কিবরিয়া হত্যা মামলা : সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য চলবে
হারিছ চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার অন্যতম আসামী খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ বাকী পলাতকদের নামে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত সুলতানা এ আদেশ দেন। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই এ সম্পৃক্ত মামলাটি সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত হবে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আলমগীর ভূইয়া বাবুল জানান, ক্রোকাদেশ তামিল হওয়ায় এখন আর বিচারে কোন প্রতিবন্ধকতা নেই। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই মামলাটি চলে যাবে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। সেখানে সর্বমোট ১৩৫ দিনের মধ্যে মামলার বিচারকার্য শেষ হবে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার নির্ধারিত তারিখে বিচারক ক্রোকাদেশ তামিল হয়েছে কিনা জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষে এসআই বিপ্লব জানান, সকল পলাতক আসামির ক্রোকাদেশ তামিলের চিঠি এসেছে। পরে বিচারক পলাতক আসামিদের নামে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন। এর আগে হারিছ চৌধুরীর ঢাকার ঠিকানায় মাল না পাওয়ায় ক্রোকাদেশ তামিলে বিলম্ব হওয়ায় বিচার কাজে বিঘ্ন ঘটে।
বিচারক গত ২৭ এপ্রিল হারিছ চৌধুরীর সিলেটের স্থায়ী ঠিকানায় ক্রোকাদেশ তামিলের নির্দেশ দিলে তা যথাসময়েই তামিল হয়ে আদালতে রিপোর্ট আসে। এদিকে এ মামলায় কারাগারে আটক সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেটের মেয়র (সাময়িক বরখাস্তকৃত) আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জের মেয়র (সাময়িক বরখাস্তকৃত) জি কে গউছসহ কোন আসামিকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়নি। তবে মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে থাকা ৮ আসামি এসময় আদালতে হাজির হন।
হাজির হওয়া আসামিরা হলেন, শহীদ জিয়া স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি একেএম আব্দুল কাইয়ূম, বিএনপি কর্মী জয়নাল আবেদীন জালাল, জমির আলী, জয়নাল আবেদীন ওরফে মোমিন আলী, মো. তাজুল ইসলাম, মো. শাহেদ আলী, মো. সেলিম আহমেদ, আয়াত আলী। আগামী ২ জুন মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।