গৃহহীন, ফসলহীন মানুষের সাথে মসকরা করলেন সুরঞ্জিত
——কালবৈশাখীর ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরির্দশন কালে নাছির চৌধুরী
জুবের সরদার দিগন্ত, দিরাই প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার উপর দিয়ে গত বৃহস্পতিবার বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরির্দশন করেন দিরাই-শাল্লার সাবেক সংসদ সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক নাছির উদ্দিন চৌধুরী। গতকাল শনিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সাথে দেখা করে তাদের ক্ষতির কথা শুনেন তিনি। সে সময় তিনি দিরাই পৌরসভা, করিমপুর, ভাটিপাড়া ও রাজানগর ইউনিয়নের কিছু কিছু জায়গা পরিদর্শন করেন। কালবৈশাখী ঝড়ে আহত হওয়া দিরাই উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছবি চৌধুরীকে শরিফপুর গ্রামের তার বাসভবন দেখতে যান। দূপুরে ভাটিপাড়া ইউনিয়নের শরিফপুর ইউনিয়নের কৃষকদের সাথে হাওরের কাদায় দাড়িয়ে কথা বলে তাদের ক্ষ-ক্ষতির কথা শুনেন তিনি। সেখান থেকে করিমপুর ইউনিয়নের সাদিরপুর ও কর্ণগাঁয়ের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেন। এর পর দিরাই পৌরসভার সুজানগর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ বেশ কয়েকটি বাড়ি পরিদর্শন করেন। এ সময় তাকে স্বাগত জানান দিরাই পৌরসভার কাউন্সিলর জয়নুল হক চৌধুরী। সেখান থেকে তিনি রাজানগর ইউনিয়নের চকবাজার এলাকা পরির্দশন করেন। ঐ এলাকার দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগন তাকে নিয়ে বজ্রপাতে নিহত ভরারগাঁও গ্রামের জমসেদ মিয়া বাড়ীতে যান। এসময় তিনি নিহত জমসেদ মিয়ার পুত্রদের সাথে কিতছু সময় কাটান এবং শোকসন্তস্থ পরিবারকে সমবেদনা জানান। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে সরকারী কোনো লোকজনের দাড়ানোর কথা না শুনে তিনি বলেন, দেশ শাসন করছে অবৈধ সরকার, তাই তারা ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের কথা ভাবছে না। ভাবার প্রয়োজন ভোধও করছে না। তিনি বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে যকন দিরাই উপজেলার হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন, ফসলহীন চথুরদিকে হাহাকার, গ্রামের পর গ্রাম বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন টিক তখন আমাদের এমপি হেলিকাপ্টার ছড়ে বিদ্যুৎ উদ্বোধন করতে আসেন। তিনি এটাকে বিপদগ্রস্থ মানুষের সাথে মসকরার সামিল বলে মনে করেন। তিনি উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাকে র্দূগত এলাকা ঘোষনা করে গৃহহীন, ফসলহীন মানুষের পাশে দাড়াতে সবাইকে আহবান জানান। তিনি বলেন, দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের সাকিতপুর গ্রামেই ৬০-৭০টি ও বাঙ্গালগাও বেথুর নদীর পাড়ে প্রায় ১০০টি এবং ভাটিপাড়া, রাজানগর, সরমঙ্গল, জগদল, রফিনগর ইউনিয়নের প্রায় তিনশতাধিক গবাদীপশু মারা যাবার খবর শুনা গেছে। সে সব এলাকার পাকা ধান কাটার উপযোগী নেই বলেও কৃষকরা তাকে জানান। পরির্দশন কালে তার সাথে ছিলেন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছবি চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সিনিয়র সভাপতি জালাল মিয়া, উপজেলা বিএনপির তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক একে কুদরত পাশা, পৌর বিএনপির সগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক মকসদ মিয়া, বিএনপি নেতা শামীম সরদার, উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জুনেদ আহমদ, যুবদল নেতা রায়হান হাবীব চৌধুরী, করিমপুর ইউনিয়নের যুবদল সভাপতি পংকজ দাস, সালাহ্ উদ্দিন, সেচ্ছাসেবকদল নেতা জাহান আহমদ প্রমূক।