রাগিব-রাবেয়ায় ছাত্রলীগের ৬ কর্মীকে পেটাল নিরাপত্তারক্ষীরা
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকায় রাগিব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষীদের হামলার আহত হয়েছেন ৬ ছাত্রলীগ কর্মী। আহতরা হলেন ছাত্রলীগ কর্মী । নিরাপত্তারক্ষীদের হামলায় আহতরা হচ্ছেন বিশ্বনাথ থানার ফরহাদপুর গ্রামের নজির মিয়ার ছেলে লিপু মিয়া (২৬), জালালাবাদ থানার নয়াবাজার এলাকার নিখিল দাসের ছেলে শুভ্র দাস শুভ (২০) আহত অন্য ছাত্রলীগ কর্মীর নাম জানা যায়নি। আহতদেরকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত শুভ্রত দাস শুভ জানান, আমি হাসপাতালে আমার এক আত্ত্বীয়কে দেখতে গিয়েছিলাম এসময় নিরাপত্তারক্ষী রড ও পাইপ দিয়ে আমাকে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করেন। আরো কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন । শুভ্র দাস শুভ সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিবিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র এবং সে সিলেট সিটি করপোরেশনের ৯নং ওয়র্ডের সাবেক কাউন্সিলর জগদীশ চন্দ্র দাশ এর ভাইপু।
প্রত্যক্ষদর্শী সিএনজি চালক মো: সালাউদ্দিন জানান, বুধবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা পারভেজের বোনকে দেখতে সিলেট রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। সিএনজি পার্কিংকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তারক্ষীদের সাথে ছাত্রলীগ কর্মী মো : লিপু মিয়ার সাথে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে নিরাপত্তারক্ষীরা মিলে হাসপাতালের দুটি গেইট বন্ধ করে তার ওপর হামলা চালিয়ে আহত অবস্থায় প্রায় আধা ঘন্টা হাসপাতালের সামনে ফেলে রাখেন । এক পর্যায়ে আরো কয়েকজন আহত লিপুকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এলে তাদের উপরও হামলা চালান নিরাপত্তারক্ষীরা এতে প্রায় আরো ৬ জন আহত হন। হামলার ঘটনায় রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী এবং আত্বীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। হামলার চলাকালে হাসপাতালের সামনের ও পেছেনের গেইট বন্ধ থাকায় দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে রোগী ও স্বজনদের। দুই গেইটেয় দেখা গেছে আতঙ্কিত মানুষদের ভিড়।
খবর পেয়ে জালালাবাদ থানার এসআই আমিনুলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। পুলিশ জানায়, ছাত্রলীগ নেতা মিজান পারভেজ তার বোনকে নিয়ে হাসপাতালে যান। দায়িত্বরত চিকিৎসক তখন অপেক্ষা করার জন্য তাকে বলেন। এসময় ওই চিকিৎসকের সাথে রোগীর আত্বীয়স্বজন ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরেই হামলা ও আহতের ঘটনা ঘটে।
সূত্রে জানা যায়, প্রায় সময় হাসপাতালের রোগীর স্বজনদের উপর এভাবেই অর্তকিত হামলা চালায় হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা। পূর্বে বেশ কয়েকবার হামলার ঘটনা ঘটলেও যথাযথ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে রহস্যজনক কারণে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। যার কারণে হামলাকারীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এব্যাপারে মিজান পারভেজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যবহৃত নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন জানান,খবর পেয়ে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।