অপহরণের প্রমাণ মিললে ভারতে সাজা হবে না সালাহ উদ্দিনের
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ অপহরণ করা হয়েছিল এমন প্রমাণ মিললে ভারতের আদালতে সাজা হবে না বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের। বিএনপির এ নেতার বিরুদ্ধে বর্তমানে অনুপ্রবেশ আইনে মামলা রয়েছে।
ভারতের আইনে অনুপ্রবেশের দায়ে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। সালাহ উদ্দিনের অপহরণের দাবি সত্যি প্রমাণিত হলে তিনি বাংলাদেশ যেতে পারবেন। কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী সন্দ্বীপ চট্টোপাধ্যায় এ ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কোনো অপহৃত বিদেশীকে যদি ভারত ভূখণ্ডে পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশ আইনে মামলা করতে পারে। মামলার শুনানির সময় তার পক্ষ থেকে আদালতে নিখোঁজের কাগজপত্র দাখিল করলে আদালত বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিতে পারেন। তদন্তে অপহরণের দাবি প্রমাণিত হলে আসামির কোনো সাজা হবে না। আর ঘটনাটি মিথ্যা বা সাজানো প্রমাণিত হলে দুইভাবে সাজা হতে পারে। অনুপ্রবেশ ও আদালতকে বিভ্রান্ত করার অপরাধে দোষী হবেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি।’
এদিকে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের ঢাকা ইউনিট বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতারের অনুরোধ জানিয়ে ভারকে একটি রেড নোটিশ পাঠিয়েছে।
মেঘালয়ের পুলিশ প্রধান রাজীব মেহতা ভারতের বার্তা সংস্থা আইএএনএসকে বলেছেন, ‘বুধবার আমরা সালাহ উদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতারের অনুরোধ জানিয়ে ঢাকা ইন্টারপোলের কাছ থেকে একটি রেড অ্যালার্ট পেয়েছি। আমরা নয়াদিল্লিতে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোকে (সিবিআই) বাংলাদেশের এ অনুরোধের কথা জানিয়েছি।
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার অফিসাররাও ঢাকা থেকে সালাহ উদ্দিন অপহরণের তথ্য যোগাড়ের চেষ্টা করছেন। কারণ সালাহ উদ্দিন অপহরণের পর তার পরিবার যদি থানায় কোনো অভিযোগ করে থাকেন এবং অপহরণের দাবি সত্যি প্রমাণিত হলে ভারতের আইনে সালাহ উদ্দিনের কোনো সাজা হবে না।
শিলং পুলিশও পলো গ্রাউন্ড এলাকার বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন এবং সালাহ উদ্দিন আহমেদের দাবির সত্যতা খোঁজার চেষ্টা করছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সালাউদ্দীন আহমেদের কলকাতার আত্মীয় আইয়ুব আলী শিলং সিভিল হাসপাতালে যান। সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, সালাহ উদ্দিনকে চোখ বাঁধা অবস্থায় কয়েকবার গাড়ি বদল করে শিলং নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। শিলং এর পলোগ্রাউন্ডে তাকে চোখ বাঁধা অবস্থাতেই গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। চোখের বাঁধন খোলার পরও তিনি বুঝতে পারছিলেন না, কোথায় আছেন। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসা করে তিনি জানতে পারেন যে, তিনি শিলংয়ে আছেন। এরপর সালাহ উদ্দিন নিজেই পুলিশের কাছে গিয়ে নিজের পরিচয় দেন।
যদিও মেঘালয় পুলিশের দাবি, স্থানীয় লোকজন সালাহ উদ্দিন আহমেদকে উদভ্রান্তের মতো ঘুরতে দেখে থানায় খবর দেয়। তখন পুলিশ তাকে উদ্ধার করে এবং সালাহ উদ্দিনের কথাবার্তা অসঙ্গত মনে হয় তাকে মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যায়।