনউষার ইউনিয়নের মহেশপুর করিমিয়া দাখিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
শ্রীরামপুর গ্রামের আহত ছাত্রের বাবা সৈয়দ আকিমুজ্জামান জানান, অমানসিকভাবে আহত করে আবার তাকে না জানিয়ে শিক্ষক গিয়াস উদ্দীন দ্রুত মৌলভীবাজার চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে যান। তার ছেলে ৫ম শ্রেণির ছাত্র সৈয়দ আদিলুজ্জামানকে (১১) মৌলভীবাজার চক্ষু হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে বাড়িতে বিশ্রামে রেখেছেন। তিনি জানান, তার এক সহপাঠীর সাথে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তর্কবিতর্ক চলছিল। এ ঘটনায় মাদ্রাসার শিক্ষক গিয়াস উদ্দীন আদিলকে বেত্রাঘাত করেন। বেত্রাঘাতে আদিলের বাম চোখ ও নাকে জখম হয়। তিনি আরও বলেন, মৌলভীবাজার চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক মোজাহিদ আলী জানিয়েছেন, বেত্রাঘাতে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে বাম চোখের কর্ণিয়া। এমনকি তার একটি চোখ নষ্ট হয়ে যেত। আহত আদিল জানায়, শিক্ষক গিয়াস উদ্দীন তাকে বেত্রাঘাত দিয়ে নগদ বিশ টাকা দিয়ে বলেন তুই কোন অভিযোগ করবি না। আদিল শিক্ষকের দেওয়া টাকা গ্রহন করেনি।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চেয়ে মহেশপুর করিমিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক গিয়াস উদ্দীনকে খোঁজে পাওয়া যায়নি। তবে মাদ্রাসার সুপারেন্টেন্ড জামাল উদ্দীন পুরো ঘটনাটিকে অস্বীকার করে বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। ছাত্রের বাবা মিথ্যাচার করছেন।
মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি আব্দুস সোবহান (বাবু) প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলেও পরে বলেন, তিনি তদন্তক্রমে ব্যবস্থা নিবেন। স্থানীয় লোকজন বলেন, মহেশপুর করিমিয়া দাখিল মাদ্রাসায় নিয়মিত এভাবে ছাত্রদের বেত্রাঘাত করে পরে হাতে ৫ থেকে ১০ টাকা করে ধরে দেওয়া হয়।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেলে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।