আমার রুহানির জোরে ক্ষমতায় হাসিনা
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ ‘রুহানির ক্ষমতার জোরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ ও ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেছেন’ বলে দাবি করেছেন আলহাজ সৈয়্যদানা হায়দার আলী চৌধুরী। নিজেকে সুফি-গবেষক ও মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার রুহানির ক্ষমতার জোরে ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় এসেছেন। তার প্রমাণ আমার কাছে আছে। আমার লেখা ‘সত্য সমাগত, মিথ্যা বিলুপ্ত’ বইয়ে এর বর্ণনা আছে।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে মঙ্গলবার বিকেলে আম জনতা খেলাফত পার্টির (এজেকেপি) আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। নিজেকে এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতির পরিচয় দিয়ে সংগঠনের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন তিনি।
খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আমি খালেদাকে আমার রুহানি শক্তি গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করে মজেছেন মানুষ পোড়ানো ও পেট্রোলবোমায়। আমি আপনাকে অনুরোধ করছি, আপনি আমার রুহানি ক্ষমতায় মজে তার তলায় লুটিয়ে পড়েন। আমি রুহানি ক্ষমতার জোরে ফরিয়াদ করলে আপনি আবার ক্ষমতায় যাবেন।’
আগামী তিন বছরের মধ্যে ক্ষমতায় যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার জনবিরোধী হয়ে নির্যাতন করছে। এ সরকারের পতন হয়ে যাবে। আমরা আম জনতা খেলাফত পার্টির ঘোষণাপত্র অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যেই সম্মেলন করে কমিটি দেব। আর তিন বছরের মধ্যে অবশ্যই রুহানি শক্তির জোরে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে ইসলামী চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়বো।’
২০১৯ সালে দেশের পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠান হলে তিন বছরের মধ্যে কিভাবে ক্ষমতায় আসবেন— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রুহানি শক্তির জোরে তিন বছর কেন তিন দিনেই ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব। আর তিন বছর তো অনেক দিন, সরকার যেভাবে জনবিরোধী হয়ে পড়ছে তাতে আমরা সাংগঠনিকভাবে শক্তি জুগিয়ে ক্ষমতায় আসবো।’
হেফাজতে ইসলামের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তারা আমার রুহানি শক্তির আহ্বান শোনেনি। এ জন্য এখন তাদের ডাকে চট্টগ্রামেও লোক আসে না।’
সৈয়্যদানা হায়দার আলী চৌধুরী নিজেকে ভারতবন্ধু সম্মানে ভূষিত হয়েছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল খালেক, ন্যাপ ভাসানীর সভাপতি মোস্তাক ভাসানী প্রমুখ।