পুলিশের দায়িত্বটা আসলে কী? ফেসবুকে নিহত বিজয়ের প্রশ্ন
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ অভিজিৎ রায় ও ওয়াশিকুর রহমান বাবুকে যখন খুন করা হয়, তখন অদূরেই পুলিশ দাঁড়িয়ে তামাশা দেখেছিল এমন এক স্ট্যাটাস দেন ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ। স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
ফেসবুক স্ট্যাটাস:
অভিজিৎ রায়কে যখন খুন করা হয়, অদূরেই পুলিশ দাঁড়িয়ে তামাশা দেখেছিল। খুনিরা নিশ্চিন্তে খুন করে চলে গেল। পরে পুলিশ বলে তাদের নাকি দায়িত্বে অবহেলা ছিল না। বড় জানতে ইচ্ছে করে তাদের দায়িত্বটা আসলে কী!
ওয়াশিকুর রহমান বাবুকে যখন খুন করে খুনিরা পালিয়ে যাচ্ছিল তখনও কিন্তু পুলিশ দাঁড়িয়ে ছিল। কিন্তু পুলিশের কপাল খারাপ, তারা বলতে পারলো না— এক্ষেত্রেও তাদের কোনো দায়িত্বে অবহেলা ছিল না। কারণ, লাবণ্য নামের তৃতীয় লিঙ্গের একজন মানবিক মানুষ খুনিদের ধরে ফেলেন। খুনিদের শ্রীঘরে পাঠিয়ে দেন।
বর্ষবরণে হাজার হাজার মানুষের সামনে যখন নারীদের একে একে লাঞ্ছনা করা হচ্ছিল পুলিশ তখন নিধিরাম সর্দার। তারা তখন মূলত দায়িত্ব অবহেলা না করতে সচেষ্ট ছিল। যৌনসন্ত্রাসী গুলোরে পালিয়ে যাওয়ার পথ তৈরি করে দিতেই তারা তখন ব্যস্ত ছিল। তাইতো লিটননন্দীসহ আরো কয়েকজন মিলে কয়েকটা যৌনসন্ত্রাসীকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন, পুলিশ কিছুসময় পরে এদের ছেড়ে দেয়। মিডিয়ায় এ বিষয়ে যখন হৈচৈ, পুলিশ তখন সাফ অস্বীকার করে এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। কেউ তাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি!! সিসিটিভির ফুটেজে যখন অপরাধীদের দেখা গেল, তখন তারা চুপ। পুরানো গিটার আবার বাজালো। কেউ তাদের কাছে অভিযোগ নিয়ে আসেনি। সোশাল মিডিয়ায় এতোদিনে কয়েকটা যৌনসন্ত্রাসীকে চিহ্নিত করার পরও পুলিশ নিষ্ক্রিয়। তাদের কোনো দায়িত্বে অবহেলা নেই।
ছাত্রইউনিয়নসহ কয়েকটি বামসংগঠন ডিএমপি পুলিশের কাছে প্রতিবাদ লিপি দিতে গেল, অপরাধীদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না, নিদেনপক্ষে কোনো উদ্যোগ কেন নেই…. পুলিশ তখন ঝাপিয়ে পড়ে। লাথি দিয়ে, বন্দুকের বাঁট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আহত করে!! এক্ষেত্রেও আমি শুনতে পাই… আসলেই পুলিশের দায়িত্ব অবহেলা নেই! কিন্তু বড়ই জানতে ইচ্ছে করে …. পুলিশের দায়িত্বটা আসলে কী!!